অপরাহ উইনফ্রে আসছেন ভারতে
বিশ্বখ্যাত টাইমস ও ফবস ম্যাগাজিনের জরিপে পর পর পাঁচবার পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী অপরাহ উইনফ্রে। মার্কিন এই টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ভারত সফরে আসছেন। টুইটারে এক বার্তার মাধ্যমে এ বিষয়ে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্বের সর্বাধিক দর্শকের কাছে জনপ্রিয় টকশো ‘দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো’ খ্যাত এই মার্কিস ধনকুবের টুইটারে জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো আমি ভারত সফরে আসছি আগামী মাসে। আমার নতুন সিরিজ ‘অপরাহস নেক্সট চ্যাপ্টার’-এর কিছু অংশের শুটিং এবার ভারতের সফরে মুম্বই ও জয়পুরে করার ইচ্ছে আছে।
অপরাহ উইনফ্রের এই ভারত সফরে তার সঙ্গে থাকবেন চিকিৎসক এবং আধ্যাত্মিক গুরু দিপক চোপড়া। এ প্রসঙ্গে অপরাহ জানিয়েছেন, দীপক চোপড়াকে সঙ্গে নিয়ে ভারত সফরের পরিকল্পনা করছি। ভারতে প্রথম সফরে উপভোগ্য হবে বলে আশা করছি।
অপরাহ উইনফ্রে ১৯৫৪ সালের ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্য মিসিসিপির নিভৃত পল্লীতে এক অবিবাহিত মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। পরে বেড়ে উঠেছেন উত্তরের শহর মিলওয়াকিতে। তিনি নয় বছর বয়সে ধর্ষিত হন এবং চৌদ্দ বছর বয়সে পিতৃ-পরিচয়হীন এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন। শিশুটি অবশ্য জন্মের কিছুদিন পর মারা যায়। অপরাহ উইনফ্রের বাবা ছিলেন একজন নাপিত। বাবার কাছে থাকাকালীন অপরাহ হাইস্কুলে পড়ার ফাঁকে টেনিসি রাজ্যের স্থানীয় একটি রেডিওতে চাকুরি পেয়ে যান। মাত্র উনিশ বছর বয়সে সেখানে অপরাহ তার রেডিও পেশা শুরু করেন স্থানীয় সান্ধ্যকালীন সংবাদ উপস্থাপনার মাধ্যমে। পরে উপস্থিত বক্তব্যের পারদর্শিতায় তাকে ‘টক শো` উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়।
টেনিসির স্থানীয় রেডিও স্টেশন থেকে অপরাহ শিকাগোর একটি স্থানীয় রেডিওতে চাকরি নেন। এখানে তৃতীয় সারির একটি টকশো অপরাহর হাত ধরে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেয়। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে অপরাহ উইনফ্রে পরিচিতি পান তার যৌক্তিক কথোপকথন ও উপস্থিত বক্তব্যের পারদর্শিতার কারণে। টক শোর উপস্থাপিকা হিসাবে তিনি আশির দশকের মধ্যভাগ হতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো করার পর তিনি নিজেই প্রডাকশন হাউজ খোলেন এবং বিভিন্ন টিভির সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রচারে চুক্তিবদ্ধ হন।
আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃত টক শো ‘দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো` তাকে একাধিক এমি অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছে। এই শো টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ধরা হয়। নিজে ম্যাগাজিন প্রকাশের পাশাপাশি তিনি একজন শক্তিমান সাহিত্য সমালোচক এবং অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত অভিনেত্রী। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ধনী আফ্রিকান আমেরিকান এবং সর্বকালের সেরা আফ্রিকান আমেরিকান মানবহিতৈষী তিনি। পরপর তিন বছর তিনি বিশ্বের অনন্য কালো কোটিপতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের জরিপে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলা।
অপরাহ উইনফ্রের এই ভারত সফরে তার সঙ্গে থাকবেন চিকিৎসক এবং আধ্যাত্মিক গুরু দিপক চোপড়া। এ প্রসঙ্গে অপরাহ জানিয়েছেন, দীপক চোপড়াকে সঙ্গে নিয়ে ভারত সফরের পরিকল্পনা করছি। ভারতে প্রথম সফরে উপভোগ্য হবে বলে আশা করছি।
অপরাহ উইনফ্রে ১৯৫৪ সালের ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্য মিসিসিপির নিভৃত পল্লীতে এক অবিবাহিত মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। পরে বেড়ে উঠেছেন উত্তরের শহর মিলওয়াকিতে। তিনি নয় বছর বয়সে ধর্ষিত হন এবং চৌদ্দ বছর বয়সে পিতৃ-পরিচয়হীন এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন। শিশুটি অবশ্য জন্মের কিছুদিন পর মারা যায়। অপরাহ উইনফ্রের বাবা ছিলেন একজন নাপিত। বাবার কাছে থাকাকালীন অপরাহ হাইস্কুলে পড়ার ফাঁকে টেনিসি রাজ্যের স্থানীয় একটি রেডিওতে চাকুরি পেয়ে যান। মাত্র উনিশ বছর বয়সে সেখানে অপরাহ তার রেডিও পেশা শুরু করেন স্থানীয় সান্ধ্যকালীন সংবাদ উপস্থাপনার মাধ্যমে। পরে উপস্থিত বক্তব্যের পারদর্শিতায় তাকে ‘টক শো` উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়।
টেনিসির স্থানীয় রেডিও স্টেশন থেকে অপরাহ শিকাগোর একটি স্থানীয় রেডিওতে চাকরি নেন। এখানে তৃতীয় সারির একটি টকশো অপরাহর হাত ধরে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেয়। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে অপরাহ উইনফ্রে পরিচিতি পান তার যৌক্তিক কথোপকথন ও উপস্থিত বক্তব্যের পারদর্শিতার কারণে। টক শোর উপস্থাপিকা হিসাবে তিনি আশির দশকের মধ্যভাগ হতে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো করার পর তিনি নিজেই প্রডাকশন হাউজ খোলেন এবং বিভিন্ন টিভির সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রচারে চুক্তিবদ্ধ হন।
আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃত টক শো ‘দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো` তাকে একাধিক এমি অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছে। এই শো টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ধরা হয়। নিজে ম্যাগাজিন প্রকাশের পাশাপাশি তিনি একজন শক্তিমান সাহিত্য সমালোচক এবং অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত অভিনেত্রী। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ধনী আফ্রিকান আমেরিকান এবং সর্বকালের সেরা আফ্রিকান আমেরিকান মানবহিতৈষী তিনি। পরপর তিন বছর তিনি বিশ্বের অনন্য কালো কোটিপতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের জরিপে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলা।
No comments