বিদ্যুৎ সংকট-জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন
দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট রূপ ধারণ করেছে। ভাড়াভিত্তিক ও কুইক রেন্টাল মিলিয়ে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সাতটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সময়মতো জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ১৬ অক্টোবর সহযোগী একটি দৈনিকে প্রকাশ, কেন্দ্রগুলো সময়মতো উৎপাদনে যেতে না পারলে চুক্তি অনুযায়ী জরিমানা দিতে বাধ্য হবে সরকার। এও সামগ্রিক ক্ষতির একটি দিক। বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন রেলপথ বিভাগ
ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ জ্বালানি তেল সরবরাহে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে বিধায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর বহুমুখী বিরূপ প্রভাব পড়েছে জনজীবন ও অর্থনীতিতে। সরকার বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে আন্তরিক বলে বরাবরই দাবি করে আসছে। নানা উদ্যোগের কথাও অহরহই বলা হচ্ছে। কিন্তু এসবের আদৌ কোনো সুফল দেশবাসী পাচ্ছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে একদিকে সরকারের অঙ্গীকার ও উদ্যোগ, অন্যদিকে নানা রকম বিদ্যমান অসংগতি সরকারের বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে। জনবিড়ম্বনার অন্য নাম যেন লোডশেডিং। উৎপাদনব্যবস্থাতেও এর বিরূপ ধাক্কা সার্বিক ক্ষতিকেই স্ফীত করছে।
গ্রামে একটি প্রবাদ আছে, 'গরু না কিনেই দুধের পাত্র কেনা'। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত না করে কিংবা প্রয়োজনীয় অবকাঠামা না গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টা উলি্লখিত প্রবাদতুল্য। শহরের অবস্থা অপেক্ষাকৃত কিছুটা ভালো হলেও গ্রামের অবস্থা নাজুক। সেচ মৌসুম অত্যাসন্ন। লাগামহীন লোডশেডিংয়ের বিরূপ ধাক্কা কৃষি উৎপাদনব্যবস্থায়ও পড়বে। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়া মানে জাতীয় অর্থনীতি চরমভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া। বর্তমান সরকারের বয়স প্রায় তিন বছর হতে চলল। বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের বিষয়টি তাদের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। অথচ সংকট নিরসনে সরকার যে পথে অগ্রসর হচ্ছে কিংবা যেভাবে হাঁটছে, তাতে শিগগিরই এ ক্ষেত্রে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। সংকট নিরসনে সরকার মূলত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এসব কেন্দ্র চাহিদার এক-তৃতীয়াংশও মেটাতে পারছে না। অন্যদিকে নানাবিধ সংকটের কারণে কয়েকটি নতুন কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাতটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তার বিষয়টি এরই অংশ। এ ছাড়া নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ উঠেছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি চালুর পর কিছুদিন যেতে না যেতেই বিকল হয়ে পড়ছে। অভিযোগ আছে, এসব কেন্দ্রের সিংহভাগই পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিধায় নানাবিধ জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং কেন্দ্রগুলো যাতে যথাযথ উৎপাদনে সক্ষম হয়_সে ব্যাপারে সরকারের কঠোর নজরদারি ও তদারকি দরকার। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এবং এরই বিরূপ মূল্য এখনো দিতে হচ্ছে। পুনরায় যদি ওই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে তা হবে চরম আত্মঘাতী। দেশে এখনো চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন চিত্র কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয়। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের পদক্ষেপ আরো গুরুত্ব ও সদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ভিত্তিতে নেওয়া দরকার। নতুন সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি দুটি মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা কিংবা ব্যর্থতারই ফল। এর দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তাবে। নতুন কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দায় অবশ্যই সরকারের। জরুরি ভিত্তিতে সংকট মোকাবিলায় ত্বরিত কিছু পদক্ষেপের পাশাপাশি বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়াস জোরদার করার দিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
গ্রামে একটি প্রবাদ আছে, 'গরু না কিনেই দুধের পাত্র কেনা'। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত না করে কিংবা প্রয়োজনীয় অবকাঠামা না গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টা উলি্লখিত প্রবাদতুল্য। শহরের অবস্থা অপেক্ষাকৃত কিছুটা ভালো হলেও গ্রামের অবস্থা নাজুক। সেচ মৌসুম অত্যাসন্ন। লাগামহীন লোডশেডিংয়ের বিরূপ ধাক্কা কৃষি উৎপাদনব্যবস্থায়ও পড়বে। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়া মানে জাতীয় অর্থনীতি চরমভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া। বর্তমান সরকারের বয়স প্রায় তিন বছর হতে চলল। বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের বিষয়টি তাদের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। অথচ সংকট নিরসনে সরকার যে পথে অগ্রসর হচ্ছে কিংবা যেভাবে হাঁটছে, তাতে শিগগিরই এ ক্ষেত্রে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। সংকট নিরসনে সরকার মূলত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এসব কেন্দ্র চাহিদার এক-তৃতীয়াংশও মেটাতে পারছে না। অন্যদিকে নানাবিধ সংকটের কারণে কয়েকটি নতুন কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাতটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তার বিষয়টি এরই অংশ। এ ছাড়া নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ উঠেছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি চালুর পর কিছুদিন যেতে না যেতেই বিকল হয়ে পড়ছে। অভিযোগ আছে, এসব কেন্দ্রের সিংহভাগই পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিধায় নানাবিধ জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং কেন্দ্রগুলো যাতে যথাযথ উৎপাদনে সক্ষম হয়_সে ব্যাপারে সরকারের কঠোর নজরদারি ও তদারকি দরকার। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এবং এরই বিরূপ মূল্য এখনো দিতে হচ্ছে। পুনরায় যদি ওই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে তা হবে চরম আত্মঘাতী। দেশে এখনো চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন চিত্র কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয়। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের পদক্ষেপ আরো গুরুত্ব ও সদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ভিত্তিতে নেওয়া দরকার। নতুন সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি দুটি মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা কিংবা ব্যর্থতারই ফল। এর দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তাবে। নতুন কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দায় অবশ্যই সরকারের। জরুরি ভিত্তিতে সংকট মোকাবিলায় ত্বরিত কিছু পদক্ষেপের পাশাপাশি বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়াস জোরদার করার দিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
No comments