কমে গেছে মূল্যসূচক

দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। কয়েক দিনের ঊর্ধ্বগতির পর বাজারের এই নিম্নগতিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যদিও মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়েই দুই বাজারে গতকাল লেনদেন শুরু হয়েছিল, কিন্তু সেই ধারা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দিনভর মূল্যসূচকের বেশ কয়েক দফা উত্থান-পতন ঘটে। একই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। দিনের শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের


(ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে সব কটিরই দাম বেড়েছিল। সেখানে গতকাল লেনদেন হওয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল চারটির দাম।
ঢাকার বাজারে গতকাল ২৬৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। এদিন ডিএসইতে প্রায় ৬৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১২৯ কোটি টাকা কম।
সপ্তাহের শেষ দিনে ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল যথাক্রমে এনবিএল, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আরএন স্পিনিং, গ্রামীণফোন, কেয়া কসমেটিকস, আফতাব অটো, ইউনাইটেড এয়ার, বেক্সিমকো, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও ফু-ওয়াং সিরামিকস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল প্রায় ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে। চট্টগ্রামের বাজারে এদিন ১৯০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ১২৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। সিএসইতে গতকাল ৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা কম।

No comments

Powered by Blogger.