বঙ্গবন্ধু চাঁদাবাজ-ধান্দাবাজদের প্রশ্রয় দিতেন না: ড. কামাল
বক্তব্য দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন |
গণফোরামের
সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ৭০টা মামলা দায়ের বা তাঁকে
মেরে ফেলা হলেও তিনি বোবা কিংবা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবেন না। শুক্রবার
জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় কামাল
হোসেন এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্য,
তাঁর আদর্শ থেকে নেওয়া শিক্ষা ও লড়াইয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন। পাশাপাশি
বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধুর গড়া দলের রাজনৈতিক অবক্ষয় এবং বর্তমান সরকারের
নানা ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেন। দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি
কেনার বিষয়টি উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো দিন এই চিন্তা
করিনি। দেশের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন
গরু-ছাগলের মাথা বিক্রি হয়। মানুষের মাথা বিক্রি হয় না। আমরা টাকার কাছে
বিক্রি হব না।’
ড. কামাল আরও বলেন, একদল শুধু লীগ লীগ করে। বঙ্গবন্ধুর নাম করে, তার উত্তরসূরি দাবি করে চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজি করে। তাঁর প্রশ্ন—‘বঙ্গবন্ধু কি এঁদের প্রশ্রয় দিতেন? তিনি কি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জমি দখলের পর পিট চাপড়াতেন? বঙ্গবন্ধু কি গুন্ডাদের সর্দার ছিলেন?’
বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতি করেছেন—এ কথা উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, তাঁর রাজনীতি ছিল মানুষের জন্য। এখন যারা লীগ লীগ করছে, তারা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে কি না, এমন প্রশ্ন তোলেন ওই সংবিধানপ্রণেতা।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজদের ষাটের দশকে বলা হতো ‘গুন্ডা’। এঁদের জন্য গুন্ডা আইন হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘গুলি করে, পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের মুখ খুলে দিয়েছেন। নিজে দুই নম্বরি না করলে, অসৎভাবে কিছু অর্জন না করলে এবং বাড়ি দখল না করলে কোনো ভয় নেই।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নেতা সুব্রত চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, ফরোয়ার্ড পার্টির মোস্তফা আমীন প্রমুখ।
ড. কামাল আরও বলেন, একদল শুধু লীগ লীগ করে। বঙ্গবন্ধুর নাম করে, তার উত্তরসূরি দাবি করে চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজি করে। তাঁর প্রশ্ন—‘বঙ্গবন্ধু কি এঁদের প্রশ্রয় দিতেন? তিনি কি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জমি দখলের পর পিট চাপড়াতেন? বঙ্গবন্ধু কি গুন্ডাদের সর্দার ছিলেন?’
বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতি করেছেন—এ কথা উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, তাঁর রাজনীতি ছিল মানুষের জন্য। এখন যারা লীগ লীগ করছে, তারা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে কি না, এমন প্রশ্ন তোলেন ওই সংবিধানপ্রণেতা।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজদের ষাটের দশকে বলা হতো ‘গুন্ডা’। এঁদের জন্য গুন্ডা আইন হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘গুলি করে, পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের মুখ খুলে দিয়েছেন। নিজে দুই নম্বরি না করলে, অসৎভাবে কিছু অর্জন না করলে এবং বাড়ি দখল না করলে কোনো ভয় নেই।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নেতা সুব্রত চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, ফরোয়ার্ড পার্টির মোস্তফা আমীন প্রমুখ।
No comments