মিয়ানমার সফরে হেগ-পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশা সু চির
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি দেশে পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার জন্য বেঁচে থাকতে চান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। একই দিন দুই দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ মিয়ানমার পৌঁছেছেন। মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠীর প্রতি সে দেশের সব রাজবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নিবন্ধন চূড়ান্ত
অনুমোদন পেয়েছে। এতে দলটি আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আগামী এপ্রিলে এই উপনির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনে সু চি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। সাক্ষাৎকারে সু চি বলেন, ‘আশা করি, আমার জীবদ্দশায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে। তবে জানি না, কত দিন বেঁচে থাকব।’ এনএলডির নিবন্ধন চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে—এই খবর পাওয়ার পর সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সু চি গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় বন্দী ছিলেন। শেষ দফায় টানা সাত বছর গৃহবন্দী থাকার পর ২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান তিনি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেগ গতকাল মিয়ানমারে দুই দিনের সফর শুরু করেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে কোনো ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম মিয়ানমার সফর। হেগ গতকাল মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত নভেম্বরে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে বেসামরিক সরকার। এর মধ্যে তারা কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য চমক ছিল।
মিয়ানমারের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে হেগ যুক্তরাজ্যে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার যেসব সংস্কার করছে, তা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করতেই আমি সে দেশ সফর করছি। দেশটির সংস্কার কার্যক্রমে যুক্তরাজ্য কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা-ও মূল্যায়ন করা হবে।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানবাধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আশা করি, বিশেষ করে রাজবন্দীদের মুক্তি এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ উপনির্বাচন। এ ছাড়া সংঘাতবিক্ষুব্ধ এলাকায় ত্রাণকর্মীদের প্রবেশ ও জাতীয় সমঝোতার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপও আশা করি আমরা।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বেশ কয়েকজন রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন। তবে চলতি সপ্তাহেই তাঁর সরকার আবার সবাইকে হতাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার সাধনে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার।
৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে তিনিই মিয়ানমার সফরে যাওয়া প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এএফপি।
সু চি গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় বন্দী ছিলেন। শেষ দফায় টানা সাত বছর গৃহবন্দী থাকার পর ২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান তিনি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেগ গতকাল মিয়ানমারে দুই দিনের সফর শুরু করেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে কোনো ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম মিয়ানমার সফর। হেগ গতকাল মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত নভেম্বরে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে বেসামরিক সরকার। এর মধ্যে তারা কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য চমক ছিল।
মিয়ানমারের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে হেগ যুক্তরাজ্যে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার যেসব সংস্কার করছে, তা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করতেই আমি সে দেশ সফর করছি। দেশটির সংস্কার কার্যক্রমে যুক্তরাজ্য কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা-ও মূল্যায়ন করা হবে।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানবাধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আশা করি, বিশেষ করে রাজবন্দীদের মুক্তি এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ উপনির্বাচন। এ ছাড়া সংঘাতবিক্ষুব্ধ এলাকায় ত্রাণকর্মীদের প্রবেশ ও জাতীয় সমঝোতার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপও আশা করি আমরা।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বেশ কয়েকজন রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন। তবে চলতি সপ্তাহেই তাঁর সরকার আবার সবাইকে হতাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার সাধনে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার।
৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে তিনিই মিয়ানমার সফরে যাওয়া প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এএফপি।
No comments