কয়লার দাম ১০ ডলার বাড়ালো ভারতের ব্যবসায়ীরা
ওয়েছ খছরু ও মিনহাজ উদ্দিন, সিলেট থেকে : ভারতের ব্যবসায়ীরা টনপ্রতি কয়লার দাম বাড়ালো ১০ ডলার। আগে মেঘালয় রাজ্য থেকে আমদানি করা কয়লা টনপ্রতি ৫০ ডলারে ক্রয় করতেন ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে ৬০ ডলারে ক্রয় করতে হবে। গতকাল সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশনে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল প্রায় ১৫ দিন আগে। ১লা জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার বেশি দামে কয়লা ক্রয় করা হবে পৃষ্ঠা ৫ কলাম ২
। কিন্তু গত বছরের এলসি করা কয়লার দাম বাড়িয়ে দিলে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা দেখা দেয় তামাবিল স্থলবন্দরে। আমদানি বন্ধ থাকে কয়লা। এ অবস্থায় গতকাল উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা তামাবিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্তে পৌঁছায় আবারও শুরু হতে যাচ্ছে ভারত থেকে কয়লা আমদানি। ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেছেন আগামী রোববার থেকে পুনরায় তামাবিল সীমান্ত দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হবে। এর আগে ২৩শে ডিসেম্বর থেকে এ অচলাবস্থা বিরাজ করলে বুধবার তা নিরসনের জন্য দফায় দফায় আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিলেটের কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন ও গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. মোকসেদুল মুমিন তামাবিল শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করেন। তামাবিল শুল্ক স্টেশনের অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ নেতৃবৃন্দ তাদের ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আলোচনায় মিলিত হন। তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কয়লা ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন ও মিন্টু মজুমদার, জৈন্তাপুর সতের পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য আতাউর রহমান বাবুল ও আব্দুস শুকুর, ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মিন্টু, ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, সরওয়ার হোসেন সেদু, সবুজ বাবু, শামছুদ্দিন, আব্দুস ছালাম, নুরুদ্দিন, কয়লা শ্রমিক সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন মিয়া ও সেক্রেটারি বাচ্চু মিয়া প্রমুখ। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা তাদের আগের চুক্তি অনুযায়ী কয়লা আমদানি করতে একমত হন। অন্যথায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ধর্মঘট ও ব্যবসায়িক সব ক্ষেত্রে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তামাবিল স্থলবন্দরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। এতে প্রতিদিন সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমদানিকারকরা জানান, আগের চুক্তি ভঙ্গ করে ৫০ ডলারের পরিবর্তে ৬০ ডলারে কয়লা আমদানি করা হলে তাদের কয়েক লাখ ডলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় তামাবিল জিরো পয়েন্টে স্থানীয় আমদানিকারক ও ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে ১৫-২০ মিনিটের এক সমঝোতা বৈঠক হয়। এ সময় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দাবি উত্থাপন করলেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় সভা মুলতবি করে পরদিন আবার সভা ডাকা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ ও তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাবেক সভাপতি আবদাল মিয়া সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক যুক্তি উপস্থাপন করেন। কিন্তু তামাবিল সমিতির ব্যবসায়ীরা এক দফা দাবি আদায়ে অনড় থাকায় কোন সমাধান হয়নি। এ সভায় দুই সমিতির নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার পুনরায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা বৈঠক করতে একমত হন। আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ফলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় গোয়াইনঘাট থানার ৪০ সদস্যের একদল পুলিশ বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থান নেয়। গত ২৩শে ডিসেম্বর থেকে বড়দিন উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বন্ধ রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন কয়লা বাংলাদেশে রপ্তানি করেনি। কারণ ২০১১ সালে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিটন কয়লা ৫০ ডলার দামে চুক্তি করা ছিল। নতুন বছরে নতুন করে প্রতি টন কয়লা ৬০ ডলার দাম নির্ধারণ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এমদাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, সাবেক সভাপতি আব্দাল মিয়া, আবদুল হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, হাজী কলন্দর আলী, শাহ আলম, শামসুদ্দিন ও ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ট্রেড চেম্বারের সভাপতি মি. থান, সাধারণ সম্পাদক মি. ইয়াং, এবি খাবিয়ান, মি. ঠাকুর, মি. স্টোন, মি. পল। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা আশা করছেন খুব শিগগিরই আবার কয়লা আমদানি শুরু করা হবে।
। কিন্তু গত বছরের এলসি করা কয়লার দাম বাড়িয়ে দিলে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা দেখা দেয় তামাবিল স্থলবন্দরে। আমদানি বন্ধ থাকে কয়লা। এ অবস্থায় গতকাল উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা তামাবিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্তে পৌঁছায় আবারও শুরু হতে যাচ্ছে ভারত থেকে কয়লা আমদানি। ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেছেন আগামী রোববার থেকে পুনরায় তামাবিল সীমান্ত দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হবে। এর আগে ২৩শে ডিসেম্বর থেকে এ অচলাবস্থা বিরাজ করলে বুধবার তা নিরসনের জন্য দফায় দফায় আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিলেটের কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন ও গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. মোকসেদুল মুমিন তামাবিল শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করেন। তামাবিল শুল্ক স্টেশনের অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ নেতৃবৃন্দ তাদের ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আলোচনায় মিলিত হন। তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কয়লা ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন ও মিন্টু মজুমদার, জৈন্তাপুর সতের পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য আতাউর রহমান বাবুল ও আব্দুস শুকুর, ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মিন্টু, ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, সরওয়ার হোসেন সেদু, সবুজ বাবু, শামছুদ্দিন, আব্দুস ছালাম, নুরুদ্দিন, কয়লা শ্রমিক সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন মিয়া ও সেক্রেটারি বাচ্চু মিয়া প্রমুখ। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা তাদের আগের চুক্তি অনুযায়ী কয়লা আমদানি করতে একমত হন। অন্যথায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ধর্মঘট ও ব্যবসায়িক সব ক্ষেত্রে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তামাবিল স্থলবন্দরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। এতে প্রতিদিন সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমদানিকারকরা জানান, আগের চুক্তি ভঙ্গ করে ৫০ ডলারের পরিবর্তে ৬০ ডলারে কয়লা আমদানি করা হলে তাদের কয়েক লাখ ডলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় তামাবিল জিরো পয়েন্টে স্থানীয় আমদানিকারক ও ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে ১৫-২০ মিনিটের এক সমঝোতা বৈঠক হয়। এ সময় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দাবি উত্থাপন করলেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় সভা মুলতবি করে পরদিন আবার সভা ডাকা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ ও তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাবেক সভাপতি আবদাল মিয়া সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক যুক্তি উপস্থাপন করেন। কিন্তু তামাবিল সমিতির ব্যবসায়ীরা এক দফা দাবি আদায়ে অনড় থাকায় কোন সমাধান হয়নি। এ সভায় দুই সমিতির নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার পুনরায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা বৈঠক করতে একমত হন। আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ফলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় গোয়াইনঘাট থানার ৪০ সদস্যের একদল পুলিশ বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থান নেয়। গত ২৩শে ডিসেম্বর থেকে বড়দিন উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বন্ধ রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন কয়লা বাংলাদেশে রপ্তানি করেনি। কারণ ২০১১ সালে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিটন কয়লা ৫০ ডলার দামে চুক্তি করা ছিল। নতুন বছরে নতুন করে প্রতি টন কয়লা ৬০ ডলার দাম নির্ধারণ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এমদাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, সাবেক সভাপতি আব্দাল মিয়া, আবদুল হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, হাজী কলন্দর আলী, শাহ আলম, শামসুদ্দিন ও ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ট্রেড চেম্বারের সভাপতি মি. থান, সাধারণ সম্পাদক মি. ইয়াং, এবি খাবিয়ান, মি. ঠাকুর, মি. স্টোন, মি. পল। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা আশা করছেন খুব শিগগিরই আবার কয়লা আমদানি শুরু করা হবে।
No comments