ধর্ষণের দায়ে ৮১ বছরের বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
মানবজমিন ডেস্ক: ভারতের এক আদালত ৮১ বছরের বৃদ্ধ মোহিনীরাজ কুলকারনিকে ১০ বছরের এক কন্যা-শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। অতিরিক্ত সেশন জজ এসটি দারানি তাকে মামলার প্রমাণ ধ্বংসের অপরাধে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ১২ হাজার রুপি জরিমানা করেছেন। শিশুটির মা রেখা ওই বৃদ্ধের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখাশোনা করার জন্য তার বাসায় কাজ করতেন। এ সময় রেখার কন্যাকে ওই বৃদ্ধ ২০১০ সালের ১৪ই অক্টোবর ধর্ষণ করে হত্যা করে। মামলায় বলা হয়েছে, শিশুটির মা সন্ধ্যাবেলা মোহিনীরাজ পরিবারের জন্য খাবার আনতে বাড়ির বাইরে গেলে মোহিনীরাজ তার কন্যাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। রেখা ফিরে এসে তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেন। তাকে কোথাও না পেয়ে তিনি বাসার সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠে দেখেন তার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। সে অবস্থায় তিনি মেয়েকে পুনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পথেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। ফলে রেখা তার মেয়েকে হত্যার দায়ে মোহিনীরাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে রেখাকে ৫০ হাজার রুপি দেয়ার প্রস্তাব করে মোহিনীরাজ। পাশাপাশি হুমকিও দেয়। কিন্তু রেখা তার কোন প্রলোভন ও হুমকির কাছে হার মানেননি। তিনি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারক রায় ঘোষণাকালে বলেন, এই মামলা বিরল। আসামির বয়সের দিক বিবেচনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হলো। পুলিশের তদন্তে মোহিনীরাজ যৌনশক্তি বাড়াতে নিয়মিত ভায়াগ্রা সেবন করার তথ্য বেরিয়ে আসে।
No comments