নিখোঁজ পাঁচ জেলের একজনের লাশ উদ্ধার-রাঙামাটিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত
বাঙালিদের তিনটি সংগঠনের ডাকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। বরকলে নিখোঁজ পাঁচ বাঙালি জেলে উদ্ধার, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১৬ জনের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং বাঘাইছড়িতে নিহত মোটরসাইকেলের চালক আবদুস সাত্তারের খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও
সম-অধিকার ছাত্র আন্দোলন একযোগে এ হরতালের ডাক দেয়। অপরদিকে নিখোঁজ এক জেলের লাশ গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন আবারও ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে অপহূত জেলেদের উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারকৃত ১৬ জনকে মুক্তি দেওয়া না হলে পরবর্তী সময়ে অনির্দিষ্টকালের হরতালের ডাক দেওয়া হবে। হরতাল চলাকালে রাঙামাটি শহরে কোনো যানবাহন চলেনি। শহর থেকে নৌপথে কোনো লঞ্চও ছাড়েনি। অফিস-আদালতে লোকজনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম থেকে আসা দেড় শতাধিক যানবাহন রাঙামাটি পৌর এলাকার প্রবেশমুখ মানিকছড়িতে প্রায় সারা দিন আটকে ছিল। অনেক যাত্রী সেখান থেকে হেঁটে শহরে চলে আসে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি পেয়ার আহমেদ খান জানান, হরতাল চলাকালে কোথাও কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে বলে তিনি জানান। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলেদের উদ্ধার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ৪ ডিসেম্বর রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী তাগলকবাগ এলাকার কর্ণফুলী নদী থেকে পাঁচ বাঙালি জেলে গভীর রাতে নিখোঁজ হন। নিখোঁজদের পরিবার ও বাঙালিদের অভিযোগ, আদিবাসী সন্ত্রাসীরা ওই পাঁচজনকে অপহরণ করেছে।
নিখোঁজ পাঁচজনকে উদ্ধারের দাবিতে বরকল থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে এসে গত রোববার একদল বাঙালি রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় আবদুস সাত্তার নামের এক মোটরসাইকেল চালক আবদুস সাত্তার খুন হন।
একজনের লাশ উদ্ধার
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বরকল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঙালি-অধ্যুষিত ইসলামপুর এলাকার কর্ণফুলী ও কাচালং নদীর সংযোগস্থল থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সম-অধিকার আন্দোলনের নেতারা দাবি করছেন, উদ্ধারকৃত লাশটি নিখোঁজ রমজান আলীর। তাঁর বাবা মো. জাহেদ আলী বাদী হয়ে ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য আদিবাসীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন। তবে লাশ উদ্ধারের স্থানটি পাঁচ জেলে নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে কমপক্ষে ৮৫ কিলোমিটার ভাটিতে বলে জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কবির হোসেন লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিকটাত্মীয়রা লাশটি নিখোঁজ রমজান আলীর বলে শনাক্ত করেছেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও মংক্য চিং জানান, লাশটিতে আংশিক পচন ধরলেও শনাক্ত করার মতো ছিল। লাশটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম থেকে আসা দেড় শতাধিক যানবাহন রাঙামাটি পৌর এলাকার প্রবেশমুখ মানিকছড়িতে প্রায় সারা দিন আটকে ছিল। অনেক যাত্রী সেখান থেকে হেঁটে শহরে চলে আসে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি পেয়ার আহমেদ খান জানান, হরতাল চলাকালে কোথাও কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে বলে তিনি জানান। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলেদের উদ্ধার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ৪ ডিসেম্বর রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী তাগলকবাগ এলাকার কর্ণফুলী নদী থেকে পাঁচ বাঙালি জেলে গভীর রাতে নিখোঁজ হন। নিখোঁজদের পরিবার ও বাঙালিদের অভিযোগ, আদিবাসী সন্ত্রাসীরা ওই পাঁচজনকে অপহরণ করেছে।
নিখোঁজ পাঁচজনকে উদ্ধারের দাবিতে বরকল থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে এসে গত রোববার একদল বাঙালি রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় আবদুস সাত্তার নামের এক মোটরসাইকেল চালক আবদুস সাত্তার খুন হন।
একজনের লাশ উদ্ধার
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বরকল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঙালি-অধ্যুষিত ইসলামপুর এলাকার কর্ণফুলী ও কাচালং নদীর সংযোগস্থল থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সম-অধিকার আন্দোলনের নেতারা দাবি করছেন, উদ্ধারকৃত লাশটি নিখোঁজ রমজান আলীর। তাঁর বাবা মো. জাহেদ আলী বাদী হয়ে ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য আদিবাসীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন। তবে লাশ উদ্ধারের স্থানটি পাঁচ জেলে নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে কমপক্ষে ৮৫ কিলোমিটার ভাটিতে বলে জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কবির হোসেন লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিকটাত্মীয়রা লাশটি নিখোঁজ রমজান আলীর বলে শনাক্ত করেছেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও মংক্য চিং জানান, লাশটিতে আংশিক পচন ধরলেও শনাক্ত করার মতো ছিল। লাশটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
No comments