শিশুদের পেটাল ‘চাঁদাবঞ্চিত’ যুবলীগ
১৫
আগস্টের অনুষ্ঠান করার জন্য চাঁদা দিতে হবে—এমন ‘আবদার’ নিয়ে চাঁদপুরের
কচুয়া উপজেলার ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে এসেছিলেন যুবলীগের
কয়েকজন কর্মী। শিক্ষকেরা সেই ‘আবদার’ না রাখায় এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন
তাঁরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার ছাত্রছাত্রীরা মিছিল বের করতেই তাদের
ওপর হামলা চালান যুবলীগের ‘চাঁদাবঞ্চিত’ সেই কর্মীরা। এতে আহত হয়েছে
কমপক্ষে ৪০ জন। ২০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১৩ জন মেয়ে ও ৭ জন ছেলে। রোববার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকারের ভাষ্য, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ফারুক, লিটন ও মনিরসহ একদল যুবক গত শুক্রবার রাতে বিদ্যালয়ে এসে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান করার জন্য ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমানকে তাঁরা লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠ প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করছিল। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিজয় দত্ত বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুতর আহত ২০ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত অন্য শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে কচুয়া যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যুবলীগ কর্মী নয়, তারা সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলেছি।’
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, জাতীয় শোক দিবসের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে এবং এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সহযোগী সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেন তিনি।
ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকারের ভাষ্য, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ফারুক, লিটন ও মনিরসহ একদল যুবক গত শুক্রবার রাতে বিদ্যালয়ে এসে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান করার জন্য ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমানকে তাঁরা লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠ প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করছিল। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিজয় দত্ত বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুতর আহত ২০ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত অন্য শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে কচুয়া যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যুবলীগ কর্মী নয়, তারা সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলেছি।’
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, জাতীয় শোক দিবসের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে এবং এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সহযোগী সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেন তিনি।
No comments