বৃটেনে ফের আলোচনায় বাংলাদেশী প্রকৌশলী রাজিব
মানবজমিন ডেস্ক: বাংলাদেশী সফটওয়্যার প্রকৌশলী রাজিব করিম বৃটেনে ফের আলোচনার ঝড় তুলেছেন। তিনি বৃটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ স্টাইলে হামলা চালিয়ে কয়েক শ’ মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমন অভিযোগে গত মার্চে তাকে জেল দেয়া হয়েছে। কিন্তু জেল থেকে তাকে বন্ধুবান্ধব ও দেশের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কম খরচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপি ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না। এ মর্মে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। স্কাইপি হলো কম খরচে অনলাইনে ভিডিও লিংক-আপ ব্যবহার করে ফোন সুবিধার মাধ্যম। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাকে এমন সুবিধা দেয়া যায় না। তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। কারণ, তিনি নিজে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কম্পিউটার ব্যবহার করে অনেক গোপন তথ্য পাচার করতে পারেন। মুক্তভাবে যে কোন বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। তাকে এমন সুবিধা দেয়া যায় না। তাকে একটি কম্পিউটার সুবিধা দেয়া যায় এবং একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা ওপেন করে দেয়া যায়। ২রা জানুয়ারি এ নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে সেখানে আলোচনার ঝড় চলছে। এতে ৩২ বছর বয়সী রাজিব করিমকে ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি একটি বৃটিশ এয়ারওয়েজের যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীবাহী বিমানে কেবিন ক্রু হিসেবে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এতে তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আল কায়েদার এক নেতা আনওয়ার আল আওলাকির। এ জন্য রাজিব করিমের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগে গত বছর তাকে ৩০ বছরের জেল দেয় উলউইচ ক্রাউন কোর্ট। এ রায় দেন বিচারক ক্যালভার্ট-স্মিথ। তিনি তখন বলেন- বাংলাদেশী বংশোদভূত রাজিব করিমকে তার শাস্তিভোগের পর দেশে ফেরত পাঠানো যাবে। তাকে রাখা হয়েছে ডারবানে এইচএমপি ফ্রাঙ্কল্যান্ডের জেলে। রাজিব করিম দুই সন্তানের জনক। তাকে জেলে এখন একটি পে-ফোন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতে অনেক বেশি খরচ। ফলে তিনি বন্দিদের জন্য সংবাদপত্র ‘ইনসাইড টাইম’-এ একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, জেলখানায় পিআইএন সিস্টেমে আন্তর্জাতিক ফোন কলের খরচ প্রচুর। এক্ষেত্রে একটি প্রকৃত সমাধান হচ্ছে স্কাইপি ব্যবহার করতে দেয়া। এটা ব্যবহারে আইনি বাধা থাকার কথা নয়। কারণ এতে জেলখানার কোন আইন লঙ্ঘন হয় না। স্কাইপি ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে কথা বলা হবে। তার কাছে কল আসবে না। সমপ্রতি আমি স্কাইপি ব্যবহার করে প্রথম একটি কল করার চেষ্টা করি। কিন্তু জেলখানার স্টাফরা আমাকে বাধা দেন।
No comments