ওবামার নতুন সামরিক কৌশল ইরান ও চীনের উত্থান ঠেকানো

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য নতুন কৌশল পেন্টাগনে উত্থাপন করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এতে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের চেয়ে চীন এবং ইরানের হুমকি মোকাবেলার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথাও মাথায় রেখেছেন ওবামা। উল্লেখ্য, মন্দার কারণে পেন্টাগনের জন্য আগামী ১০ বছরের ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজেট হ্রাস করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন সংশোধিত কৌশলে আকারে


ছোট কিন্তু ক্ষিপ্র গতিশীল সেনাবাহিনীর পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছে। এই কৌশলের আওতায় রয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনীতে উদীয়মান চীনের উত্থান ঠেকাতে এশিয়াতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বিস্তৃত করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের হুমকি ঠেকাতে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী মোতায়েন রাখা।
পারস্য উপসাগরে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে ইরানের বাধা এবং দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চীনের আধিপত্য বিস্তার প্রতিহত করার জন্য মার্কিন বাহিনীকে প্রস্তুত করা এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ পরিকল্পনার মাধ্যমে গত এক দশক ধরে চলে আসা 'সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি'র কৌশল থেকে সরে আসছে মার্কিন প্রশাসন। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিও পেনেট্টার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ওবামার। এ পরিকল্পনার মধ্যে চীনের উত্থান মাথায় রেখে এশিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন ওবামা। এছাড়া, ইরান যাতে কোনো প্রকার হুমকি হয়ে না উঠতে পারে সেদিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। চীন ও ইরানকে মোকাবেলায় এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে সেনা উপস্থিতির হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের চেয়ে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি বাড়ানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। এ বিষয়ে বিশ্লষক লরেন থম্পসন বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ওবামা মূলত চীন এবং ইরানকে লক্ষ্য রেখেই এসব অঞ্চলে শক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ ছাড়া পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি পেন্টাগন। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এ দুটি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিতে প্রস্তুত। খবর বিবিসি, এএফপি, এনডিটিভির।

No comments

Powered by Blogger.