পলাতক আসামিকে ফেরাতে জটিলতা by রোজিনা ইসলাম
ভারতে বন্দী চট্টগ্রামের আট খুন মামলার আসামি ও শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার পলাতক সাজ্জাদ হোসেন খানকে তিন বছরেও দেশে ফিরিয়ে আনা যায়নি। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে ২০১২ সাল থেকে ভারতকে সাতটি স্মারকে বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব পাঠানো হলেও সেগুলোর তথ্য আংশিক ও অসম্পূর্ণ থাকায় এখনো বার্তা চালাচালি চলছে। এ ছাড়া নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে সাজ্জাদ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে মো. আবদুল্লাহ বলে দাবি করায়। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো প্রস্তাবে তাঁর নাম কোথাও সাজ্জাদ খান আবার কোথাও সাজ্জাদ হোসেন খান উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহার কারাগারে বন্দী রয়েছেন। জটিলতা নিরসন করে সাজ্জাদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নতুন করে বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাজ্জাদ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য-সংবলিত নতুন বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব পাঠানো না হলে তিনি ভারতের কারাগার থেকে ছাড়াও পেয়ে যেতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, একটি অস্ত্র মামলায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। আট খুন মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলেও হাইকোর্টে তিনি অব্যাহতি পান। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা বিচারাধীন এবং সাতটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, সম্প্রতি নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামে আট খুনের মামলার আসামি সাজ্জাদ ভারত সরকারের কাছে জোরালো দাবি করেছেন, তিনি ‘মো. আবদুল্লাহ’। তাঁর নাম ‘সাজ্জাদ হোসেন খান’ নয়। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর পাসপোর্টও ফেরত চেয়েছেন। ভারতের কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য যেসব তথ্য পাঠানো হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ও অসম্পূর্ণ।
আসামির নামের ক্ষেত্রেও রয়েছে অমিল। কোনো কোনো স্থানে ‘সাজ্জাদ খান’, আবার কোনো কোনো স্থানে ‘সাজ্জাদ হোসেন খান’ উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠানো এফিডেভিটে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, অভিযোগসংশ্লিষ্ট আইনের ধারার উদ্ধৃতি, আসামি গ্রেপ্তার ও জামিনসংক্রান্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। বার্তায় আরও বলা হয়, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও এবং ‘অতি জরুরি’ বলা হলেও ‘আংশিক’ কাগজপত্র পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাজ্জাদের বিষয়ে যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র দিতে হবে। না হলে তিনি ছাড়াও পেয়ে যেতে পারেন। তাই যথাযথ নথি ও কাগজপত্রসহ নতুন বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব পাঠাতে ওই বার্তায় অনুরোধ জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, নতুন বহিঃসমর্পণ প্রস্তাবের সঙ্গে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী, অভিযোগসমূহের বিস্তারিত বিবরণসহ এফিডেভিট, অপরাধের বিবরণ, অপরাধ সংঘটনের সময় ও স্থান, অভিযোগসংশ্লিষ্ট আইনের ধারা ও মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাস থামিয়ে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজনকে গুলি করে হত্যা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা। এ মামলায় সাজ্জাদসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের একটি আদালত এ রায় ঘোষণার আগেই সাজ্জাদ দুবাই পালিয়ে যান। হাইকোর্টে ওই মামলায় তিনি খালাস পান।
সূত্র আরও বলেছে, ২০০১ সালের ২ এপ্রিল সাজ্জাদ একে-৪৭ রাইফেলসহ চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এর বছর দেড়েক পর জামিনে কারাগার থেকে বের হন। চট্টগ্রামের কারা ফটক থেকে তাঁকে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন একজন সাংসদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তিনি গোপনে দুবাই চলে যান। অস্ত্র আইনের একটি মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে গ্রেপ্তার হন সাজ্জাদ। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, সাজ্জাদকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আরও জটিলতা হতে পারে। কারণ, সাজ্জাদ দেশে ফিরতে চান না। তিনি পাঞ্জাবের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। ভারত থেকে সাজ্জাদকে ফিরিয়ে আনার সময় সেখানকার মানবাধিকার সংস্থাগুলো সাজ্জাদের স্ত্রী-সন্তানের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিষয়টি জটিল করে দিতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, একটি অস্ত্র মামলায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। আট খুন মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলেও হাইকোর্টে তিনি অব্যাহতি পান। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা বিচারাধীন এবং সাতটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, সম্প্রতি নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামে আট খুনের মামলার আসামি সাজ্জাদ ভারত সরকারের কাছে জোরালো দাবি করেছেন, তিনি ‘মো. আবদুল্লাহ’। তাঁর নাম ‘সাজ্জাদ হোসেন খান’ নয়। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর পাসপোর্টও ফেরত চেয়েছেন। ভারতের কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য যেসব তথ্য পাঠানো হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ও অসম্পূর্ণ।
আসামির নামের ক্ষেত্রেও রয়েছে অমিল। কোনো কোনো স্থানে ‘সাজ্জাদ খান’, আবার কোনো কোনো স্থানে ‘সাজ্জাদ হোসেন খান’ উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠানো এফিডেভিটে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, অভিযোগসংশ্লিষ্ট আইনের ধারার উদ্ধৃতি, আসামি গ্রেপ্তার ও জামিনসংক্রান্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। বার্তায় আরও বলা হয়, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও এবং ‘অতি জরুরি’ বলা হলেও ‘আংশিক’ কাগজপত্র পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাজ্জাদের বিষয়ে যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র দিতে হবে। না হলে তিনি ছাড়াও পেয়ে যেতে পারেন। তাই যথাযথ নথি ও কাগজপত্রসহ নতুন বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব পাঠাতে ওই বার্তায় অনুরোধ জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, নতুন বহিঃসমর্পণ প্রস্তাবের সঙ্গে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী, অভিযোগসমূহের বিস্তারিত বিবরণসহ এফিডেভিট, অপরাধের বিবরণ, অপরাধ সংঘটনের সময় ও স্থান, অভিযোগসংশ্লিষ্ট আইনের ধারা ও মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাস থামিয়ে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজনকে গুলি করে হত্যা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা। এ মামলায় সাজ্জাদসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের একটি আদালত এ রায় ঘোষণার আগেই সাজ্জাদ দুবাই পালিয়ে যান। হাইকোর্টে ওই মামলায় তিনি খালাস পান।
সূত্র আরও বলেছে, ২০০১ সালের ২ এপ্রিল সাজ্জাদ একে-৪৭ রাইফেলসহ চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এর বছর দেড়েক পর জামিনে কারাগার থেকে বের হন। চট্টগ্রামের কারা ফটক থেকে তাঁকে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন একজন সাংসদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তিনি গোপনে দুবাই চলে যান। অস্ত্র আইনের একটি মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে গ্রেপ্তার হন সাজ্জাদ। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, সাজ্জাদকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আরও জটিলতা হতে পারে। কারণ, সাজ্জাদ দেশে ফিরতে চান না। তিনি পাঞ্জাবের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। ভারত থেকে সাজ্জাদকে ফিরিয়ে আনার সময় সেখানকার মানবাধিকার সংস্থাগুলো সাজ্জাদের স্ত্রী-সন্তানের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিষয়টি জটিল করে দিতে পারে।
No comments