বিমানের আরো দুই হজ ফ্লাইট বাতিল
যাত্রীসংকটের কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরো দুটি নিয়মিত হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই দুই ফ্লাইট যাত্রার কথা ছিল। যে দুটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভোর ৬টা ৫ মিনিটের বিজি-১০৭৩ ও বেলা ১টা ২৫ মিনিটের বিজি-৫০৭৩। এদিকে আজ ভিসা জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও ৪ হাজার ৭৭৬ জন হজযাত্রীর পাসপোর্ট হজ কার্যালয়ে জমা পড়েনি। বিমান কর্তৃপক্ষ জানান, হজযাত্রীসংকটের কারণে আজকে বিমানের দুটি নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এভাবে ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিমান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পরিবহন শুরু হয় গত ২৪ জুলাই। শুরুর দিকে পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় গত ২০ দিনে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসের ২৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল বা সময় পেছানো হয়েছে। এর মধ্যে বিমানেরই ২৫টি ফ্লাইট বাতিল হলো। এদিকে হজ কার্যালয় জানিয়েছে, এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮। এর মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার ৪২২ জনের ভিসা হয়ে গেছে। অর্থাৎ, ৪ হাজার ৭৭৬ জনের পাসপোর্ট জমা হয়নি। এঁরা সৌদি আরবে হজে যেতে ভিসা পাবেন না। সৌদি আরবে হজে যেতে আজ হজযাত্রীদের পাসপোর্ট বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাসে জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই আজকের মধ্যেই সব পাসপোর্ট জমা পড়তে হবে। হজ কার্যালয়ের হিসাবে, আজ বেলা ১১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৭৩ হাজার ৪৫ হজযাত্রী। আর ভিসা নিয়ে টিকিট কেটে সৌদিতে যাত্রার অপেক্ষায় আছেন ৪৯ হাজার ৩৭৭ হজযাত্রী। হজ ফ্লাইটের সূচি অনুযায়ী, ২৬ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ ও ২৭ আগস্ট সৌদি এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে শেষ হজ ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা। বাকি ১০ দিনে প্রায় ৫০ হাজার হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পাঠাতে হবে।
৪০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বিমান
ভিসা জটিলতায় যাত্রী না পেয়ে ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আহমেদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতির যে অবসান হবে, সেই জায়গাটায় আমরা এখনও যেতে পারছি না।” এজন্য সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও বাড়ি ভাড়া করার ক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলোর সমন্বয়হীনতার কথা বলেছেন বিমানের এমডি। এ সঙ্কট কাটিয়ে হজযাত্রীদের সবাইকে সৌদি আরবে পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এ পর্যন্ত বিমানের ৫৪টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট এবং ১৬টি শিডিউল ফ্লাইটে ২৪ হাজার ১১৫ জনকে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি কঠিন হলেও তা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। সব হজযাত্রীকে সময়মতো জেদ্দা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও আশাবাদী।” সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভিসা জটিলতা, সৌদি আরবে মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি এবং টানা দ্বিতীয়বারের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে এবারের হজযাত্রায় জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিমানের এমডি ও সিইও মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, “হজ যাত্রী পরিবহনে আমরা লাভ লোকসান হিসাব করি না। এখানে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটাকে লোকসান বলব না, কারণ এ আয় থেকে আমাদের খরচও হত।”
৪০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বিমান
ভিসা জটিলতায় যাত্রী না পেয়ে ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আহমেদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতির যে অবসান হবে, সেই জায়গাটায় আমরা এখনও যেতে পারছি না।” এজন্য সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও বাড়ি ভাড়া করার ক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলোর সমন্বয়হীনতার কথা বলেছেন বিমানের এমডি। এ সঙ্কট কাটিয়ে হজযাত্রীদের সবাইকে সৌদি আরবে পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এ পর্যন্ত বিমানের ৫৪টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট এবং ১৬টি শিডিউল ফ্লাইটে ২৪ হাজার ১১৫ জনকে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি কঠিন হলেও তা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। সব হজযাত্রীকে সময়মতো জেদ্দা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও আশাবাদী।” সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভিসা জটিলতা, সৌদি আরবে মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি এবং টানা দ্বিতীয়বারের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে এবারের হজযাত্রায় জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিমানের এমডি ও সিইও মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, “হজ যাত্রী পরিবহনে আমরা লাভ লোকসান হিসাব করি না। এখানে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটাকে লোকসান বলব না, কারণ এ আয় থেকে আমাদের খরচও হত।”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশের হজ যাত্রীদের এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে তার জানা নেই। তারা সরকারিভাবে হজ পালন করতে যায়। যাত্রীদের পাঠানোর দায়িত্ব নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের ওপরই থাকে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ৩০ অগাস্ট হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে। সৌদি সরকার ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত ভিসা দেবে এবং হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ২৬ অগাস্ট। গত ২৪ জুলাই ফ্লাইট শুরুর পর ১৬ দিনে ৭০টি ফ্লাইটে ৪০ হাজারের মত হজ যাত্রীকে সৌদি আরব পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে বিমান ২৪ হাজার ১১৫ জনকে জেদ্দা নিয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫২ হাজার হজ যাত্রীর ভিসা করিয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার বিষয়টিকে ‘বেশ কঠিন’ বলেই মনে করছেন মোসাদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, এটা খুব চ্যালেঞ্জিং একটা সিচুয়েশন। সিচুয়েশনটা ইমপ্রুভ করা দরকার। আমরা এর মধ্যে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য ১৪টি স্লটের আবেদন করেছিলাম। যার মধ্যে সাতটি আমরা ব্যবহার করতে পারব। বিমানের এত বেশি ফ্লাইট বাতিল হলেও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে ততটা সমস্যা না হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোসাদ্দেক বলেন, সৌদিয়ার কোন হজ ফ্লাইট নাই। সেখানে শিডিউলড ফ্লাইটে যাত্রীরা যাতায়াত করছে। কিন্তু বিমানের যেগুলো বাতিল হয়েছে সবগুলো হজ ফ্লাইট। যাত্রী না থাকার কারণে সেগুলো বাতিল হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিমানের মার্কেটিং এন্ড সেলস বিভাগের পরিচালক মো. আলী আহসান, ফ্লাইট অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন ফরহাদ হাসান জামিল এবং জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ উপস্থিত ছিলেন।
No comments