সংলাপ
সাত
দফা দাবি সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঐতিহাসিক এ সংলাপ
অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল
হোসেন উভয়পক্ষে নেতৃত্ব দেন। সংলাপে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ২৩ জন এবং
ঐক্যফ্রন্টের ২০ জন নেতা অংশ নেন। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীরসহ দলের ৬ নেতা ছিলেন। ২০০৬ সালে নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী
লীগ ও বিএনপির মধ্যে আলোচিত সংলাপের পর এই প্রথম দুই পক্ষের নেতারা এক
টেবিলে বসলেন। ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ আহ্বানে আওয়ামী লীগের সাড়া দেয়ার পর
থেকেই রাজনীতি ক্ষেত্রে এক ধরনের আশার আলো দেখা দিয়েছে। গতকালের বহুল
প্রতীক্ষিত সংলাপ ঘিরে পুরো দেশবাসীর দৃষ্টি ছিল গণভবনে।
গণভবনে সংলাপে অংশ নেয়ার আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবনে পৌঁছান। সন্ধ্যা ৭টায় দুই পক্ষের সংলাপ শুরু হয়। গণভবনের ব্যাংকুইট হলে দুই পক্ষের নেতারা সামনা সামনি বসে আলোচনা করেন। শুরুতে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের গণভবনে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্য রাখেন। এরপর শুরু হয় মূল আলোচনা। বৈঠকের শুরুতে নেতাদের চা ও হালকা নাস্তায় আপ্যায়িত করা হয়। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নৈশভোজে অংশ নেননি ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ নেতা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা অংশ নেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মাইনুদ্দিন খান বাদল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের ড. আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে ২০ নেতা: ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন। গতকাল শেষ মুহূর্তে যে পাঁচজনের নাম পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া অন্য চার জন সংলাপে অংশ নেন।
সূচনা বক্তব্যে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী: সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে গণভবনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে আপনার এসেছেন গণভবন ও জনগণের ভবনে। আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই দেশটা আমাদের সবার, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি এটা বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দেবো। দীর্ঘ নয় বছর ১০ মাস হতে চললো আমরা এই সময়ের মধ্যে দেশে কত উন্নয়ন করতে পেরেছি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা বিবেচনা করে দেখবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে; তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। দিনবদলের যে সূচনা আমরা করেছিলাম সেই দিনবদল হচ্ছে এটাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
গণভবনের সামনে মোমবাতি নিয়ে মানববন্ধন: সংলাপ অর্থবহ করতে গণভবনের সামনে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাকর্মীদের মোমবাতি নিয়ে মানববন্ধন করেন। সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে পৌঁছান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তার আগে গণভবনের সামনে ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মীরা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে মোমবাতিও দেখা যায়। ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মীরা প্ল্যাকার্ডে সংলাপের সফলতা কামনা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির আদলে বিভিন্ন স্লোগান তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার আওয়ামী লীগের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তার চিঠির জবাবে পরের দিন সংলাপে সাড়া দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সংলাপে করণীয় ঠিক করতে এদিনই বিকালে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে ৭ দফার ভিত্তিতে আলোচনার লক্ষ্য ঠিক করার পাশাপাশি ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নাম চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে গতকাল আরো পাঁচজনের নাম পাঠানো হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। নির্বাচন সামনে রেখে আজ বিকল্প ধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসছে। সোমবার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি সঙ্গে সংলাপের সংলাপ হবে। বাম গণতান্ত্রিক জোটও সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল জানিয়েছেন, জাকের পার্টি, নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিএনএসহ আরো কয়েকটি দল ও জোট সংলাপের আগ্রহ দেখিয়েছে। সময় কম থাকায় এসব দল এবং জোটের সঙ্গে একক বা যৌথভাবে সংলাপ হতে পারে।
গণভবনে সংলাপে অংশ নেয়ার আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবনে পৌঁছান। সন্ধ্যা ৭টায় দুই পক্ষের সংলাপ শুরু হয়। গণভবনের ব্যাংকুইট হলে দুই পক্ষের নেতারা সামনা সামনি বসে আলোচনা করেন। শুরুতে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের গণভবনে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্য রাখেন। এরপর শুরু হয় মূল আলোচনা। বৈঠকের শুরুতে নেতাদের চা ও হালকা নাস্তায় আপ্যায়িত করা হয়। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নৈশভোজে অংশ নেননি ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ নেতা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা অংশ নেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মাইনুদ্দিন খান বাদল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের ড. আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে ২০ নেতা: ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন। গতকাল শেষ মুহূর্তে যে পাঁচজনের নাম পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া অন্য চার জন সংলাপে অংশ নেন।
সূচনা বক্তব্যে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী: সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে গণভবনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে আপনার এসেছেন গণভবন ও জনগণের ভবনে। আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই দেশটা আমাদের সবার, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি এটা বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দেবো। দীর্ঘ নয় বছর ১০ মাস হতে চললো আমরা এই সময়ের মধ্যে দেশে কত উন্নয়ন করতে পেরেছি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা বিবেচনা করে দেখবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে; তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। দিনবদলের যে সূচনা আমরা করেছিলাম সেই দিনবদল হচ্ছে এটাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
গণভবনের সামনে মোমবাতি নিয়ে মানববন্ধন: সংলাপ অর্থবহ করতে গণভবনের সামনে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাকর্মীদের মোমবাতি নিয়ে মানববন্ধন করেন। সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে পৌঁছান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তার আগে গণভবনের সামনে ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মীরা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে মোমবাতিও দেখা যায়। ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মীরা প্ল্যাকার্ডে সংলাপের সফলতা কামনা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির আদলে বিভিন্ন স্লোগান তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার আওয়ামী লীগের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তার চিঠির জবাবে পরের দিন সংলাপে সাড়া দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সংলাপে করণীয় ঠিক করতে এদিনই বিকালে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে ৭ দফার ভিত্তিতে আলোচনার লক্ষ্য ঠিক করার পাশাপাশি ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নাম চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে গতকাল আরো পাঁচজনের নাম পাঠানো হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। নির্বাচন সামনে রেখে আজ বিকল্প ধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসছে। সোমবার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি সঙ্গে সংলাপের সংলাপ হবে। বাম গণতান্ত্রিক জোটও সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল জানিয়েছেন, জাকের পার্টি, নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিএনএসহ আরো কয়েকটি দল ও জোট সংলাপের আগ্রহ দেখিয়েছে। সময় কম থাকায় এসব দল এবং জোটের সঙ্গে একক বা যৌথভাবে সংলাপ হতে পারে।
No comments