ক্লার্কের আলোয় অদৃশ্য হাসি
বড় কোনো অর্জনের পর ব্যাট উঁচিয়ে ধরাই রীতি। তিনিও উঁচিয়ে ধরলেন, তবে ক্ষণিকের জন্য। ব্যাটটাকে ফেলে দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়লেন বাতাসে, আর বারবার চুমু খেলেন হেলমেটে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতীকে। আরেকবার যেন মনে করিয়ে দিলেন, তাঁর কাছে সবকিছুর আগে দেশ আর দল। অন্যরা ছুটে ডলার আর রেকর্ডের পেছনে। তিনি ব্যতিক্রম। আইপিএলের নিলাম থেকে প্রতিবারই নিজেকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিগ ব্যাশেও এখন আর খেলেন না,
খেলেন না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই। যুক্তি—ওই সময় নিজের ব্যাটিং নিয়ে আরও কাজ করা কিংবা ওই সময়টুকু বিশ্রাম নেওয়া, যাতে দেশের হয়ে খেলার জন্য নিজেকে চনমনে ও ফিট রাখা যায়। এই ত্যাগের পুরস্কার ক্রিকেট-বিধাতা কি আর না দিয়ে পারেন! শততম টেস্টে সিডনিকে মাইকেল ক্লার্ক উপহার দিলেন প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। গত অ্যাশেজে এই সিডনিতেই দুই ইনিংসে ০ ও ১ রান করার পর দর্শকদের দুয়ো শুনেছিলেন। ‘জেন ম্যাকগ্রা দিবসে’ গোলাপি সমুদ্রে রূপ নেওয়া সিডনি কাল দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাল ঘরের ছেলেকে।
এটা যদি হয় ব্যাটসম্যান ক্লার্কের জয়, খানিক পর জিতলেন অধিনায়ক ক্লার্ক। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি ডাকছে হাতছানি দিয়ে। হাতে যথেষ্টই সময়, টেস্ট গড়িয়েছে ঠিক অর্ধেক। সবাইকে চমকে দিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন দ্বিতীয় সেশনের পানিপানের বিরতির সময়! ৩২৯ করার পরও তাই প্রশ্ন থাকল, আরও কত করতে পারতেন! বেশ কিছু রেকর্ড গড়ার পরও প্রশ্ন—আরও কী কী রেকর্ড গড়তে পারতেন। কিন্তু অধিনায়কের ভাবনায় যে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়ার জন্য বোলারদের যত বেশি সম্ভব সময় দেওয়া! রেকর্ডের বদলে ক্লার্ক জিতলেন হূদয়।
ব্যাটিং আর নেতৃত্বে এমন কীর্তির দিনে আড়ালে পড়ে যায় আর সবকিছু। আড়ালে পড়ছেন মাইক হাসিও। তবে এই আক্ষেপের চেয়ে চাপমুক্তির স্বস্তিই তাঁর বেশি হওয়ার কথা। গত অ্যাশেজ আর শ্রীলঙ্কা সিরিজটা অসাধারণ কেটেছে, কিন্তু বয়সটা ৩৬ বলেই দুটি মাত্র বাজে সিরিজে হুমকিতে পড়ে গিয়েছিল ক্যারিয়ার। অপরাজিত ১৫০ রানের নিখুঁত ইনিংসেই জবাব দিলেন ‘মিস্টার ক্রিকেট’।
ম্যাচের প্রথম দিন বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে উইকেটে গিয়েছিলেন ক্লার্ক, তৃতীয় দিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইনিংস ঘোষণা—মাঝের সময়টুকুতে অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেটে তুলেছে ৬২২ রান! কাল সকালে অবশ্য নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে ভারত। ক্লার্ক-হাসিও ওই সময়টা সাবধানে কাটিয়ে দিয়েছেন। প্রথম ২০ ওভারে কোনো বাউন্ডারিই মারেননি ক্লার্ক। লাঞ্চে গিয়েছিলেন ২৯৩ রান নিয়ে, বিরতির মিনিট দশেক পরই ইশান্তকে ফ্লিকে চার মেরে ছুঁয়েছেন তিন শ।
যে আশায় ইনিংস ঘোষণা, ভারতের ২ উইকেট নিয়ে সেটাও মোটামুটি পূরণ হয়েছে। শেষ বিকেলে হাডিনকে সহজ ক্যাচ দিয়েও টিকে গেছেন গৌতম গম্ভীর। সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকার। অনেক মাইলফলকের টেস্ট অপেক্ষায় আরেকটি মাইলফলকের। ওয়েবসাইট।
এটা যদি হয় ব্যাটসম্যান ক্লার্কের জয়, খানিক পর জিতলেন অধিনায়ক ক্লার্ক। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি ডাকছে হাতছানি দিয়ে। হাতে যথেষ্টই সময়, টেস্ট গড়িয়েছে ঠিক অর্ধেক। সবাইকে চমকে দিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন দ্বিতীয় সেশনের পানিপানের বিরতির সময়! ৩২৯ করার পরও তাই প্রশ্ন থাকল, আরও কত করতে পারতেন! বেশ কিছু রেকর্ড গড়ার পরও প্রশ্ন—আরও কী কী রেকর্ড গড়তে পারতেন। কিন্তু অধিনায়কের ভাবনায় যে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়ার জন্য বোলারদের যত বেশি সম্ভব সময় দেওয়া! রেকর্ডের বদলে ক্লার্ক জিতলেন হূদয়।
ব্যাটিং আর নেতৃত্বে এমন কীর্তির দিনে আড়ালে পড়ে যায় আর সবকিছু। আড়ালে পড়ছেন মাইক হাসিও। তবে এই আক্ষেপের চেয়ে চাপমুক্তির স্বস্তিই তাঁর বেশি হওয়ার কথা। গত অ্যাশেজ আর শ্রীলঙ্কা সিরিজটা অসাধারণ কেটেছে, কিন্তু বয়সটা ৩৬ বলেই দুটি মাত্র বাজে সিরিজে হুমকিতে পড়ে গিয়েছিল ক্যারিয়ার। অপরাজিত ১৫০ রানের নিখুঁত ইনিংসেই জবাব দিলেন ‘মিস্টার ক্রিকেট’।
ম্যাচের প্রথম দিন বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে উইকেটে গিয়েছিলেন ক্লার্ক, তৃতীয় দিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইনিংস ঘোষণা—মাঝের সময়টুকুতে অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেটে তুলেছে ৬২২ রান! কাল সকালে অবশ্য নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে ভারত। ক্লার্ক-হাসিও ওই সময়টা সাবধানে কাটিয়ে দিয়েছেন। প্রথম ২০ ওভারে কোনো বাউন্ডারিই মারেননি ক্লার্ক। লাঞ্চে গিয়েছিলেন ২৯৩ রান নিয়ে, বিরতির মিনিট দশেক পরই ইশান্তকে ফ্লিকে চার মেরে ছুঁয়েছেন তিন শ।
যে আশায় ইনিংস ঘোষণা, ভারতের ২ উইকেট নিয়ে সেটাও মোটামুটি পূরণ হয়েছে। শেষ বিকেলে হাডিনকে সহজ ক্যাচ দিয়েও টিকে গেছেন গৌতম গম্ভীর। সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকার। অনেক মাইলফলকের টেস্ট অপেক্ষায় আরেকটি মাইলফলকের। ওয়েবসাইট।
No comments