রোহিঙ্গাদের রক্ষায় পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসঙ্ঘ : পর্যালোচনা প্রতিবেদন
মানবাধিকারের
গুরুতর লঙ্ঘন ও দেশত্যাগে বাধ্য করা থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় জাতিসঙ্ঘ
‘পদ্ধতিগত ও কাঠামোগতভাবে’ ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতা সমন্বিত কৌশল
বাস্তবায়নে জাতিসঙ্ঘকে বিরত রেখেছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো বর্বরতায় জাতিসঙ্ঘের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেয়া পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে। গুয়েতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসঙ্ঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত গ্রিট রোসেথাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন দিয়েছেন। এতে ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাখাইন পরিস্থিতিতে জাতিসঙ্ঘের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ একটি অকপট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য রোসেথালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উপসংহার ও সুপারিশসহ পুরো প্রতিবেদনটি জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে রোসেথাল বলেছেন, ক্ষমতা অপব্যবহারের মূল দায় মিয়ানমার সরকারের ওপর বর্তায়। জাতিসঙ্ঘের পদ্ধতিগত ব্যর্থতার দায় নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির না। মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে গঠনমূলক করতে না পরার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায় নিতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসঙ্ঘের গুরুতর উদ্বেগের কথা মিয়ানমারের কাছে শক্তিশালীভাবে উত্থাপনের ক্ষেত্রেও দুর্বলতা ছিল।
জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকেও কিছু দায় নিতে হবে উল্লেখ করে রোসেথাল বলেছেন, প্রয়োজনের সময়ে জাতিসঙ্ঘ সচিবালয় নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন পায়নি।
রাখাইনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাকে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জাতিসঙ্ঘ পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য এ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহাসচিব গুতেরেজ। তিনি বলেছেন, এ প্রতিবেদন মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধি, তার টিম এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করা বিশ্বসংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য মুল্যবান।
রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো বর্বরতায় জাতিসঙ্ঘের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেয়া পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে। গুয়েতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসঙ্ঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত গ্রিট রোসেথাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন দিয়েছেন। এতে ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাখাইন পরিস্থিতিতে জাতিসঙ্ঘের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ একটি অকপট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য রোসেথালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উপসংহার ও সুপারিশসহ পুরো প্রতিবেদনটি জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে রোসেথাল বলেছেন, ক্ষমতা অপব্যবহারের মূল দায় মিয়ানমার সরকারের ওপর বর্তায়। জাতিসঙ্ঘের পদ্ধতিগত ব্যর্থতার দায় নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির না। মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে গঠনমূলক করতে না পরার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায় নিতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসঙ্ঘের গুরুতর উদ্বেগের কথা মিয়ানমারের কাছে শক্তিশালীভাবে উত্থাপনের ক্ষেত্রেও দুর্বলতা ছিল।
জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকেও কিছু দায় নিতে হবে উল্লেখ করে রোসেথাল বলেছেন, প্রয়োজনের সময়ে জাতিসঙ্ঘ সচিবালয় নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন পায়নি।
রাখাইনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাকে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জাতিসঙ্ঘ পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য এ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহাসচিব গুতেরেজ। তিনি বলেছেন, এ প্রতিবেদন মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধি, তার টিম এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করা বিশ্বসংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য মুল্যবান।
No comments