পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষ চীনা শ্রমিক নিহত
পটুয়াখালীর
কলাপাড়া উপজেলার পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাঙালি শ্রমিকদের সঙ্গে চীনা
শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষে এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাং ইয়াং ফাং
(২৬) নামের ওই নাগরিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত
হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। এদেরকে ঢাকা এবং বরিশাল হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাঙালি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাবিন্দ্র দাস (৩২) নামের এক বাঙালি শ্রমিক নিহত হন। তিনি বয়লার থেকে পরে মারা যান। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো ৫ চীনা নাগরিককে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার থেকে নিচে পড়ে নিহত হন সাবিন্দ্র দাস নামের এক বাঙালি শ্রমিক। তিনি ধানখালী কাজল এন্টারপ্রাইজের নিযুক্ত শ্রমিক। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়। এ সময় চীনা শ্রমিক ও কর্মকর্তারা তার লাশ গুম করার চেষ্টা করছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার বাঙালি শ্রমিক বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার বিকাল তিনটা থেকে তারা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সূত্র জানায় এ সময় আনুমানিক ৬ হাজার বাঙালি শ্রমিক ধর্মঘটে অংশ নেয়। তারা তিন হাজার চীনা শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে ফেলে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। কলাপাড়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বিসিপিসিএল এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহমনি জিকো জানান ক্ষুব্ধ বাঙালি শ্রমিকরা ক্যান্টিন অফিস কক্ষ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালায়। চীনা শ্রমিকরা প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৫০ জনের বেশি চীনা ও বাঙালি কর্মী আহত হন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চায়না-বাংলাদেশ বন্ধু রাষ্ট্র। তাই বিষয়টি আরো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, বুধবার রাত ৩টা ৫০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জাং ইয়াং ফাং (২৬)। তার মাথায় আঘাত ছিল এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এ ছাড়া আহত বাকি ৫ চীনা নাগরিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে তাদের সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের বরিশালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালি শ্রমিকও রয়েছে।
এদিকে জাং ইয়াং ফাং (২৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় ভবিষ্যতে কোনো মামলা মোকদ্দমা করা হবে না দাবি করে বিনা ময়না তদন্তে তার লাশ গ্রহণের জন্য বরিশাল জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করেছেন তাপ বিদ্যু কেন্দ্রের প্রজেক্ট ম্যানেজার লিউ সি।
এছাড়া বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাঙালি শ্রমিকদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর এডিসি হেমায়েত উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। নির্মাণকাজে চীনের ৩০০০ এবং ৭০০০ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
মঙ্গলবার বিকালে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাঙালি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাবিন্দ্র দাস (৩২) নামের এক বাঙালি শ্রমিক নিহত হন। তিনি বয়লার থেকে পরে মারা যান। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো ৫ চীনা নাগরিককে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার থেকে নিচে পড়ে নিহত হন সাবিন্দ্র দাস নামের এক বাঙালি শ্রমিক। তিনি ধানখালী কাজল এন্টারপ্রাইজের নিযুক্ত শ্রমিক। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়। এ সময় চীনা শ্রমিক ও কর্মকর্তারা তার লাশ গুম করার চেষ্টা করছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার বাঙালি শ্রমিক বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার বিকাল তিনটা থেকে তারা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সূত্র জানায় এ সময় আনুমানিক ৬ হাজার বাঙালি শ্রমিক ধর্মঘটে অংশ নেয়। তারা তিন হাজার চীনা শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে ফেলে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। কলাপাড়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বিসিপিসিএল এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহমনি জিকো জানান ক্ষুব্ধ বাঙালি শ্রমিকরা ক্যান্টিন অফিস কক্ষ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালায়। চীনা শ্রমিকরা প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৫০ জনের বেশি চীনা ও বাঙালি কর্মী আহত হন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চায়না-বাংলাদেশ বন্ধু রাষ্ট্র। তাই বিষয়টি আরো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, বুধবার রাত ৩টা ৫০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জাং ইয়াং ফাং (২৬)। তার মাথায় আঘাত ছিল এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এ ছাড়া আহত বাকি ৫ চীনা নাগরিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে তাদের সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের বরিশালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালি শ্রমিকও রয়েছে।
এদিকে জাং ইয়াং ফাং (২৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় ভবিষ্যতে কোনো মামলা মোকদ্দমা করা হবে না দাবি করে বিনা ময়না তদন্তে তার লাশ গ্রহণের জন্য বরিশাল জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করেছেন তাপ বিদ্যু কেন্দ্রের প্রজেক্ট ম্যানেজার লিউ সি।
এছাড়া বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাঙালি শ্রমিকদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর এডিসি হেমায়েত উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। নির্মাণকাজে চীনের ৩০০০ এবং ৭০০০ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
No comments