নিজেই থেমে গেলেন ক্লার্ক
অপরাজিত ৩৩৪ রানে থেকে মার্ক টেলর ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন ডন ব্র্যাডম্যানের পাশে থাকবেন বলে। তা অপরাজিত ৩২৯ রানে দাঁড়িয়ে মাইকেল ক্লার্কের ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়ার কী কারণ? হাতছানি দিচ্ছিল ব্রায়ান লারার অপরাজিত ৪০০ রানের রেকর্ড। যেভাবে খেলছিলেন, তাতে এটি মোটেই অসম্ভব কিছু বলে মনে হচ্ছিল না। এমনও নয় যে, হাতে সময় ছিল না। তাহলে, কেন? উত্তরে টেলরের মতো কোনো ক্রিকেট রোমান্টিসিজম লুকিয়ে নেই। ক্লার্কের চিন্তা
সহজ-সরল, যেটির প্রথম ও শেষ কথা একটাই—নিজের আগে দল। বিস্তারিত শুনুন ক্লার্কের মুখেই, ‘সবকিছুর আগে দল, দলের জন্যই আমরা খেলি। এই খেলাটায় আমি সবচেয়ে যেটা ভালোবাসি, তা হলো দলের জয়। খেলোয়াড় হিসেবে আমি সব সময়ই এমন ছিলাম, অধিনায়ক হিসেবেও কেন ব্যতিক্রম হতে যাব? ব্যাটিং করে যাওয়াটাই দলের জন্য ভালো হলে তা-ই করতাম। উইকেট এখনো ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ, আমি চেয়েছি ওদের অলআউট করার জন্য আমার বোলারদের সম্ভব সবচেয়ে বেশি সময় দিতে।’
কাল সিডনির সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন হলো এর পরও। ব্রায়ান লারার ৪০০ বা ম্যাথু হেইডেনের অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ড ৩৮০ না হোক, ডন ব্র্যাডম্যান ও মার্ক টেলরের ৩৩৪ তো ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বেই। ক্লার্কের দাবি, এসব মাইলফলক তাঁর চিন্তাতেই আসেনি, ‘এটা আমি ভাবিইনি, ডন ব্র্যাডম্যান বা মার্ক টেলর আমার মাথাতেই ছিল না। আমি শুধু ভেবেছি দলের রান যথেষ্ট হয়েছে কি না, হলেই ইনিংস ঘোষণা করে ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। গোটা দুই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করব। চাইছিলাম, হাসির দেড় শ হোক, এটা ওর প্রাপ্য ছিল। ওর দেড় শ হলো, দলের লিডও সাড়ে চার শ, মনে হলো এটাই উপযুক্ত সময়।’
উইকেটে তাঁর সঙ্গী হাসির জন্যও সিদ্ধান্তটা চমক হয়েই এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে ক্লার্কের পাশে বসেই বললেন, ‘লাঞ্চের সময় এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি, শুধু আলোচনা হয়েছিল আমরা ইতিবাচক খেলব। ইনিংস ঘোষণার মিনিট দশেক আগে হঠাৎই “পাপ” বলল “একটু চালিয়ে খেলে দেড় শ করবে? তাহলে পানিপানের বিরতিতে ইনিংস ঘোষণা করব।” হাসির অসাধারণ ইনিংসটাও অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছে ক্লার্কের কীর্তিতে।’ ‘মিস্টার ক্রিকেট’-এর অবশ্য তাতে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘সত্যি আমার কোনো সমস্যা নেই। মাঠেই আমি “পাপ”কে বলেছি, সিডনিতে সবচেয়ে বড় ইনিংসের সাক্ষী ও অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত ও গর্বিত।’
দলের বৃহত্তর স্বার্থের কাছে ব্যক্তিগত অর্জনকে যতই গৌণ ভাবুন, সাফল্যের একটা তৃপ্তি তো ঠিকই আছে। ইনিংস ঘোষণায় সবাইকে চমকে দিয়েছেন, আর ক্লার্ক নিজেই নিজেকে চমকে দিয়েছেন এত লম্বা সময় ব্যাটিং করে, ‘সবচেয়ে কঠিন ছিল এত লম্বা সময় ব্যাটিং করা। ক্যারিয়ারে কোনো দলের হয়ে কোনো ধরনের ম্যাচেই কখনো এত সময় ব্যাটিং করিনি। ট্রিপল সেঞ্চুরির আশাও আমি করিনি। সেটা করে ফেলে আমি তাই ঘোরের মধ্যে আছি। অন্যসব রেকর্ডের কথা যদি বলেন, আমি যা পেয়েছি তাতেই খুশি।’
ব্যাটিং করেছেন ১০ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। দেশের মাটিতে কোনো অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়ার পর ক্লার্কের ডাকনামটা কি আর ‘পাপ’ থাকা উচিত? যেটির আক্ষরিক অর্থ “ছোট্ট কুকুরছানা”!
সংবাদ সম্মেলনে মজা করেই প্রশ্নটা করলেন এক সাংবাদিক। মাইক হাসি নতুন একটি নাম প্রস্তাব করলেন, ‘ডগ?’ হাসির হুল্লোড়ের মধ্যে ক্লার্ক বললেন, ‘ডগ’ নামে আমার কোনো সমস্যা নেই...এর চেয়েও খারাপ নামে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি বরং এই নামকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই দেখব।’ গত অ্যাশেজে এই সিডনিতেই ঘরের দর্শকদের কাছ থেকে দুয়ো শুনেছেন, অ্যাশেজ বিপর্যয়ের পর ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে সমালোচনায়। সেসব কি আর ভুলে গেছেন ক্লার্ক?
অপরাজিত ৩২৯ রানের ইনিংসটি বোধহয় সেসব দিন আর ফিরে না আসার নিশ্চয়তা হয়েও এল। নিজের কথা না ভেবে দলের কথা ভাবার একটা কারণ তো এটাও ছিল। ‘আশা করি, এটা আমাকে সবার সম্মান পেতে সাহায্য করবে’—সামান্য চাওয়াটা জানিয়েই দিয়েছেন ক্লার্ক। তথ্যসূত্র: এএফপি ও ওয়েবসাইট।
কাল সিডনির সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন হলো এর পরও। ব্রায়ান লারার ৪০০ বা ম্যাথু হেইডেনের অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ড ৩৮০ না হোক, ডন ব্র্যাডম্যান ও মার্ক টেলরের ৩৩৪ তো ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বেই। ক্লার্কের দাবি, এসব মাইলফলক তাঁর চিন্তাতেই আসেনি, ‘এটা আমি ভাবিইনি, ডন ব্র্যাডম্যান বা মার্ক টেলর আমার মাথাতেই ছিল না। আমি শুধু ভেবেছি দলের রান যথেষ্ট হয়েছে কি না, হলেই ইনিংস ঘোষণা করে ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। গোটা দুই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করব। চাইছিলাম, হাসির দেড় শ হোক, এটা ওর প্রাপ্য ছিল। ওর দেড় শ হলো, দলের লিডও সাড়ে চার শ, মনে হলো এটাই উপযুক্ত সময়।’
উইকেটে তাঁর সঙ্গী হাসির জন্যও সিদ্ধান্তটা চমক হয়েই এসেছে। সংবাদ সম্মেলনে ক্লার্কের পাশে বসেই বললেন, ‘লাঞ্চের সময় এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি, শুধু আলোচনা হয়েছিল আমরা ইতিবাচক খেলব। ইনিংস ঘোষণার মিনিট দশেক আগে হঠাৎই “পাপ” বলল “একটু চালিয়ে খেলে দেড় শ করবে? তাহলে পানিপানের বিরতিতে ইনিংস ঘোষণা করব।” হাসির অসাধারণ ইনিংসটাও অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছে ক্লার্কের কীর্তিতে।’ ‘মিস্টার ক্রিকেট’-এর অবশ্য তাতে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘সত্যি আমার কোনো সমস্যা নেই। মাঠেই আমি “পাপ”কে বলেছি, সিডনিতে সবচেয়ে বড় ইনিংসের সাক্ষী ও অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত ও গর্বিত।’
দলের বৃহত্তর স্বার্থের কাছে ব্যক্তিগত অর্জনকে যতই গৌণ ভাবুন, সাফল্যের একটা তৃপ্তি তো ঠিকই আছে। ইনিংস ঘোষণায় সবাইকে চমকে দিয়েছেন, আর ক্লার্ক নিজেই নিজেকে চমকে দিয়েছেন এত লম্বা সময় ব্যাটিং করে, ‘সবচেয়ে কঠিন ছিল এত লম্বা সময় ব্যাটিং করা। ক্যারিয়ারে কোনো দলের হয়ে কোনো ধরনের ম্যাচেই কখনো এত সময় ব্যাটিং করিনি। ট্রিপল সেঞ্চুরির আশাও আমি করিনি। সেটা করে ফেলে আমি তাই ঘোরের মধ্যে আছি। অন্যসব রেকর্ডের কথা যদি বলেন, আমি যা পেয়েছি তাতেই খুশি।’
ব্যাটিং করেছেন ১০ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। দেশের মাটিতে কোনো অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়ার পর ক্লার্কের ডাকনামটা কি আর ‘পাপ’ থাকা উচিত? যেটির আক্ষরিক অর্থ “ছোট্ট কুকুরছানা”!
সংবাদ সম্মেলনে মজা করেই প্রশ্নটা করলেন এক সাংবাদিক। মাইক হাসি নতুন একটি নাম প্রস্তাব করলেন, ‘ডগ?’ হাসির হুল্লোড়ের মধ্যে ক্লার্ক বললেন, ‘ডগ’ নামে আমার কোনো সমস্যা নেই...এর চেয়েও খারাপ নামে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি বরং এই নামকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই দেখব।’ গত অ্যাশেজে এই সিডনিতেই ঘরের দর্শকদের কাছ থেকে দুয়ো শুনেছেন, অ্যাশেজ বিপর্যয়ের পর ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে সমালোচনায়। সেসব কি আর ভুলে গেছেন ক্লার্ক?
অপরাজিত ৩২৯ রানের ইনিংসটি বোধহয় সেসব দিন আর ফিরে না আসার নিশ্চয়তা হয়েও এল। নিজের কথা না ভেবে দলের কথা ভাবার একটা কারণ তো এটাও ছিল। ‘আশা করি, এটা আমাকে সবার সম্মান পেতে সাহায্য করবে’—সামান্য চাওয়াটা জানিয়েই দিয়েছেন ক্লার্ক। তথ্যসূত্র: এএফপি ও ওয়েবসাইট।
No comments