অভিযানের খবরে পালিয়ে যান অর্ধনগ্ন তরুণীরা by শুভ্র দেব
অভিযান সংশ্লিষ্ট ডিএনসি কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি চক্র রাজনৈতিক ছত্রছায়ার বহুদিন ধরে কোয়ালিটি ইন প্রাইভেট হোটেলে নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। তারা রাতভর সেখানে অশ্লীল ডিজে পার্টির আয়োজন করতো। ডিজেতে অংশ নিতো শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ছেলে-মেয়েরা। বিশেষ করে বিত্তবানরা বেশি অংশগ্রহণ করতেন। আয়োজকরা শহরের নামিদামি ডিজেদের সংগ্রহ করে পার্টি আয়োজন করতেন। রাতভর সেখানে অর্ধনগ্ন তরুণ-তরুণীরা মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নাচতেন। অভিযোগ আছে বিদেশি মদের সঙ্গে সেখানে ইয়াবা, এলএসডি, কুশের মতো মাদক পরিবেশন করা হতো। এছাড়া হতো অসামাজিক কার্যকলাপ।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর থেকে গুলশান-২ এর ৫০ নম্বর রোডের ওই বাড়ির সামনে দামি দামি গাড়িতে অভিজাত ঘরের মানুষ এসে নামতেন। এছাড়া মোটরসাইকেল, সিএনজিতেও অনেকে আসতেন। যেদিন ডিজে পার্টির আয়োজন থাকতো সেদিন বেশি ব্যস্ত থাকতো বাড়িটির আশপাশ। সবারই গন্তব্য ছিল কোয়ালিটি ইন হোটেল। পশ্চিমা দুনিয়ার আদলে পরা পোশাক পরিহিত তরুণীদের আনাগোনা বেশি ছিল। ধনীর দুলাল থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিজীবী, চিকিৎসক, বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা সেখানে আসতেন। ভেজাল মদও পরিবেশনের অভিযোগ রয়েছে হোটেলটিতে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক রাহুল সেন মানবজমিনকে বলেন, তারা আগেও এখানে অশ্লীল ডিজে পার্টির আয়োজন করতো। বিভিন্ন ধরনের মাদক পরিবেশন করতো। এমন খবর আমাদের কাছে ছিল। সরকার পতনের আগে পুরোদমে এমন কর্মকাণ্ড করলেও পতনের পর কিছুটা কমেছিল। কয়েকদিন ধরে তারা আবার চালু করার পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন শুরু করে। তবে খবর পেয়ে আমরা সেটি থামিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, সেখানে বার ছিল না। এ ধরনের আয়োজনের অনুমতিও ছিল না। তারপরও তারা অবাধে মাদকদ্রব্য পরিবেশন করছিল। এরসঙ্গে যারাই জড়িত তাদের প্রত্যেককেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ঢাকা মেট্রো: কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক শামীম আহম্মেদ বলেন, অভিযান চালানোর আগে খবর পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে আয়োজকসহ অনেকেই পালিয়ে যায়। তবে আমরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। গুলশান থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
No comments