কোনো সমস্যা হবে না: তেহরান-ইরানের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ
ইরানের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তোড়জোড় শুরু করলেও তেহরান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, এতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। গত বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক কূটনীতিক জানান, ইরান থেকে তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে ইউরোপীয় ২৭টি দেশের সংস্থা ইইউ। কিন্তু ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি গতকাল বলেছে, ইরানের তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কাজেই ইইউ তেল আমদানি বন্ধ করলেও তেল বিক্রিতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। ইরানের তেল মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে তেল কোম্পানির পরিচালক মোহসিন কামসারি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ইরানের তেলের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। এর পরও যদি এমনটি হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
ইরানি তেলের ওপর কবে থেকে নিষেধাজ্ঞা চালু করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে ইইউয়ের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে। তবে ফ্রান্স জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে তারা আশা করছে।
ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে, এই অভিযোগে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করে চলেছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তাদের একমাত্র লক্ষ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন।
ইরান তাদের মোট রপ্তানির ১৮ শতাংশ তেল বিক্রি করে ইইউয়ের দেশগুলোর কাছে। চীনের পর ইইউ তাদের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইরানের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশ আসে তেল রপ্তানি থেকে। কাজেই ইইউ আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইরানের অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে দেশটির নেতারা বলছেন, ইউরোপের পরিবর্তে তারা সহজেই এশিয়ায় তেল রপ্তানি বাড়িয়ে দিতে পারবে।
ইরান থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার ইইউয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, অন্য দেশগুলোরও উচিত একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তেল বিক্রির অর্থের বেশির ভাগ আসে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাছ থেকে নয়, সারা বিশ্বের সবার কাছ থেকে প্রত্যাশা করছি।’
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি করাতে আগামী সপ্তাহে চীন ও জাপান সফরে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গেইদনার। তবে চীন গত বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে তারা। এএফপি।
ইরানি তেলের ওপর কবে থেকে নিষেধাজ্ঞা চালু করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে ইইউয়ের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে। তবে ফ্রান্স জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে তারা আশা করছে।
ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে, এই অভিযোগে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করে চলেছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। তাদের একমাত্র লক্ষ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন।
ইরান তাদের মোট রপ্তানির ১৮ শতাংশ তেল বিক্রি করে ইইউয়ের দেশগুলোর কাছে। চীনের পর ইইউ তাদের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইরানের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশ আসে তেল রপ্তানি থেকে। কাজেই ইইউ আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইরানের অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে দেশটির নেতারা বলছেন, ইউরোপের পরিবর্তে তারা সহজেই এশিয়ায় তেল রপ্তানি বাড়িয়ে দিতে পারবে।
ইরান থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার ইইউয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, অন্য দেশগুলোরও উচিত একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তেল বিক্রির অর্থের বেশির ভাগ আসে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাছ থেকে নয়, সারা বিশ্বের সবার কাছ থেকে প্রত্যাশা করছি।’
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি করাতে আগামী সপ্তাহে চীন ও জাপান সফরে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গেইদনার। তবে চীন গত বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে তারা। এএফপি।
No comments