যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক by ইমন রহমান

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক_ এটা সবার দাবি। স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা অধিকাংশ প্রবীণ ও তরুণের একটাই দাবি_ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।
বর্তমানে স্বাধীনতাকামী বাংলার প্রতিটি মানুষের প্রাণের দাবি_ '৭১-এর মানবতাবিরোধী তথা রাজাকারের বিচার করা। একজন তরুণ হিসেবে আমি নিজেও উপলব্ধি করি এ বিষয়টি।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪১ বছর পর যখন ওই সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে, সেই মুহূর্তে তাদের দোসররা শক্তি প্রদর্শন করছে। একটি স্বাধীন দেশে কীভাবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এসব করতে পারে? যদিও বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দুই দল চায় ক্ষমতায় যেতে, যে কোনো উপায়ে। তারা সময়ের ব্যবধানে পর্যায়ক্রমে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছিল।
বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে আমি মনে করি, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনায় বিশ্বাসী_ এ ব্যর্থতা তাদের। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা আজ অনেকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। অনেকেই জীবনের শেষ প্রান্তে। তাদের যদি সাধ্য থাকত আজ আবারও রাজপথে নেমে আসতেন। আমরা যারা তাদের উত্তরসূরি, এখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নামা দরকার। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নানা তৎপরতা নস্যাৎ করতে হবে আমাদেরই। সরকার যেন বিষয়টি খুব ভালোভাবে নেয়। তবে বিচারের আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকাও দরকার। যেন তাদের বিচার দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হয়। আমরা চাই, সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সরকার যেন তাদের বিচার সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সফল হয়। এবারের বিজয় দিবসে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বলেছেন, আগামী বিজয় দিবসের আগে সবার বিচার হবে। আমরা মন্ত্রীর এই আশ্বাসে স্থিত হতে চাই।
জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দেশের প্রতিটি স্বাধীনচেতা মানুষের আস্থা রয়েছে। তার সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে যখন গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই নানাভাবে বাধা আসছে। আমরা নতুন প্রজন্ম আশাবাদী যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করবেন না। তিনি এসব ঘৃণ্য নরপশুর বিচারে একটুকুও হেলবেন না। বাংলাদেশ একদিন এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবেই_ জাতি এমনটিই আশা করে।
য়ইমন রহমান :আ ফ ম কামালউদ্দিন হল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
emonju35@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.