নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতায় মির্জ্জা আজিজ-ব্যাংক খাত বিশ্বাসভঙ্গের দায় থেকে পুরো মুক্ত নয়
মানুষের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত দেশের ব্যাংক খাত বিশ্বাস ভঙ্গের দায় থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়। আর, বিশ্বাস ভঙ্গ মানেই হলো অনৈতিক কাজ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম একাদশ নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতায় ‘ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতা’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব কথা বলেন। মানুষের প্রতি আরও দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে তাই তিনি ব্যাংক খাতে নৈতিকতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায়
স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত এবারের স্মারক বক্তা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে ১৪ পৃষ্ঠার এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিআইবিএম পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আতিউর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক (ডিজি) তৌফিক আহমেদ চৌধূরী।
৫০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএমের ডিজি নুরুল মতিনের নামে প্রতিবছরই এ বক্তৃতার আয়োজন করা হয় এবং এতে একজন করে বক্তা থাকেন। প্রথম স্মারক বক্তা ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য অনৈতিক ঝুঁকি নিচ্ছে। গোটা অর্থনীতিতেই যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা থাকে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ পর্যন্ত যতগুলো মন্দা দেখা দিয়েছে, তার প্রায় সবগুলোর পেছনেই রয়েছে ব্যাংকের অতি লোভী প্রবণতা।
সাবেক উপদেষ্টা আরও বলেন, এমনকি ২০০৮-০৯ সময়কালের যে বিশ্বমন্দা, তার অন্যতম কারণও ২০০৭ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নমনীয় মুদ্রানীতি। তখন মানুষ নিয়মনীতির ধার না ধেরে ব্যাংক থেকে সহজে ও স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে সম্পত্তি কেনা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে এমন কথাও চালু যে একজন নারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁর স্বামীকে হত্যা করাবেন বলে।
অর্থনীতি ও সমাজ—উভয়ের জন্যই ব্যাংক খাতে নৈতিকতা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন মির্জ্জা আজিজ। আর এ নৈতিকতা বজায়ের জন্য তিনি চারটি মূল স্তম্ভ চিহ্নিত করেন। এগুলো হচ্ছে: নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক সদাচরণ, স্বচ্ছ আর্থিক বিবরণী প্রকাশ এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন।
এর আগে মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘জানি না, বেসরকারি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন কি না। মনে হয়, এখন আমি যা বলব, তা তাঁরা পছন্দ করবেন না।’
ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) পালন বিষয়ে বৃত্তি, অনুদান বা দাতব্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কিছু কাজ বর্তমানে হলেও মির্জ্জা আজিজ বিষয়টিকে আরও বড় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার পরামর্শ দেন। বলেন, মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য নিরসনে ব্যাংক খাত কতটা কী করল।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, অসুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবর্তে ব্যাংকগুলো নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিতে পারে। ভাবমূর্তি বাড়লে গ্রাহক বাড়বে, ব্যবসাও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলো নৈতিকতা অনুশীলনের মান নির্ণয়ের জন্য উপযুক্ত স্থানে রয়েছে। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যে নৈতিকতা অনুশীলন করে, ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানেও তা প্রতিষ্ঠা করার শর্তারোপ করতে পারে।
৫০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএমের ডিজি নুরুল মতিনের নামে প্রতিবছরই এ বক্তৃতার আয়োজন করা হয় এবং এতে একজন করে বক্তা থাকেন। প্রথম স্মারক বক্তা ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য অনৈতিক ঝুঁকি নিচ্ছে। গোটা অর্থনীতিতেই যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা থাকে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ পর্যন্ত যতগুলো মন্দা দেখা দিয়েছে, তার প্রায় সবগুলোর পেছনেই রয়েছে ব্যাংকের অতি লোভী প্রবণতা।
সাবেক উপদেষ্টা আরও বলেন, এমনকি ২০০৮-০৯ সময়কালের যে বিশ্বমন্দা, তার অন্যতম কারণও ২০০৭ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নমনীয় মুদ্রানীতি। তখন মানুষ নিয়মনীতির ধার না ধেরে ব্যাংক থেকে সহজে ও স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে সম্পত্তি কেনা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে এমন কথাও চালু যে একজন নারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁর স্বামীকে হত্যা করাবেন বলে।
অর্থনীতি ও সমাজ—উভয়ের জন্যই ব্যাংক খাতে নৈতিকতা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন মির্জ্জা আজিজ। আর এ নৈতিকতা বজায়ের জন্য তিনি চারটি মূল স্তম্ভ চিহ্নিত করেন। এগুলো হচ্ছে: নিয়ন্ত্রকের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক সদাচরণ, স্বচ্ছ আর্থিক বিবরণী প্রকাশ এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন।
এর আগে মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘জানি না, বেসরকারি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন কি না। মনে হয়, এখন আমি যা বলব, তা তাঁরা পছন্দ করবেন না।’
ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) পালন বিষয়ে বৃত্তি, অনুদান বা দাতব্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কিছু কাজ বর্তমানে হলেও মির্জ্জা আজিজ বিষয়টিকে আরও বড় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার পরামর্শ দেন। বলেন, মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য নিরসনে ব্যাংক খাত কতটা কী করল।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, অসুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবর্তে ব্যাংকগুলো নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিতে পারে। ভাবমূর্তি বাড়লে গ্রাহক বাড়বে, ব্যবসাও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলো নৈতিকতা অনুশীলনের মান নির্ণয়ের জন্য উপযুক্ত স্থানে রয়েছে। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যে নৈতিকতা অনুশীলন করে, ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানেও তা প্রতিষ্ঠা করার শর্তারোপ করতে পারে।
No comments