যুবককে ভেতরে রেখেই সিলগালা করা হয় গুহাটি
বলা হয় এই গুহার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অজানা রহস্য। তাই এর নামও দেওয়া হয়েছে ‘অদ্ভুত রহস্যের গুহা’। এর জালে একবার ফেঁসে গেলে আর রক্ষা নেই। এই গুহা নিয়ে সবার কৌতূহলের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, ভয়ংকর এই গুহাটির অবস্থান আমেরিকার উটাহ অঞ্চলের এক রুক্ষ ভূমিতে। গুহাটির আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বলা হয়ে থাকে এর ভিতরের হাইড্রো থার্মাল প্যাসেজ। এ ছাড়া সরু গলির মতো অসংখ্য রাস্তা তো আছেই।
এক সময় অনেক কৌতূহলীরাই এখানে আসতেন তাদের কৌতূহল মেটানোর আশায়। দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে অনেক গবেষকই এই গুহার রহস্যের কূল-কিনারা না পেয়ে আর বের হতে পারেননি এর রহস্য থেকে।
২০০৯ সালে গুহায় ঢুকে প্রাণ হারান বছর ২৬ বছরের জন এডওয়ার্ড জোনস। মেরিকার উদ্ধারকারী দলগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নাটি পাটিতে আটকে পড়ার পর ২৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন জোনস। তাকে বের করে আনার যাবতীয় চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু গুহার মধ্যে একটা লম্বা গর্তের মতো জায়গায় আটকে যান তিনি। ফলে একটা সময়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তার।
গুহার ভেতরে ছিল অস্বাভাবিক সরু পথ। এই পথ দিয়ে হাঁটা একজন মানুষের জন্য বেশ জটিল। আর তাই জোনসকে চলতে হয়েছে হামাগুঁড়ি দিয়ে। কিন্তু সে জানতো না, সামনে তার জন্য অপেক্ষা করছে এক ভয়ংকর পরিণতি। এক লম্বা গর্তের অবস্থান ছিল সেখানে। সেটা খেয়াল না করার কারণেই দুর্ভাগ্যবশত পিছলে পড়ে শরীরের একটা অংশ সেখানেই ঢুকে যায়। ফলে আটকে পড়েন তিনি।
নাটি পার্টি গুহা থেকে আর বের করা সম্ভব হয়নি জোনসকে। পরে বাধ্য হয়ে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী এই যুবকের মরদেহ ভেতরে রেখেই গুহার মুখ সিলগালা করা হয়।
নাটি পার্টি গুহায় আটকে প্রাণ হারান ২৬ বছর বয়সী জন এডওয়ার্ড জোনস। ছবি : সংগৃহীত |
No comments