সরকারের তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী-দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করিনি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সর্বক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য দাবি করব না। তবে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করিনি। ভবিষ্যতেও করব না।’ আগের দুই সরকারের কাছ থেকে ‘পর্বতসমান সমস্যা’সহ দায়িত্ব নেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে যাচ্ছি। সরকার গঠনের প্রথম দিন থেকেই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাজোট সরকারের তিন বছর পূর্তি
উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গত তিন বছরে তাঁর সরকারের খাতওয়ারি সাফল্য, বিশেষ করে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস, ব্যাপক কর্মসংস্থান, ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন, জনশক্তি রপ্তানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দল ও আদর্শ ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু দেশ ও মানুষের স্বার্থকে দলমতের ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় গত তিন বছরে বিরোধী দলের কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। বরং তারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক সময় দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা মাসের পর মাস সংসদ বর্জন করছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী মাত্র ছয় দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। বাধাহীনভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তব্য দিলেও কেন এই সংসদ বর্জন?’
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে স্বাগত জানান। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের রক্ষায় জ্বালাও-পোড়াও ও হরতাল না করতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংসদনেত্রী বলেন, ‘যত বাধাই আসুক, বাংলার মাটিতে এদের বিচার আমরা করবই। বঙ্গবন্ধুুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে অনেকেই চেষ্টা করেছিল, পারেনি।’
বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। উৎপাদন বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৭৫০ কোটি ডলার। জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে। প্রবাসী-আয় ৯২০ কোটি ডলার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারি খাতেই সাড়ে চার লাখের বেশি নারী-পুরুষ চাকরি পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে। গত তিন বছরে অতিরিক্ত দুই হাজার ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। রেকর্ড প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে।
শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ৯৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ জনগণ ও ৯৫ শতাংশ এলাকা টেলিকম সার্ভিস ও নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দল ও আদর্শ ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু দেশ ও মানুষের স্বার্থকে দলমতের ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় গত তিন বছরে বিরোধী দলের কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। বরং তারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক সময় দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা মাসের পর মাস সংসদ বর্জন করছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী মাত্র ছয় দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। বাধাহীনভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তব্য দিলেও কেন এই সংসদ বর্জন?’
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে স্বাগত জানান। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের রক্ষায় জ্বালাও-পোড়াও ও হরতাল না করতে বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংসদনেত্রী বলেন, ‘যত বাধাই আসুক, বাংলার মাটিতে এদের বিচার আমরা করবই। বঙ্গবন্ধুুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে অনেকেই চেষ্টা করেছিল, পারেনি।’
বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। উৎপাদন বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৭৫০ কোটি ডলার। জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে। প্রবাসী-আয় ৯২০ কোটি ডলার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারি খাতেই সাড়ে চার লাখের বেশি নারী-পুরুষ চাকরি পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে। গত তিন বছরে অতিরিক্ত দুই হাজার ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। রেকর্ড প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে।
শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ৯৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ জনগণ ও ৯৫ শতাংশ এলাকা টেলিকম সার্ভিস ও নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে।
No comments