শিশুটির চুল-ভ্রু কেটে দিলেন তাঁরা!
নির্যাতনের শিকার ১২ বছরের শিশু সাজ্জাদ। ছবিটি আজ রাতে তোলা। ছবি: প্রথম আলো |
নির্যাতনের শিকার ১২ বছরের শিশু সাজ্জাদ। ছবিটি আজ রাতে তোলা। ছবি: প্রথম আলো |
জয়পুরহাটের
আক্কেলপুরে সাজ্জাদ হোসেন (১২) নামে এক হোটেল শ্রমিকের মাথার চুল ও ভ্রু
কেটে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার রাত আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
শিশু সাজ্জাদ বলেছে, মেগা হোটেল অ্যান্ড ও ফাস্ট ফুড নামের একটি হোটেলে সে আগে কাজ করত। সম্প্রতি ওই হোটেলের কাজ ছেড়ে দিয়ে সে অন্য একটি হোটেলে যোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত মেগা হোটেল অ্যান্ড ও ফাস্ট ফুডের মালিক আবদুল মতিন এবং রুবেল নামে হোটেলটির এক কর্মচারী তাকে মারধর করে চুল ও ভ্রু কেটে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ হোটেল মালিক আবদুল মতিন এবং হোটেলের কর্মচারী রুবেলকে আটক করেছে।
আজ রাত নয়টায় আক্কেলপুর থানায় গিয়ে দেখা যায়, শিশু সাজ্জাদ ও তার দাদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন। শিশুটি ওসিকে জানায়, সে আগে মেগা হোটেল অ্যান্ড ফাস্ট ফুডে প্লেট ধোয়ার কাজ করত। পরে ওই হোটেল ছেড়ে পাশের খোকনের হোটেলে কাজ নেয়। আজ রাত আটটার দিকে সে হোটেলে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় হোটেল মালিক মতিন তাকে ধরে হোটেলের ভেতরে নিয়ে যায়। এর পর মতিন তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে আটকে ধরে। আর হোটেলের কর্মচারী রুবেল তার ভ্রু কেটে দেয়। ভ্রু কাটা শেষে রুবেল সাজ্জাদকে পাশের সেলুনে নিয়ে গিয়ে মাথার চুলও কেটে দেয়। সাজ্জাদ এর পর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। ঘটনা শুনে এলাকার লোকজন এসে হোটেলে হামলার চেষ্টা করে।
মেগা হোটেল অ্যান্ড ফাস্ট ফুড দোকানের মালিক অভিযুক্ত আবদুল মতিন দাবি করেন, তিনি সাজ্জাদের ভ্রু ও চুল কাটেননি, সে নিজ ইচ্ছায়ই কেটেছে। অপর অভিযুক্ত রুবেলেরও একই দাবি। কিন্তু শিশু সাজ্জাদের দাদী লালভানু প্রথম আলোকে বলেন, শুধু এবারই নয়, এর আগেও হোটেল মালিক আব্দুল মতিন একাধিকবার সাজ্জাদকে মারধর করেছেন।
আক্কেলপুর থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিশু সাজ্জাদের ভ্রু ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে হোটেল মালিক ও এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শিশু সাজ্জাদ বলেছে, মেগা হোটেল অ্যান্ড ও ফাস্ট ফুড নামের একটি হোটেলে সে আগে কাজ করত। সম্প্রতি ওই হোটেলের কাজ ছেড়ে দিয়ে সে অন্য একটি হোটেলে যোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত মেগা হোটেল অ্যান্ড ও ফাস্ট ফুডের মালিক আবদুল মতিন এবং রুবেল নামে হোটেলটির এক কর্মচারী তাকে মারধর করে চুল ও ভ্রু কেটে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ হোটেল মালিক আবদুল মতিন এবং হোটেলের কর্মচারী রুবেলকে আটক করেছে।
আজ রাত নয়টায় আক্কেলপুর থানায় গিয়ে দেখা যায়, শিশু সাজ্জাদ ও তার দাদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন। শিশুটি ওসিকে জানায়, সে আগে মেগা হোটেল অ্যান্ড ফাস্ট ফুডে প্লেট ধোয়ার কাজ করত। পরে ওই হোটেল ছেড়ে পাশের খোকনের হোটেলে কাজ নেয়। আজ রাত আটটার দিকে সে হোটেলে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় হোটেল মালিক মতিন তাকে ধরে হোটেলের ভেতরে নিয়ে যায়। এর পর মতিন তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে আটকে ধরে। আর হোটেলের কর্মচারী রুবেল তার ভ্রু কেটে দেয়। ভ্রু কাটা শেষে রুবেল সাজ্জাদকে পাশের সেলুনে নিয়ে গিয়ে মাথার চুলও কেটে দেয়। সাজ্জাদ এর পর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। ঘটনা শুনে এলাকার লোকজন এসে হোটেলে হামলার চেষ্টা করে।
মেগা হোটেল অ্যান্ড ফাস্ট ফুড দোকানের মালিক অভিযুক্ত আবদুল মতিন দাবি করেন, তিনি সাজ্জাদের ভ্রু ও চুল কাটেননি, সে নিজ ইচ্ছায়ই কেটেছে। অপর অভিযুক্ত রুবেলেরও একই দাবি। কিন্তু শিশু সাজ্জাদের দাদী লালভানু প্রথম আলোকে বলেন, শুধু এবারই নয়, এর আগেও হোটেল মালিক আব্দুল মতিন একাধিকবার সাজ্জাদকে মারধর করেছেন।
আক্কেলপুর থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিশু সাজ্জাদের ভ্রু ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে হোটেল মালিক ও এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
No comments