বাংলানিউজ অনলাইন আড্ডায় জয়া আহসানঃ ভিউয়ারদের তুমুল সাড়া by বিপুল হাসান
‘সময় এগিয়ে যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যোগ হচ্ছে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি। বদলে যাচ্ছে অনেক পুরনো ধারনা। বাংলানিউজ অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডা এমনই একটি নতুনধারার আকর্ষণীয় আয়োজন। এখানে একসঙ্গে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’
এভাবেই বরেণ্য অভিনেত্রী জয়া আহসান জানালেন নতুন বছরের প্রথম অতিথি হিসেবে বাংলানিউজ অনলাইন তারকা আড্ডায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা। সময়ের সেরা অভিনেত্রী জয়া আহসান ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় বাংলানিউজ অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডার অতিথি হয়ে হটসিটে বসেন। নন্দিত এই অভিনেত্রীর সঙ্গে রাত ১২টা পর্যন্ত সরাসরি অনলাইন আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন বাংলানিউজের ভিউয়াররা। এ সময় অনলাইনে প্রিয় তারকাকে বাংলানিউজের ভিজিটররা সরাসরি প্রশ্ন করেন। চ্যাটিংয়ে মাধ্যমে তিনি ফ্যানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পাশাপাশি বাংলানিউজের ওয়েব রেডিও ও ওয়েব টিভিতে এই অনলাইন আড্ডা সরাসরি আপলোড করা হয়। জয়া আহসানের সঙ্গে এই লাইভ আলাপচারিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে প্রবাসী পল্লী গ্রুপ এবং আপলোড পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে কমপিউটারজগত.কম।
বিশ্বের জনপ্রিয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রায়ই জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে ভিজিটরদের অনলাইনে সরাসরি আলাপচারিতার আয়োজন করে থাকে। জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ নিয়মিত এ ধরনের একটি লাইভ তারকা আড্ডার আয়োজন করে চলেছে। বাংলানিউজের এটি ছিল ষষ্ঠ আয়োজন। এর আগে অনলাইন আড্ডায় অংশ নিয়েছেন পপগায়িকা মিলা, মিডিয়া জুটি নিরব-সারিকা, মিউজিক জিনিয়াস হাবিব, ব্যান্ডসঙ্গীত শিল্পীদের পক্ষে আইয়ুব বাচ্চু, হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, বেসবাবা সুমন, টিপু, টনি এবং তারকা অভিনেতা মোশাররফ করিম।
হটসিটে প্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে পেয়ে এবার বাংলানিউজের দেশ-বিদেশের ভিউয়ারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ছিল চোখে পড়ার মতোই। চারটি চ্যাটরুমে প্রতিমিনিটে একসঙ্গে ৮০ জন ভিউয়ার জয়াকে প্রশ্ন করার সূযোগ পান। সেখান থেকে নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ভিউয়ারদের চ্যাটিংয়ে তাকে সহযোগিতা করে বাংলানিউজের ৪জন কর্মী। জয়া আহসান অভিনীত ২টি ছবি ‘ডুব সাতার’ ও ‘গেরিলা’ এবং জনপ্রিয় দুই নাটক ‘অফবিট’ ও ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ নামে চ্যাটরুম চারটির নাম রাখা হয়।joya
বাংলানিউজ অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডায় জয়া আহসানের আলাপচারিতার অংশবিশেষ চারটি চ্যাট রুমের ভিত্তিতে নিচে তুলে ধরা হলো।
চ্যাট রুম ‘গেরিলা’
নাসরীন : আপু আপনাকে ইদানিং টিভিনাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় খুব কম? কেন?
জয়া আহসান : খুব যে কম অভিনয় করছি তা কিন্তু না। আবার খুব বেশিও কাজ করছি না। আসলে কখনোই আমি খুব বেশি অভিনয় করি নি। একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে না। একটু ভিন্নধরনের চরিত্রে কাজ করে তৃপ্তি পাই।
রাসেল : ‘গেরিলা’ ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। এ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আপনি। ছবিটির সাফল্যে আপনার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাই।
জয়া আহসান : অবশ্যই আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। মনে হয়েছে, আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে।
রাসেল : ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই।
জয়া আহসান : আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের একটি বাস্তব চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাওয়া ছিল আমার বিশাল প্রাপ্তি। আমি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছি। কাজ করার সময় মনে হয়েছে, আমি বুঝি সত্যিই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিচ্ছি। আমাদের পরিচালক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন একজন সেকশন কমান্ডার। তিনি কাজের মধ্যে বার বার আমাদের তার মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। এতে আমরা কাজটির সঙ্গে আরো একাত্ম হতে পেরেছি।
অঞ্জন : অভিনয়ের প্রতি আপনার ঝোঁক তৈরি হলো কী করে ?
জয়া আহসান : অভিনয়ে আসাটা আমার আসলে অনেকটা গাইতে গাইতে গায়েন হয়ে যাওয়ার মতোই। অভিনয় আসার আগে কখনো এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আমার ছিল না। আমার আগ্রহ ছিল সঙ্গীতের প্রতি। ঝোঁক ছিল ছবি আঁকার প্রতি। নাচ নিয়ে কখনো ভাবি নি। কারণ ওটা আমাকে দিয়ে অসম্ভব। নাচের মুদ্রা বা তাল আমার মধ্যে নেই। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁকটা যে কখন তৈরি হয়েছে আমি তা নিজেও বলতে পারবো না। পরিচালক ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে রুলিং থ্রি টু ওয়ান বলার সঙ্গে সঙ্গেই রুল হতে হতেই অভিনেত্রী হওয়া। অবশ্য আমি নিজেকে কখনো অভিনেত্রী মনে করি না। আমি বড় জোর অভিনয়শিল্পী।
অভিনেত্রী অনেক বিশাল ব্যাপার। চেষ্টা করছি অভিনেত্রী হতে।
অঞ্জন : নাচ আপনাকে দিয়ে হবে না বললেন। অথচ ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ নাটকে আমরা আপনাকে নাচতে দেখেছি।
জয়া আহসান : ওটা তো আমার নাচ ছিল না। ঐখানে জয়া আহসান নাচেন নি। নেচেছে প্রিন্সেস মনিকা। একটি যাত্রাদলের প্রিন্সেসরা যেভাবে নাচে, এ নাটকে ওরকমই নাচ দেখেছেন। ওটাও ছিল একধরণের অভিনয়।
কাদের : শুভ নববর্ষ জয়া আপু।
জয়া আহসান : শুভ নববর্ষ।
কাদের : নতুন বছরের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
জয়া আহসান : নতুন বছরে আমরা যেন সবাই ভালো থাকি। সুন্দর একটি বছর হোক ২০১২। সবার জীবন সুন্দর হোক।
সুমন : আপনার অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী ?
জয়া আহসান: সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো মানুষের ভালবাসা। মানুষের ভালোবাসাই আমার তৃপ্তি। কেউ যখন আমার অভিনীত চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করে তখন অনেক তৃপ্তি পাই।
সুমন : এবার আপনার অপ্রাপ্তির কথা জানতে চাই।
জয়া আহসান : একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার মধ্যে অসাধারণ কিছু ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছে করে। কেনো আরো ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আমার কাছে আসছে না, কেনো আরো ভালো অভিনয় করতে পারছি না, এই অপ্রাপ্তি বা অতৃপ্তিতে প্রায়ই ভুগি।
সায়েম : চলচ্চিত্রে আসলেন কী করে? প্রথম চলচ্চিত্র কোনটি?
জয়া আহসান : মোস্তাফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে প্রথম আমি অভিনয় করি। কিন্তু এটাকে আমি আমার প্রথম চলচ্চিত্র বলবো না। এটাতে আসলে ফারুকীর অনুরোধ রক্ষা করতেই আমি অভিনয় করি। ‘ডুবসাতার’-কে আমি আমার প্রথম চলচ্চিত্র বলবো। কারণ নূরুল আলম আতিকের এই ছবিটিতে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই আমি অভিনয় করি। একের পর এক টিভিনাটকে কাজ করে যখন খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, তখনই আতিক বললেন, এবার একটা চলচ্চিত্র বানালে কেমন হয়? তার সেই আহ্বানে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করি। তবে ওটা ছিল ডিজিটাল ফরম্যাটে তৈরি করা ছবি। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফিচার ফিল্ম হলো ‘গেরিলা’।
চ্যাটরুম ‘ডুবসাতার’
শারমীন : আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?
জয়া আহসান : আমার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানায়। তবে বড় হয়ে উঠেছি ঢাকাতেই।
শারমীন : আপনার জন্ম তারিখ?
জয়া আহসান : আমার জন্ম তারিখ হলো ০১ জুলাই।
আজাদ : ‘ডুবসাতার’ ছবিতে অভিনয়ের কথা শুনতে চাই।
জয়া আহসান : আগেই বলেছি ‘ডুবসাতার’ ছবিটিতে আমি পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই অভিনয় করি। আমাদের দেশের একজন অসম্ভব মেধাবী নির্মাতা নূরুল আলম আতিক। ছোটপর্দায় তার সঙ্গে বহু কাজ করেছি। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে আতিক চাইলে খুব ভালো চলচ্চিত্র বানাতে পারবে। ছোটপর্দায় তার করা কাজগুলোও ছিল একধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণের চর্চা। তাই সে যখন চলচ্চিত্র বানানোর চিন্তা করে, দীর্ঘদিনের সহকর্মী হিসেবে তার পরিকল্পনার সঙ্গে প্রথম থেকেই আমি ছিলাম যুক্ত। আমরা যারা এ ছবিতে কাজ করি, তাদের প্রত্যেকেরই মাঝে ভালো একটা কাজ করার উত্তেজনা ছিল। অল্প বাজেটের মধ্যেও যে ভালো ছবি বানানো সম্ভব ‘ডুবসাতার’-এর মধ্য দিয়ে আতিক তা প্রমাণ করেছে।
হাসান : কার কাছ থেকে অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা পান?
জয়া আহসান : আসলে আগেই বলেছি, অভিনয়ে আসার কোনো পূব পরিকল্পনা আমার ছিল। অনেকটা শখেই প্রথম কাজটা করি। নাটকটির নাম ছিল ‘পঞ্চমী’। এতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন শ্রদ্ধেয় অভিনেতা গোলাম মোস্তাফা। তিনি এ নাটকে অভিনয়ের সময় আমাকে ডেকে বললেন, তুমি অভিনয়টা চালিয়ে যাও । অভিনয়ে তুমি ভালো করবে। শুধু এ নাটকে অভিনয়ের সময়ই নয়; পরবর্তীতে যখনই উনার সঙ্গে দেখা হয়েছে আমাকে তিনি ডেকে বলেছেন, তুমি অভিনয়টা ছেড়ো। তার কথা শুনেই আমার মনে হয়েছে, এতো বড় মাপের মানুষ যখন বলছেন। দেখি না একটু চেষ্টা করে। চেষ্টা করতে করতেই আজকে এই পর্যায়ে আসা। অভিনয়ে আসার প্রথম অনুপ্রেরণা পাই আমি শ্রদ্ধেয় গোলাম মোস্তাফার কাছ থেকে।
চ্যাটরুম ‘অফবিট’
জাহিদ : আপনার পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই।
জয়া আহসান : আমার স্কুল ছিল অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়। পড়ে উইমেন্স ফেডারেশন কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করি।
চৈতি : ‘চৈতাপাগল’ নাটকে আপনার অভিনয় দেখে আমরা মুগ্ধ। এ নাটকে অভিনয় করা প্রসঙ্গে কিছু বলুন?
জয়া আহসান : চৈতি জানতে চেয়েছেন চৈতা পাগলে অভিনয় সম্পর্কে, দারুণ তো...। ‘চৈতা পাগল’ নাটকে আমার চরিত্রটি ছিল বেশ অন্যরকম। এতো দীর্ঘ ধারাবাহিকে আমি আগে অভিনয় করি নি। কাজটা আমি খুব এনজয় করেছি। সহশিল্পী হিসেবে মাহফুজ আহমেদ এতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তিনি নিজেই অবশ্য এ নাটকটি পরিচালনার কাজটিও করেছেন।
ওসমান : একজন অভিনয় শিল্পী হতে হলে কোনটি বেশি জরুরী, প্রতিভা নাকি চর্চা?
জয়া আহসান : দুটোই। নিজের ভিতর অভিঁষ থাকতে হবে। অভিনয়ের প্রতি দরদ থাকতে হবে। সেই দরদ নিয়ে ভালো অভিনয়ের চেষ্টা করতে হবে। তাই প্রতিভার পাশাপাশি চর্চাও দরকার।
অরণ্য : আপনার বোন কি মিডিয়াতে কাজ করেন?
জয়া আহসান : সেইভাবে নিয়মিত কাজ করেন না। দু-একটা নাটকে অভিনয় করেছেন। এখন সে আছে চ্যানেল নাইনে। মার্কেটিং বিভাগে।
অরণ্য : কে বেশি সুন্দর ? আপনি নাকি আপনার বোন।
জয়া আহসান : অবশ্যই আমার বোন আমার চেয়ে বেশি সুন্দর।
নাহার : জয়া আপু , আপনার বাবা-মা সম্পর্কে বলুন।
জয়া আহসান : আমার বাবার নাম আবু মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। মা রেহানা মাসুদ। তিনি গৃহিনী।
কিবরিয়া : আপনাকে যদি একদিনের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়, তাহলে সবার আগে কোন কাজটি করবেন।
জয়া আহসান : বাংলানিউজ অফিসে আসার সময় আজকে প্রায় আধাঘন্টা আমাকে রাস্তায় আটকে থাকতে হয়েছে। কারণ সরকারের কোনো মন্ত্রী বা ভিভিআইপির যাতায়তের জন্য সবকিছু আটকে রাখা হয়েছিল। তাই এ মুহূর্তে আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী হলে সবার আগে আমি ঘোষণা দেবো, রাস্তায় অন্যদের আটকে রেখে যাতায়াত করার সুবিধা কাউকে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী হই আর অন্য মন্ত্রী হই, আমি সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হতে চাই না। রাস্তায় একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে চলাচল করে মন্ত্রীরাও সেভাবে চলফেরা করবে।
চ্যাটরুম ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’
রনি : আপু, আমি দুবাই থেকে আপনার সঙ্গে চ্যাট করছি। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। এতো ন্যাচারাল অভিনয় কী করে করেন?
জয়া আহসান: দুবাই থেকে আমার সঙ্গে আড্ডায় অংশ নেওয়ায় আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনি আমার অভিনয় দেখে আনন্দ পান জেনে ভালো লাগলো। ন্যাচারাল অভিনয় করি কিনা জানি না। তবে জেনে-বুঝে চরিত্রকে নিজের ভেতর ধারণ করে অভিনয় করার চেষ্টা করি।
বিনু : অনলাইনে ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দিতে আপনার কেমন লাগছে?
জয়া আহসান : এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। একধরণের এডভেঞ্চারের মতো মনে হচ্ছে। অনলাইনে সরাসরি দেশ-বিদেশের এতো মানুষের সঙ্গে কথা বলে বেশ মজা পাচ্ছি। আমি আসলে এধরনের লাইভ আড্ডায় খুব কমই অংশ নিয়েছি। এরকম অনেক আমন্ত্রণ এসেছি, কিন্তু নানাকারণে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয় নি। সত্যি আমি এ মুহূর্তে ভীষণ আনন্দিত।
জুলি : আপনি নিজেকে এতো সুন্দর রেখেছেন কী করে?
জয়া আহসান : আসলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর, তাই আমাকে সুন্দর বলছেন।
জুলি : স্বাস্থ্য ঠিক রেখেছেন কী করে?
জয়া আহসান : আমি নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ মনোযোগী। এজন্য খাওয়া-দাওয়াটা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখি। সবজী, সালাদ, ফলমূল বেশি খাই। আমিষ বা প্রোটিন এড়িয়ে চলি। পাশাপাশি প্রতিদিন হালকা কিছু এক্সারসাইজও করি।
সানি : দেশ ও জাতির কাছে আপনার কমিটমেন্ট কী?
জয় আহসান : সৎভাবে বেঁচে থাকা, সততা বজায় রাখা। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। আমরা প্রত্যেকে যদি যার যার জায়গা থেকে সৎভাবে কাজ করি, আমরা মনে হয় আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে। এ জাতি অনেক এগিয়ে যাবে। সবার কাছে আমি দোয়া চাই যেন আপনাদের আরও ভাল কাজ উপহার দিতে পারি। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে শান্তিতে থাকি, যেটা এখন দিনে দিনে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আসুন সবাই সহজ হই, সুন্দর হই।
ক্রেডিট লাইন
বাংলানিউজ অনলাইন আড্ডা সফল করে তুলতে এবার ২০ সদস্যের একটি টিম কাজ করেছে।
টেকনিক্যাল কাজ করেছেন ওয়েব ইন চার্জ- আবিদুর রহমান রাসেল, ওয়েব এডিটর- জিকরুল আহসান শাওন, নাসিরুল আকবর খান উপল, তাজবীর হাসান সাকিব ও মামুন রহমান।
ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ম্যনাজার মার্কেটিং- সিরাজুল ইসলাম সুমন, প্রশাসন বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার মোশাররেফা বেগম কনা, সঞ্জয় বিশ্বাস, এন্টাটেইনমেন্টের প্রধান রবাব রঁসা, বিনোদন বিভাগের অনন্যা আশরাফ, প্রশাসন বিভাগের এক্সিকিউটিব সৈয়দ রাজিব আহম্মেদ। চ্যাটরুম পরিচালনা করেছেন নিউজ রুম এডিটর- রাবেয়া বসরী সুমী, শামীম হোসেন, তিলকা বিনতে মেহেতাব ও বাংলানিউজের অতিথি প্রীতি।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করেছেন যথাক্রমে স্টাফ ফটো জার্নালিষ্ট- শোয়েব মিথুন ও নাজমুল হাসান।
সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলানিউজের এ্যাসিসটেন্ট আউটপুট এডিটর- মারিয়া সালাম।
সমন্বয়ে ছিলেন বিনোদন বিভাগের প্রধান- বিপুল হাসান।
এবারের বাংলানিউজ অনলাইন আড্ডা পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল প্রবাসী পল্লী গ্রুপ এবং আপলোড পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে কমপিউটারজগত.কম।
বিশ্বের জনপ্রিয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রায়ই জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে ভিজিটরদের অনলাইনে সরাসরি আলাপচারিতার আয়োজন করে থাকে। জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ নিয়মিত এ ধরনের একটি লাইভ তারকা আড্ডার আয়োজন করে চলেছে। বাংলানিউজের এটি ছিল ষষ্ঠ আয়োজন। এর আগে অনলাইন আড্ডায় অংশ নিয়েছেন পপগায়িকা মিলা, মিডিয়া জুটি নিরব-সারিকা, মিউজিক জিনিয়াস হাবিব, ব্যান্ডসঙ্গীত শিল্পীদের পক্ষে আইয়ুব বাচ্চু, হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, বেসবাবা সুমন, টিপু, টনি এবং তারকা অভিনেতা মোশাররফ করিম।
হটসিটে প্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে পেয়ে এবার বাংলানিউজের দেশ-বিদেশের ভিউয়ারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ছিল চোখে পড়ার মতোই। চারটি চ্যাটরুমে প্রতিমিনিটে একসঙ্গে ৮০ জন ভিউয়ার জয়াকে প্রশ্ন করার সূযোগ পান। সেখান থেকে নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ভিউয়ারদের চ্যাটিংয়ে তাকে সহযোগিতা করে বাংলানিউজের ৪জন কর্মী। জয়া আহসান অভিনীত ২টি ছবি ‘ডুব সাতার’ ও ‘গেরিলা’ এবং জনপ্রিয় দুই নাটক ‘অফবিট’ ও ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ নামে চ্যাটরুম চারটির নাম রাখা হয়।joya
বাংলানিউজ অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডায় জয়া আহসানের আলাপচারিতার অংশবিশেষ চারটি চ্যাট রুমের ভিত্তিতে নিচে তুলে ধরা হলো।
চ্যাট রুম ‘গেরিলা’
নাসরীন : আপু আপনাকে ইদানিং টিভিনাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় খুব কম? কেন?
জয়া আহসান : খুব যে কম অভিনয় করছি তা কিন্তু না। আবার খুব বেশিও কাজ করছি না। আসলে কখনোই আমি খুব বেশি অভিনয় করি নি। একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে না। একটু ভিন্নধরনের চরিত্রে কাজ করে তৃপ্তি পাই।
রাসেল : ‘গেরিলা’ ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। এ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আপনি। ছবিটির সাফল্যে আপনার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাই।
জয়া আহসান : অবশ্যই আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। মনে হয়েছে, আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে।
রাসেল : ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই।
জয়া আহসান : আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের একটি বাস্তব চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাওয়া ছিল আমার বিশাল প্রাপ্তি। আমি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছি। কাজ করার সময় মনে হয়েছে, আমি বুঝি সত্যিই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিচ্ছি। আমাদের পরিচালক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন একজন সেকশন কমান্ডার। তিনি কাজের মধ্যে বার বার আমাদের তার মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। এতে আমরা কাজটির সঙ্গে আরো একাত্ম হতে পেরেছি।
অঞ্জন : অভিনয়ের প্রতি আপনার ঝোঁক তৈরি হলো কী করে ?
জয়া আহসান : অভিনয়ে আসাটা আমার আসলে অনেকটা গাইতে গাইতে গায়েন হয়ে যাওয়ার মতোই। অভিনয় আসার আগে কখনো এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আমার ছিল না। আমার আগ্রহ ছিল সঙ্গীতের প্রতি। ঝোঁক ছিল ছবি আঁকার প্রতি। নাচ নিয়ে কখনো ভাবি নি। কারণ ওটা আমাকে দিয়ে অসম্ভব। নাচের মুদ্রা বা তাল আমার মধ্যে নেই। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁকটা যে কখন তৈরি হয়েছে আমি তা নিজেও বলতে পারবো না। পরিচালক ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে রুলিং থ্রি টু ওয়ান বলার সঙ্গে সঙ্গেই রুল হতে হতেই অভিনেত্রী হওয়া। অবশ্য আমি নিজেকে কখনো অভিনেত্রী মনে করি না। আমি বড় জোর অভিনয়শিল্পী।
অভিনেত্রী অনেক বিশাল ব্যাপার। চেষ্টা করছি অভিনেত্রী হতে।
অঞ্জন : নাচ আপনাকে দিয়ে হবে না বললেন। অথচ ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ নাটকে আমরা আপনাকে নাচতে দেখেছি।
জয়া আহসান : ওটা তো আমার নাচ ছিল না। ঐখানে জয়া আহসান নাচেন নি। নেচেছে প্রিন্সেস মনিকা। একটি যাত্রাদলের প্রিন্সেসরা যেভাবে নাচে, এ নাটকে ওরকমই নাচ দেখেছেন। ওটাও ছিল একধরণের অভিনয়।
কাদের : শুভ নববর্ষ জয়া আপু।
জয়া আহসান : শুভ নববর্ষ।
কাদের : নতুন বছরের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
জয়া আহসান : নতুন বছরে আমরা যেন সবাই ভালো থাকি। সুন্দর একটি বছর হোক ২০১২। সবার জীবন সুন্দর হোক।
সুমন : আপনার অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী ?
জয়া আহসান: সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো মানুষের ভালবাসা। মানুষের ভালোবাসাই আমার তৃপ্তি। কেউ যখন আমার অভিনীত চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করে তখন অনেক তৃপ্তি পাই।
সুমন : এবার আপনার অপ্রাপ্তির কথা জানতে চাই।
জয়া আহসান : একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার মধ্যে অসাধারণ কিছু ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছে করে। কেনো আরো ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আমার কাছে আসছে না, কেনো আরো ভালো অভিনয় করতে পারছি না, এই অপ্রাপ্তি বা অতৃপ্তিতে প্রায়ই ভুগি।
সায়েম : চলচ্চিত্রে আসলেন কী করে? প্রথম চলচ্চিত্র কোনটি?
জয়া আহসান : মোস্তাফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে প্রথম আমি অভিনয় করি। কিন্তু এটাকে আমি আমার প্রথম চলচ্চিত্র বলবো না। এটাতে আসলে ফারুকীর অনুরোধ রক্ষা করতেই আমি অভিনয় করি। ‘ডুবসাতার’-কে আমি আমার প্রথম চলচ্চিত্র বলবো। কারণ নূরুল আলম আতিকের এই ছবিটিতে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই আমি অভিনয় করি। একের পর এক টিভিনাটকে কাজ করে যখন খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, তখনই আতিক বললেন, এবার একটা চলচ্চিত্র বানালে কেমন হয়? তার সেই আহ্বানে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করি। তবে ওটা ছিল ডিজিটাল ফরম্যাটে তৈরি করা ছবি। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফিচার ফিল্ম হলো ‘গেরিলা’।
চ্যাটরুম ‘ডুবসাতার’
শারমীন : আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?
জয়া আহসান : আমার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানায়। তবে বড় হয়ে উঠেছি ঢাকাতেই।
শারমীন : আপনার জন্ম তারিখ?
জয়া আহসান : আমার জন্ম তারিখ হলো ০১ জুলাই।
আজাদ : ‘ডুবসাতার’ ছবিতে অভিনয়ের কথা শুনতে চাই।
জয়া আহসান : আগেই বলেছি ‘ডুবসাতার’ ছবিটিতে আমি পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই অভিনয় করি। আমাদের দেশের একজন অসম্ভব মেধাবী নির্মাতা নূরুল আলম আতিক। ছোটপর্দায় তার সঙ্গে বহু কাজ করেছি। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে আতিক চাইলে খুব ভালো চলচ্চিত্র বানাতে পারবে। ছোটপর্দায় তার করা কাজগুলোও ছিল একধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণের চর্চা। তাই সে যখন চলচ্চিত্র বানানোর চিন্তা করে, দীর্ঘদিনের সহকর্মী হিসেবে তার পরিকল্পনার সঙ্গে প্রথম থেকেই আমি ছিলাম যুক্ত। আমরা যারা এ ছবিতে কাজ করি, তাদের প্রত্যেকেরই মাঝে ভালো একটা কাজ করার উত্তেজনা ছিল। অল্প বাজেটের মধ্যেও যে ভালো ছবি বানানো সম্ভব ‘ডুবসাতার’-এর মধ্য দিয়ে আতিক তা প্রমাণ করেছে।
হাসান : কার কাছ থেকে অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা পান?
জয়া আহসান : আসলে আগেই বলেছি, অভিনয়ে আসার কোনো পূব পরিকল্পনা আমার ছিল। অনেকটা শখেই প্রথম কাজটা করি। নাটকটির নাম ছিল ‘পঞ্চমী’। এতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন শ্রদ্ধেয় অভিনেতা গোলাম মোস্তাফা। তিনি এ নাটকে অভিনয়ের সময় আমাকে ডেকে বললেন, তুমি অভিনয়টা চালিয়ে যাও । অভিনয়ে তুমি ভালো করবে। শুধু এ নাটকে অভিনয়ের সময়ই নয়; পরবর্তীতে যখনই উনার সঙ্গে দেখা হয়েছে আমাকে তিনি ডেকে বলেছেন, তুমি অভিনয়টা ছেড়ো। তার কথা শুনেই আমার মনে হয়েছে, এতো বড় মাপের মানুষ যখন বলছেন। দেখি না একটু চেষ্টা করে। চেষ্টা করতে করতেই আজকে এই পর্যায়ে আসা। অভিনয়ে আসার প্রথম অনুপ্রেরণা পাই আমি শ্রদ্ধেয় গোলাম মোস্তাফার কাছ থেকে।
চ্যাটরুম ‘অফবিট’
জাহিদ : আপনার পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই।
জয়া আহসান : আমার স্কুল ছিল অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়। পড়ে উইমেন্স ফেডারেশন কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করি।
চৈতি : ‘চৈতাপাগল’ নাটকে আপনার অভিনয় দেখে আমরা মুগ্ধ। এ নাটকে অভিনয় করা প্রসঙ্গে কিছু বলুন?
জয়া আহসান : চৈতি জানতে চেয়েছেন চৈতা পাগলে অভিনয় সম্পর্কে, দারুণ তো...। ‘চৈতা পাগল’ নাটকে আমার চরিত্রটি ছিল বেশ অন্যরকম। এতো দীর্ঘ ধারাবাহিকে আমি আগে অভিনয় করি নি। কাজটা আমি খুব এনজয় করেছি। সহশিল্পী হিসেবে মাহফুজ আহমেদ এতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তিনি নিজেই অবশ্য এ নাটকটি পরিচালনার কাজটিও করেছেন।
ওসমান : একজন অভিনয় শিল্পী হতে হলে কোনটি বেশি জরুরী, প্রতিভা নাকি চর্চা?
জয়া আহসান : দুটোই। নিজের ভিতর অভিঁষ থাকতে হবে। অভিনয়ের প্রতি দরদ থাকতে হবে। সেই দরদ নিয়ে ভালো অভিনয়ের চেষ্টা করতে হবে। তাই প্রতিভার পাশাপাশি চর্চাও দরকার।
অরণ্য : আপনার বোন কি মিডিয়াতে কাজ করেন?
জয়া আহসান : সেইভাবে নিয়মিত কাজ করেন না। দু-একটা নাটকে অভিনয় করেছেন। এখন সে আছে চ্যানেল নাইনে। মার্কেটিং বিভাগে।
অরণ্য : কে বেশি সুন্দর ? আপনি নাকি আপনার বোন।
জয়া আহসান : অবশ্যই আমার বোন আমার চেয়ে বেশি সুন্দর।
নাহার : জয়া আপু , আপনার বাবা-মা সম্পর্কে বলুন।
জয়া আহসান : আমার বাবার নাম আবু মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। মা রেহানা মাসুদ। তিনি গৃহিনী।
কিবরিয়া : আপনাকে যদি একদিনের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়, তাহলে সবার আগে কোন কাজটি করবেন।
জয়া আহসান : বাংলানিউজ অফিসে আসার সময় আজকে প্রায় আধাঘন্টা আমাকে রাস্তায় আটকে থাকতে হয়েছে। কারণ সরকারের কোনো মন্ত্রী বা ভিভিআইপির যাতায়তের জন্য সবকিছু আটকে রাখা হয়েছিল। তাই এ মুহূর্তে আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী হলে সবার আগে আমি ঘোষণা দেবো, রাস্তায় অন্যদের আটকে রেখে যাতায়াত করার সুবিধা কাউকে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী হই আর অন্য মন্ত্রী হই, আমি সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হতে চাই না। রাস্তায় একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে চলাচল করে মন্ত্রীরাও সেভাবে চলফেরা করবে।
চ্যাটরুম ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’
রনি : আপু, আমি দুবাই থেকে আপনার সঙ্গে চ্যাট করছি। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। এতো ন্যাচারাল অভিনয় কী করে করেন?
জয়া আহসান: দুবাই থেকে আমার সঙ্গে আড্ডায় অংশ নেওয়ায় আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনি আমার অভিনয় দেখে আনন্দ পান জেনে ভালো লাগলো। ন্যাচারাল অভিনয় করি কিনা জানি না। তবে জেনে-বুঝে চরিত্রকে নিজের ভেতর ধারণ করে অভিনয় করার চেষ্টা করি।
বিনু : অনলাইনে ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দিতে আপনার কেমন লাগছে?
জয়া আহসান : এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। একধরণের এডভেঞ্চারের মতো মনে হচ্ছে। অনলাইনে সরাসরি দেশ-বিদেশের এতো মানুষের সঙ্গে কথা বলে বেশ মজা পাচ্ছি। আমি আসলে এধরনের লাইভ আড্ডায় খুব কমই অংশ নিয়েছি। এরকম অনেক আমন্ত্রণ এসেছি, কিন্তু নানাকারণে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয় নি। সত্যি আমি এ মুহূর্তে ভীষণ আনন্দিত।
জুলি : আপনি নিজেকে এতো সুন্দর রেখেছেন কী করে?
জয়া আহসান : আসলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর, তাই আমাকে সুন্দর বলছেন।
জুলি : স্বাস্থ্য ঠিক রেখেছেন কী করে?
জয়া আহসান : আমি নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ মনোযোগী। এজন্য খাওয়া-দাওয়াটা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখি। সবজী, সালাদ, ফলমূল বেশি খাই। আমিষ বা প্রোটিন এড়িয়ে চলি। পাশাপাশি প্রতিদিন হালকা কিছু এক্সারসাইজও করি।
সানি : দেশ ও জাতির কাছে আপনার কমিটমেন্ট কী?
জয় আহসান : সৎভাবে বেঁচে থাকা, সততা বজায় রাখা। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। আমরা প্রত্যেকে যদি যার যার জায়গা থেকে সৎভাবে কাজ করি, আমরা মনে হয় আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে। এ জাতি অনেক এগিয়ে যাবে। সবার কাছে আমি দোয়া চাই যেন আপনাদের আরও ভাল কাজ উপহার দিতে পারি। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে শান্তিতে থাকি, যেটা এখন দিনে দিনে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আসুন সবাই সহজ হই, সুন্দর হই।
ক্রেডিট লাইন
বাংলানিউজ অনলাইন আড্ডা সফল করে তুলতে এবার ২০ সদস্যের একটি টিম কাজ করেছে।
টেকনিক্যাল কাজ করেছেন ওয়েব ইন চার্জ- আবিদুর রহমান রাসেল, ওয়েব এডিটর- জিকরুল আহসান শাওন, নাসিরুল আকবর খান উপল, তাজবীর হাসান সাকিব ও মামুন রহমান।
ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ম্যনাজার মার্কেটিং- সিরাজুল ইসলাম সুমন, প্রশাসন বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার মোশাররেফা বেগম কনা, সঞ্জয় বিশ্বাস, এন্টাটেইনমেন্টের প্রধান রবাব রঁসা, বিনোদন বিভাগের অনন্যা আশরাফ, প্রশাসন বিভাগের এক্সিকিউটিব সৈয়দ রাজিব আহম্মেদ। চ্যাটরুম পরিচালনা করেছেন নিউজ রুম এডিটর- রাবেয়া বসরী সুমী, শামীম হোসেন, তিলকা বিনতে মেহেতাব ও বাংলানিউজের অতিথি প্রীতি।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করেছেন যথাক্রমে স্টাফ ফটো জার্নালিষ্ট- শোয়েব মিথুন ও নাজমুল হাসান।
সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলানিউজের এ্যাসিসটেন্ট আউটপুট এডিটর- মারিয়া সালাম।
সমন্বয়ে ছিলেন বিনোদন বিভাগের প্রধান- বিপুল হাসান।
এবারের বাংলানিউজ অনলাইন আড্ডা পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল প্রবাসী পল্লী গ্রুপ এবং আপলোড পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে কমপিউটারজগত.কম।
No comments