র ঙ বে র ঙ-জিরাফের সঙ্গীতপ্রীতি

লা হয়, গান মানুষের দুঃখ ভুলে দেয়। মনে প্রশান্তি আনে। আর তাই সুখের সময় মানুষ যেমন গানা-বাজনায় মেতে থাকে, তেমনি প্রচণ্ড কষ্টের সময়ও গান শোনে। মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণীও কি গান শুনে মাতোয়ারা হয়? আনন্দ প্রকাশ করে? ইতিমধ্যে কুকুর, বিড়াল জাতীয় প্রাণীর সঙ্গীতপ্রিয়তার কথা হয়তো অনেকেরই জানা আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হলো জিরাফ। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের এমার্সফোর্ট অ্যানিমল পার্কের জিরাফের খাঁচার কাছে উচ্চস্বরে বাজানো হয় পপ


সঙ্গীত। ওই সময় কিছু জিরাফ দৌড়াদৌড়িতে মেতেছিল। পপ গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো জিরাফ শান্ত হয়ে যায়। তন্ময় হয়ে সঙ্গীত শুনতে থাকে! একেবারেই চুপ হয়ে যায়। নেদারল্যান্ডসের এমার্সফোর্ট অ্যানিমল পার্ক আঠারো হেক্টর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। এই পার্কে আছে একশ' ত্রিশ প্রজাতির প্রাণী। পার্কটি এমন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানকার আবহাওয়া পশুপাখির বসবাসের জন্য অনেকটাই অনুপযোগী। আর এ কারণে প্রায়ই কিছু প্রজাতির প্রাণী মাঝে মধ্যে অসুহিষ্ণু আচরণ করে থাকে। এর মধ্যে জিরাফ একটি। বাগে থাকতেই চায় না। চিড়িয়াখানাটির রক্ষক জোসেন ভ্যান এইজেক প্রাণীগুলোকে স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনের পন্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর ফল পেলেন ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। এএফপিকে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণীগুলোকে নানা ধরনের গান শোনানো হচ্ছিল। কোনো ধরনের গানই প্রাণীগুলোর মনোপূত হচ্ছিল না। অবশেষে লেডি গাগার উচ্চস্বরের পপসঙ্গীত শোনাই। এতেই কাজ হয়। পাঁচটি চঞ্চল জিরাফ গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে শান্ত হয়ে যায়। তবে অন্য কারও পপসঙ্গীত যে প্রাণীগুলো ভালোবাসবে না, তা নয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, উচ্চস্বরের গান বা শব্দ শুনলেই প্রাণীগুলো শান্ত হয়ে আসে।
মজার ব্যাপার হলো, পপসঙ্গীতের প্রতি জিরাফের অসম্ভব ভক্তি দেখে যারা বাসায় বিভিন্ন পশুপাখি পোষেন, তারা তাদের প্রাণীগুলোকে ড্রাগ বা নেশাজাতীয় দ্রব্যের বদলে কীভাবে শান্ত রাখা যায়, তা জানতে চিঠি পাঠাচ্ছেন জোসেন ভ্যানের কাছে। তিনিও সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, উচিত জবাব দিতে। কিন্তু সব প্রাণীই যে পপ গানের ভক্ত হবে, তারও তো মানে নেই। দেখুন না আপনার পোষা প্রাণীটি কোন গান শুনতে ভালোবাসে?
হ সোহাগ আহমেদ

No comments

Powered by Blogger.