বিক্ষোভ ও সমালোচনার মধ্যেই বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তির উদ্বোধন
স্থানীয়
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রবল সমালোচনার মধ্যেই
বুধবার বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তির উদ্বোধন হয়েছে। গুজরাটের নর্মদা নদীর
তীরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটার (৫৯৭ ফুট) উচ্চতা বিশিষ্ট এই
মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনই
ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মদিন। এই
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সর্দার
প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঐক্যের মূর্তির (স্ট্যাচু অফ ইউনিটি)
উদ্বোধন। নর্মদার তীরে নির্মিত সর্দার প্যাটেলের এই মূর্তি দেশের প্রতি
তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়াস।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের আগে মোদী ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছেন। তবে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, বিজেপির এমন কোনও নেতা নেই যাঁর স্মৃতিতে পটেলের মূর্তির চার ভাগের এক ভাগ উচ্চতার মূর্তি তৈরি করা যায়।
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেছেন, প্যাটেল তো কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। গান্ধীই তাঁকে সর্দার উপাধি দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের আরও কটাক্ষ, চার বছর ধরে মোদী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্লোগান দিলেও প্যাটেলের মূর্তির বড় অংশ কিন্তু বানিয়ে আনতে হয়েছে চীন থেকে। ক’দিন আগেও শ’তিনেক চীনা কর্মী গুজরাটে এই মূর্তির কাজ করেছেন।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, সর্দার প্যাটেলও মোদীর হাতে ‘মেড ইন চায়না’।
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, প্যাটেল নিজের হাতে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা লিখেছিলেন।
সেই নির্দেশনা যেন মূর্তির নিচে বাঁধাই করা থাকে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রীর গর্ববোধ সম্পূর্ণ হবে।
এদিকে যে নর্মদাতটে প্যাটেলের মূর্তি বসানো হয়েছে সেখানকার ২২টি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে মোদীকে আসতে বারণ করেছিলেন।
তারা দাবি করেছেন, এই বিশাল মূর্তি বসানোর জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে সেজন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এই মূর্তি বসানোর জন্য ১৮৫টি পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসেরও অভিযোগ করেছেন আদিবাসীরা। এলাকার তফসিলি জনজাতির মানুষ ক্ষোভে ঐক্যের মূর্তির অনুষ্ঠানের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলেছেন। পাল্টা সেখানে তারা বীরসা মুন্ডার ছবি লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
তবে এদিন পুলিশ কোনও বিক্ষোভ হতে দেয়নি। জানা গিয়েছে, ২৯৭৯ কোটি রুপি ব্যায়ে নির্মিত এই মূর্তিটি একজন স্বাভাবিক উচ্চতার মানুষের একশত গুন বেশি উচুঁ। এটি তৈরি করতে ৩ বছর ৯ মাস ধরে ২৫০ জন প্রকৌশলির অধীনে প্রায় ৩৪০০ শ্রমিক কাজ করেছেন। এতে লেগেছে ২৪ হাজার টন ইস্পাতের রড, ৩৩৩০ টন ব্রোঞ্জ, ২১২০০০ কিউবিক টন কংক্রিট। তবে বল্লভভাই প্যাটেলের মূল ভাস্কর্যের ছোট সংস্করণটি করেছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার ও তার পুত্র। এটির বুকের কাছে গ্যালারি করা হয়েছে। যেখানে একসঙ্গে ২০০ মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে নর্মদার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। এর নিচে তৈরি করা হয়েছে বাগান ও সংগ্রহশালা। সর্দার প্যাটেলের মূর্তিটি উচ্চতায় আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লির্বাটির দ্বিগুণ৷ চীনের স্পিং টেম্পল বুদ্ধ মূর্তি যেটি এখনও অবধি উচ্চতম স্ট্যাচু তার থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ১০০ ফুট বেশি উঁচু।
তবে ভারত এখানে থেমে থাকতে রাজি নয়। সেজন্য এবার মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে তৈরি হচ্ছে এর থেকেই একশ ফুট বেশি উচ্চতার শিবাজীর মূর্তি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের আগে মোদী ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছেন। তবে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, বিজেপির এমন কোনও নেতা নেই যাঁর স্মৃতিতে পটেলের মূর্তির চার ভাগের এক ভাগ উচ্চতার মূর্তি তৈরি করা যায়।
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেছেন, প্যাটেল তো কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। গান্ধীই তাঁকে সর্দার উপাধি দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের আরও কটাক্ষ, চার বছর ধরে মোদী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্লোগান দিলেও প্যাটেলের মূর্তির বড় অংশ কিন্তু বানিয়ে আনতে হয়েছে চীন থেকে। ক’দিন আগেও শ’তিনেক চীনা কর্মী গুজরাটে এই মূর্তির কাজ করেছেন।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, সর্দার প্যাটেলও মোদীর হাতে ‘মেড ইন চায়না’।
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, প্যাটেল নিজের হাতে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা লিখেছিলেন।
সেই নির্দেশনা যেন মূর্তির নিচে বাঁধাই করা থাকে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রীর গর্ববোধ সম্পূর্ণ হবে।
এদিকে যে নর্মদাতটে প্যাটেলের মূর্তি বসানো হয়েছে সেখানকার ২২টি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে মোদীকে আসতে বারণ করেছিলেন।
তারা দাবি করেছেন, এই বিশাল মূর্তি বসানোর জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে সেজন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এই মূর্তি বসানোর জন্য ১৮৫টি পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসেরও অভিযোগ করেছেন আদিবাসীরা। এলাকার তফসিলি জনজাতির মানুষ ক্ষোভে ঐক্যের মূর্তির অনুষ্ঠানের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলেছেন। পাল্টা সেখানে তারা বীরসা মুন্ডার ছবি লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
তবে এদিন পুলিশ কোনও বিক্ষোভ হতে দেয়নি। জানা গিয়েছে, ২৯৭৯ কোটি রুপি ব্যায়ে নির্মিত এই মূর্তিটি একজন স্বাভাবিক উচ্চতার মানুষের একশত গুন বেশি উচুঁ। এটি তৈরি করতে ৩ বছর ৯ মাস ধরে ২৫০ জন প্রকৌশলির অধীনে প্রায় ৩৪০০ শ্রমিক কাজ করেছেন। এতে লেগেছে ২৪ হাজার টন ইস্পাতের রড, ৩৩৩০ টন ব্রোঞ্জ, ২১২০০০ কিউবিক টন কংক্রিট। তবে বল্লভভাই প্যাটেলের মূল ভাস্কর্যের ছোট সংস্করণটি করেছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার ও তার পুত্র। এটির বুকের কাছে গ্যালারি করা হয়েছে। যেখানে একসঙ্গে ২০০ মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে নর্মদার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। এর নিচে তৈরি করা হয়েছে বাগান ও সংগ্রহশালা। সর্দার প্যাটেলের মূর্তিটি উচ্চতায় আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লির্বাটির দ্বিগুণ৷ চীনের স্পিং টেম্পল বুদ্ধ মূর্তি যেটি এখনও অবধি উচ্চতম স্ট্যাচু তার থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ১০০ ফুট বেশি উঁচু।
তবে ভারত এখানে থেমে থাকতে রাজি নয়। সেজন্য এবার মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে তৈরি হচ্ছে এর থেকেই একশ ফুট বেশি উচ্চতার শিবাজীর মূর্তি।
No comments