দুর্বার বাংলাদেশ স্বপ্নে বিভোর by ইশতিয়াক পারভেজ
সবুজে
ঘেরা টনটনে কিসের যেন একটা অভাব ছিল। হ্যা! লাল রংয়ের অভাব ছিল একটু। তবে
সেই রংয়ের অভাব চিরতরে পূরণ করে দিয়েছেন টাইগাররা। তাদের জয়ের লাল আবির
টনটনের সমারসেট স্টেডিয়ামে লেগে থাকবে যুগের পর যুগ। কোনো সময় এই
স্টেডিয়ামের ইতিহাস ঘাটতে গেলে উঠে আসবে সাকিব আল হাসান, লিটন দাস,
মোস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজাদের নাম। হবে না কেন! বিশ্বকাপের
স্টেডিয়াম হয়ে ওঠা সমারসেটে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দলই ৩০০ রান তাড়া করে
জেতেনি। শুধু কি তাই! এই মাঠে প্রথম বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি
করা ইংলিশ ব্যাটিং কিংবদন্তি ডেভিড গাওয়ারের পরেই জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব।
একই পজিশনে ইংলিশ এই তারকার চেয়ে মাত্র ৬ রান কম করেছেন বাংলাদেশের
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তবে তার ইনিংসটা ব্যাতিক্রম, কারণ তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৪ রানের হার না মানা ইনিংস। ১৮৩ রান করে সবার উপরে থাকা সৌরভ গাঙ্গুলীসহ বাকি তিন সেঞ্চুরিয়ানই আউট হয়েছেন সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর। ইতিহাস বদলে এমন সবস্মৃতি এখানে রেখেই সকাল ১১টায় বাংলাদেশ দল ছুটেছে নটিংহামের উদ্দেশ্যে। ট্রেন্ট ব্রিজে এবার অস্ট্রেলিয়া বধের মিশন। জিতলেই সেমিফাইনালের পথে টাইগাররা বাড়িয়ে দিবে আরেক ‘পা’।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের উড়ন্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুই ম্যাচ হেরে ফের নেমে আসে মাটিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় টাইগারদের। কিন্তু সেই দেয়াল ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন টাইগাররা। ক্যারবীয়দের ৩২২ রানও যেন মামুলি হয়ে গেলো সাকিব-লিটনের কাছে। ৫১ বল বাকি থাকতে গোটা বাংলাদেশের প্রাণ নাচিয়ে তুলেন তারা জয়ের আনন্দে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন টাইগারদের অবস্থান তালিকার পঞ্চম স্থানে। এখনো বাকি চারটি ম্যাচ। এই চার ম্যাচের অন্তত তিনটি জিতলেই হবে স্বপ্নপূরণ । এক কথায় ছুটতে হবে পয়েন্টের পিছু পিছু।
অন্যদিকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া টাইগারদের জন্য অপেক্ষা করছে নটিংহামে। ২০শে জুন ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। ভীষণ শক্তিশালী অজিদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোন বিশ্বকাপেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। ১৯৯৯, ২০১৭ দুই বারই মিলেছে বাজেভাবে হার। তবে ব্যতিক্রম ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপ। সেবার বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট হয় ভাগাভগি। সেটা সৌভগ্যই বয়ে এনেছিল মাশরাফিদের জন্য। তাতে ভর করেই দল যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে আরো একটি ইতিহাস বদলে দেয়ার সুযোগ। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালের আরো কাছে এগিয়ে যাবে সাকিব-তামিমরা। এমন ম্যাচের আগে অজিদের বার্তাও দিয়েছেন সাকিব। ইংলিশ এক নারী সংবাদকর্মী বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের ভয়ের কথা। ভয়তো পাননি উল্টো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জবাবে বলেন, ‘দেখেন এই চার ম্যাচে অনেক দারুণ দারুণ সব পেস বোলারের বিপক্ষে খেলেছি। আপনারা জানেন প্রায় প্রতিটি দলেই সেরা দু’জন ফাস্ট বোলার আছে যারা ১৪৫ গতিতে নিয়মিত বল করতে সক্ষম। আমরা তাদের বেশ ভালভাবেই সামলেছি। আমরা শর্ট বল নিয়ে খুব একটা চিন্তা করছি না। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছি, নিউজিল্যান্ড ও উইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছি। এই তিন দলে অনেক গতির বোলাররা ছিল। আসলে আমাদের বেসিক কাজটাই করতে হবে। আমি মনে করি আমরা দক্ষ দল। এবং এই সব ভালভাবেই সামলাতে পারবো।’
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে একাদশ পরিবর্তনে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান লিটন কুমার দাস। নিজের স্বপ্নের প্রথম ম্যাচেই ৬৯ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সেই সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি এটি আর চলতি বিশ্বকাপে যে কোনো জুটিতেই সর্বোচ্চ। তবে সাকিবময় এই জয়ে লিটনকে দারুণ ভরসা দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন দলের সহ অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই অনেক সাহায্য করেছেন উইকেটে। অনেক কথা বলেছেন যেগুলো নার্ভাসনেস থেকে আমাকে বের করে এনেছে। বলেছেন যে উইকেট অনেক সহজ। স্বাভাবিক খেলা খেললেই হবে। জোরাজুরি না করে যেন সিঙ্গেল খেলি। আরও অনেক কিছু ছিল। উনার কিছু বাউন্ডারিও আমাকে সাহায্য করেছে চাপমুক্ত হতে।’ বলার অপেক্ষা রাখেনা লিটন রান পাওয়াতে বেড়েছে দলের ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসও। যা পরের ম্যাচে দারুণ ভাবে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে।
তবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এই দু্ই দলের লড়াইয়ে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। যা কিনা ফের বদলে দিতে বাংলাদেশের ভাগ্য!
তবে তার ইনিংসটা ব্যাতিক্রম, কারণ তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৪ রানের হার না মানা ইনিংস। ১৮৩ রান করে সবার উপরে থাকা সৌরভ গাঙ্গুলীসহ বাকি তিন সেঞ্চুরিয়ানই আউট হয়েছেন সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর। ইতিহাস বদলে এমন সবস্মৃতি এখানে রেখেই সকাল ১১টায় বাংলাদেশ দল ছুটেছে নটিংহামের উদ্দেশ্যে। ট্রেন্ট ব্রিজে এবার অস্ট্রেলিয়া বধের মিশন। জিতলেই সেমিফাইনালের পথে টাইগাররা বাড়িয়ে দিবে আরেক ‘পা’।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের উড়ন্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুই ম্যাচ হেরে ফের নেমে আসে মাটিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় টাইগারদের। কিন্তু সেই দেয়াল ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন টাইগাররা। ক্যারবীয়দের ৩২২ রানও যেন মামুলি হয়ে গেলো সাকিব-লিটনের কাছে। ৫১ বল বাকি থাকতে গোটা বাংলাদেশের প্রাণ নাচিয়ে তুলেন তারা জয়ের আনন্দে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন টাইগারদের অবস্থান তালিকার পঞ্চম স্থানে। এখনো বাকি চারটি ম্যাচ। এই চার ম্যাচের অন্তত তিনটি জিতলেই হবে স্বপ্নপূরণ । এক কথায় ছুটতে হবে পয়েন্টের পিছু পিছু।
অন্যদিকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া টাইগারদের জন্য অপেক্ষা করছে নটিংহামে। ২০শে জুন ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। ভীষণ শক্তিশালী অজিদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোন বিশ্বকাপেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। ১৯৯৯, ২০১৭ দুই বারই মিলেছে বাজেভাবে হার। তবে ব্যতিক্রম ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপ। সেবার বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট হয় ভাগাভগি। সেটা সৌভগ্যই বয়ে এনেছিল মাশরাফিদের জন্য। তাতে ভর করেই দল যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে আরো একটি ইতিহাস বদলে দেয়ার সুযোগ। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালের আরো কাছে এগিয়ে যাবে সাকিব-তামিমরা। এমন ম্যাচের আগে অজিদের বার্তাও দিয়েছেন সাকিব। ইংলিশ এক নারী সংবাদকর্মী বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের ভয়ের কথা। ভয়তো পাননি উল্টো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জবাবে বলেন, ‘দেখেন এই চার ম্যাচে অনেক দারুণ দারুণ সব পেস বোলারের বিপক্ষে খেলেছি। আপনারা জানেন প্রায় প্রতিটি দলেই সেরা দু’জন ফাস্ট বোলার আছে যারা ১৪৫ গতিতে নিয়মিত বল করতে সক্ষম। আমরা তাদের বেশ ভালভাবেই সামলেছি। আমরা শর্ট বল নিয়ে খুব একটা চিন্তা করছি না। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছি, নিউজিল্যান্ড ও উইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছি। এই তিন দলে অনেক গতির বোলাররা ছিল। আসলে আমাদের বেসিক কাজটাই করতে হবে। আমি মনে করি আমরা দক্ষ দল। এবং এই সব ভালভাবেই সামলাতে পারবো।’
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে একাদশ পরিবর্তনে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান লিটন কুমার দাস। নিজের স্বপ্নের প্রথম ম্যাচেই ৬৯ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সেই সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি এটি আর চলতি বিশ্বকাপে যে কোনো জুটিতেই সর্বোচ্চ। তবে সাকিবময় এই জয়ে লিটনকে দারুণ ভরসা দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন দলের সহ অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই অনেক সাহায্য করেছেন উইকেটে। অনেক কথা বলেছেন যেগুলো নার্ভাসনেস থেকে আমাকে বের করে এনেছে। বলেছেন যে উইকেট অনেক সহজ। স্বাভাবিক খেলা খেললেই হবে। জোরাজুরি না করে যেন সিঙ্গেল খেলি। আরও অনেক কিছু ছিল। উনার কিছু বাউন্ডারিও আমাকে সাহায্য করেছে চাপমুক্ত হতে।’ বলার অপেক্ষা রাখেনা লিটন রান পাওয়াতে বেড়েছে দলের ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসও। যা পরের ম্যাচে দারুণ ভাবে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে।
তবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এই দু্ই দলের লড়াইয়ে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। যা কিনা ফের বদলে দিতে বাংলাদেশের ভাগ্য!
No comments