শেয়ারবাজারে অস্থিরতা-ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখতে হবে
শেয়ারবাজার এখন মাথাব্যথার কারণ। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না বাজারের পতন। বছরখানেক আগে বাজারের সূচক পড়তে শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাজারকে আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায়নি। সরকারের কোনো টোটকাই বাজারের পতন ঠেকাতে পারছে না। পুলিশ আমরণ অনশন পালনরত বিনিয়োগকারীদের তুলে দিলেও তা থেকে এটা প্রমাণ হয় না যে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষুব্ধ নন। সর্বশেষ কর রেয়াতের ঘোষণা দেওয়ার পর সোমবার ঢাকার শেয়ারবাজারে
সূচক ১০২ পয়েন্ট বেড়েছে। এখন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এত দিন বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল রাজপথে। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা অনশনেও গিয়েছিলেন। শেয়ারবাজারে যাঁরা বিনিয়োগ করেন, তাঁদের বিক্ষোভ অস্বাভাবিক নয়। কারণ বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সহজে লভ্যাংশ তুলে নিতে চান। কিন্তু গত এক বছরের একটানা দরপতনে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। অনেকেই নিজেদের বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তিত। লভ্যাংশ দূরের কথা, নিজেদের বিনিয়োগ করা মূলধন হারিয়েছেন অনেকে_এমন অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারের এই অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। মুনাফার লোভেই এখানে বিনিয়োগ হয়। অনেকে স্বল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় আসেন; টাকা লগি্ন করেন। দেখা যায়, অনেকেই এখানে টাকা লগি্ন করেন না বুঝে। বিপত্তিটা সেখানেই। হুজুগে বা গুজবে শেয়ারবাজারে লগি্ন করতে আসা বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। ফলটা দাঁড়িয়েছে এই যে সিংহভাগ বিনিয়োগকারী মনে করেন, শেয়ারবাজারে টাকা খাটালেই নগদে প্রচুর লাভ পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারীরা বাজারকে লাভের বাজার বলেই মনে করেন। কিন্তু শেয়ারবাজারে টাকা বিনিয়োগ করলেই যে সে টাকা থেকে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার মতো টাকা তৈরি হতে থাকবে_এমন মনে করার কোনো কারণ নেই।
এটাও ঠিক যে শেয়ারবাজারের সিংহভাগ বিনিয়োগকারীই এখানে বিনিয়োগ করেন না জেনে, না বুঝে। অনেকেই কম্পানির মৌল ভিত্তি দেখেন না, খোঁজখবর রাখেন না। অনেকে স্বল্প সময় টাকা খাটিয়ে লাভ তুলে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু শেয়ারবাজার স্বল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র নয়। বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে, এটা কোনো আড়তদারি ব্যবসা নয়। এই বাজারে ব্যবসা করলে সেখান থেকে লাভ আসবেই_এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বাজার যেন অস্বাভাবিক হয়ে না ওঠে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। হঠাৎ বাজার স্ফীত হয়ে ওঠাটা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এর পেছনে যে ফটকাবাজারিদের হাত থাকে সেটা সবাইকে বুঝতে হবে।
নানা কারণেই পুঁজিবাজারে দরপতন হতে পারে। তবে এটাও ঠিক, সব কিছুরই একটা নিয়ম আছে। শেয়ারবাজারের জন্যও একটি নিয়ম থাকা জরুরি। বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেন কোনোভাবেই বিভ্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে দিকটি লক্ষ রাখতে হবে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। বাজারে যারা ফটকাবাজারি করে টাকা তুলে নিয়ে যেতে চায়, তাদের দিকে নজরদারি প্রতিষ্ঠানের কড়া দৃষ্টি থাকতে হবে। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার আগে সবাইকে বাজার বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে।
এটাও ঠিক যে শেয়ারবাজারের সিংহভাগ বিনিয়োগকারীই এখানে বিনিয়োগ করেন না জেনে, না বুঝে। অনেকেই কম্পানির মৌল ভিত্তি দেখেন না, খোঁজখবর রাখেন না। অনেকে স্বল্প সময় টাকা খাটিয়ে লাভ তুলে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু শেয়ারবাজার স্বল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র নয়। বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে, এটা কোনো আড়তদারি ব্যবসা নয়। এই বাজারে ব্যবসা করলে সেখান থেকে লাভ আসবেই_এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বাজার যেন অস্বাভাবিক হয়ে না ওঠে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। হঠাৎ বাজার স্ফীত হয়ে ওঠাটা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এর পেছনে যে ফটকাবাজারিদের হাত থাকে সেটা সবাইকে বুঝতে হবে।
নানা কারণেই পুঁজিবাজারে দরপতন হতে পারে। তবে এটাও ঠিক, সব কিছুরই একটা নিয়ম আছে। শেয়ারবাজারের জন্যও একটি নিয়ম থাকা জরুরি। বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেন কোনোভাবেই বিভ্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে দিকটি লক্ষ রাখতে হবে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। বাজারে যারা ফটকাবাজারি করে টাকা তুলে নিয়ে যেতে চায়, তাদের দিকে নজরদারি প্রতিষ্ঠানের কড়া দৃষ্টি থাকতে হবে। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার আগে সবাইকে বাজার বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে।
No comments