শ্রীলঙ্কায় কিছু বাংলাদেশির অপরাধমূলক কাজে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি by শেখ শাহরিয়ার জামান
শ্রীলঙ্কায়
কিছু বাংলাদেশি অবৈধভাবে অবস্থান করে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের
অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গত বছরের
ডিসেম্বরে দুটি ঘটনায় তিনশ’ কেজিরও বেশি হেরোইন পাঁচ বাংলাদেশির কাছ থেকে
উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। গত ২১ এপ্রিল কলম্বোয় বোমা হামলার পর ২০ জনের
বেশি বাংলাদেশিকে ভিসার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পরেও ওই দেশে অবস্থানের কারণে
পুলিশ আটক করে। শ্রীলঙ্কার মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের
প্রতি নেতিবাচক ভাবমূর্তির সৃষ্টি হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ একাধিক
সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই দেশেই অপরাধীরা কাজ করছে এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাদের খুঁজে বের করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।’ তিনি বলেন, কলম্বোয় মাদক ধরা পড়ার পরে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক চোরাচালান দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সজাগ হতে হবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য।’
পর্যটন ব্যবসাকে উৎসাহিত করায় শ্রীলঙ্কার ভিসা নীতি অত্যন্ত নমনীয় এবং এর সুযোগ নিয়ে এখানকার একটি দালালচক্র ওই দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, কলম্বোয় সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত একজন সুইসাইড বোম্বারের কারখানায় ১১ বাংলাদেশি কাজ করতেন। এ ঘটনার পর শ্রীলঙ্কা পুলিশ এসব বাংলাদেশিকে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এছাড়া আরও দুটি ঘটনায় ১৫ জনের মতো বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য পুলিশ আটক করলে তাদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কলম্বোয় একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা রেসিডেন্স ভিসা জাল করে বাংলাদেশিদের পাসপোর্টে লাগিয়েছিল। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় দালালরা বাংলাদেশিদের উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে তাদের সর্ব্বোচ্চ বেতন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘এই দালালরা ঢাকা এবং কলম্বো উভয় জায়গায় কাজ করে। অসহায় কর্মীরা শ্রীলঙ্কায় পৌঁছলে তাদের জন্য বিমানবন্দরে বাংলাদেশি দালালরা অপেক্ষায় থাকে।’ গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য বাংলাদেশিদের আটক করা হচ্ছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কিত একটি নির্দেশনা দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কোনও বাংলাদেশিকে আটক করলে আমাদের অবহিত করে। এখানে যারা কাজ করতে আসে তাদের বেশিরভাগের দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর ও কুষ্টিয়ায়। এসব জায়গা থেকে খুব বেশি লোক বিদেশে যায় না। আমি এমনও লোক পেয়েছি, যে আগে তাঁতির কাজ করতো, কিন্তু এখানে একটি বেকারিতে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই কোনও আটকের ঘটনা ঘটে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই দেশেই অপরাধীরা কাজ করছে এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাদের খুঁজে বের করার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।’ তিনি বলেন, কলম্বোয় মাদক ধরা পড়ার পরে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক চোরাচালান দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সজাগ হতে হবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য।’
পর্যটন ব্যবসাকে উৎসাহিত করায় শ্রীলঙ্কার ভিসা নীতি অত্যন্ত নমনীয় এবং এর সুযোগ নিয়ে এখানকার একটি দালালচক্র ওই দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, কলম্বোয় সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত একজন সুইসাইড বোম্বারের কারখানায় ১১ বাংলাদেশি কাজ করতেন। এ ঘটনার পর শ্রীলঙ্কা পুলিশ এসব বাংলাদেশিকে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এছাড়া আরও দুটি ঘটনায় ১৫ জনের মতো বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য পুলিশ আটক করলে তাদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কলম্বোয় একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা রেসিডেন্স ভিসা জাল করে বাংলাদেশিদের পাসপোর্টে লাগিয়েছিল। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় দালালরা বাংলাদেশিদের উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে তাদের সর্ব্বোচ্চ বেতন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘এই দালালরা ঢাকা এবং কলম্বো উভয় জায়গায় কাজ করে। অসহায় কর্মীরা শ্রীলঙ্কায় পৌঁছলে তাদের জন্য বিমানবন্দরে বাংলাদেশি দালালরা অপেক্ষায় থাকে।’ গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য বাংলাদেশিদের আটক করা হচ্ছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কিত একটি নির্দেশনা দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কোনও বাংলাদেশিকে আটক করলে আমাদের অবহিত করে। এখানে যারা কাজ করতে আসে তাদের বেশিরভাগের দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর ও কুষ্টিয়ায়। এসব জায়গা থেকে খুব বেশি লোক বিদেশে যায় না। আমি এমনও লোক পেয়েছি, যে আগে তাঁতির কাজ করতো, কিন্তু এখানে একটি বেকারিতে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই কোনও আটকের ঘটনা ঘটে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
No comments