নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ড: তদন্ত চলছে সন্দেহকে ঘিরে, গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে
ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যা মামলার তদন্ত চলছে মূলত সন্দেহকে ঘিরে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে তদন্ত সংস্থা এ পর্যন্ত ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি।
এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা সাদ আল নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল আট দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সাদ আল নাহিয়ান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা।
ডিবির সূত্র বলেছে, গতকাল এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোল্লা সাইফুল ইসলাম তাঁদের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্র আরও বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি গামছা ৮ আগস্ট ও নীলাদ্রির রক্তমাখা শার্ট, রক্তের নমুনা, একটি দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৯ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ডিএনএ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
৭ আগস্ট দুপুরে নীলাদ্রিকে রাজধানীর গোড়ানের ভাড়া বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আশা মনি অজ্ঞাতপরিচয় চারজনের বিরুদ্ধে ওই দিন রাতে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
নীলাদ্রি হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মাহবুব আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাহিয়ান ও মাসুদ রানার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নাহিয়ান ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে উত্তরা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। মাসুদ রানা পল্লবীর কালশীতে অবস্থান করছিলেন। নীলাদ্রি হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে তারা এই দুজন ছাড়া এ পর্যন্ত ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁদের মধ্যে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কামাল হোসেন সরদার, কাউসার হোসেন ও কামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন পুরোনো সদস্য, অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে জামিনে থাকা কয়েকজন রয়েছেন। তাঁরা নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
ডিবির সূত্র বলছে, ব্লগার অভিজিৎ রায়, আহমেদ রাজীব হায়দার, ওয়াশিকুর রহমান ও নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ডের ধরন কাছাকাছি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রায় অভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পরিকল্পনায়ই ব্লগার হত্যা করা হচ্ছে বলে তথ্য মিলছে। তবে নীলাদ্রি হত্যাকারীদের বিষয়ে এখনো জোরালো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ মামলার তদন্ত চলছে মূলত বিভিন্ন সন্দেহকে ঘিরে। তাদের সন্দেহ, এটি উগ্র জঙ্গি সংগঠনের কাজ। এর মধ্যে সন্দেহের শীর্ষে রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নাহিয়ানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার মুন্সীবাড়িতে। তাঁর বাবা নজরুল হক তাড়াইলের দাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। নাহিয়ানের চাচা জাতীয় পার্টির নেতা ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। নাহিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১২ সালে মিরপুর ১০ নম্বরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য নবীর হোসেন, তাঁর ভাই কাউসার ও কামাল হোসেনের সঙ্গে নাহিয়ানের পরিচয় হয়। এরপর তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য হন।
নীলাদ্রিসহ চলতি বছরে চারজন ব্লগারকে একইভাবে হত্যা করা হলো। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিজিৎ রায়, ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে ওয়াশিকুর রহমান ও ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে অনন্ত বিজয় দাশকে খুন করা হয়।
এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা সাদ আল নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল আট দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সাদ আল নাহিয়ান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা।
ডিবির সূত্র বলেছে, গতকাল এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোল্লা সাইফুল ইসলাম তাঁদের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্র আরও বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি গামছা ৮ আগস্ট ও নীলাদ্রির রক্তমাখা শার্ট, রক্তের নমুনা, একটি দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৯ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ডিএনএ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
৭ আগস্ট দুপুরে নীলাদ্রিকে রাজধানীর গোড়ানের ভাড়া বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আশা মনি অজ্ঞাতপরিচয় চারজনের বিরুদ্ধে ওই দিন রাতে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
নীলাদ্রি হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মাহবুব আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাহিয়ান ও মাসুদ রানার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নাহিয়ান ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে উত্তরা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। মাসুদ রানা পল্লবীর কালশীতে অবস্থান করছিলেন। নীলাদ্রি হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে তারা এই দুজন ছাড়া এ পর্যন্ত ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁদের মধ্যে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কামাল হোসেন সরদার, কাউসার হোসেন ও কামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন পুরোনো সদস্য, অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে জামিনে থাকা কয়েকজন রয়েছেন। তাঁরা নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
ডিবির সূত্র বলছে, ব্লগার অভিজিৎ রায়, আহমেদ রাজীব হায়দার, ওয়াশিকুর রহমান ও নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ডের ধরন কাছাকাছি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রায় অভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পরিকল্পনায়ই ব্লগার হত্যা করা হচ্ছে বলে তথ্য মিলছে। তবে নীলাদ্রি হত্যাকারীদের বিষয়ে এখনো জোরালো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ মামলার তদন্ত চলছে মূলত বিভিন্ন সন্দেহকে ঘিরে। তাদের সন্দেহ, এটি উগ্র জঙ্গি সংগঠনের কাজ। এর মধ্যে সন্দেহের শীর্ষে রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নাহিয়ানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার মুন্সীবাড়িতে। তাঁর বাবা নজরুল হক তাড়াইলের দাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। নাহিয়ানের চাচা জাতীয় পার্টির নেতা ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। নাহিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১২ সালে মিরপুর ১০ নম্বরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য নবীর হোসেন, তাঁর ভাই কাউসার ও কামাল হোসেনের সঙ্গে নাহিয়ানের পরিচয় হয়। এরপর তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য হন।
নীলাদ্রিসহ চলতি বছরে চারজন ব্লগারকে একইভাবে হত্যা করা হলো। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিজিৎ রায়, ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে ওয়াশিকুর রহমান ও ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে অনন্ত বিজয় দাশকে খুন করা হয়।
No comments