বৈষম্য আর দারিদ্র্য মায়াদের নিত্যসঙ্গী
বিশ্বের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সভ্যতার মধ্যে মায়া অন্যতম। মধ্য আমেরিকার এ সভ্যতা একসময় শিল্প, সংস্কৃতি, স্থাপত্যশৈলী, গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যায় সমৃদ্ধ ছিল। খ্রিস্টের জন্মের ২০০০ বছর আগে থেকে এই সভ্যতার শুরু হলেও তারা ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে উন্নতির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছায়।
আর ধ্বংস হয় ১২০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। বিভিন্ন দেশে এখনো এ আদিবাসী গোষ্ঠীর লোকজনের বাস রয়েছে। বর্তমানে মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোয় বসবাসরত মায়া গোষ্ঠীর লোকজন চরম বৈষম্য, সুবিধাবঞ্চিত এবং দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে।
সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ মায়ারা এখন সবার আলোচনার মূল লক্ষ্য। কারণ আগামীকাল শুক্রবার মায়া পঞ্জিকায় চিহ্নিত পাঁচ হাজার ২০০ বছরের সভ্যতার শেষ হয়ে যাচ্ছে। মায়াদের পঞ্জিকায় এরপর আর কোনো তারিখ নেই। আদিবাসীবিষয়ক জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের সদস্য আলভারো পপ বলেন, 'আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষের সব সময় সস্তা শ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখনকার দিনেও সেটিই মানা হয়। তাদের (মায়াদের) একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া তাদের ক্ষেত্রে জননীতি সেভাবে কাজে লাগে না।'
মায়া সভ্যতার পতনের তিন শতক পরও বসতভিটা থেকে তাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দারিদ্র্য ও দাসত্ব আগের মতোই আছে। দক্ষিণ মেক্সিকো, বেলিজ, হন্ডুরাস, এল-সালভাদর ও গুয়েতেমালায় বর্তমানে দুই থেকে তিন কোটি মায়া গোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। গুয়েতেমালার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই প্রায় এ গোষ্ঠীর। তার পরও তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার সীমিত। একসময়কার শক্তিশালী প্রাচীন এ জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যাও চালানো হয়।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী, আদিবাসী এই গোষ্ঠীর ১০ শিশুর ছয়জনই চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এ গোষ্ঠীর মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। প্রতি হাজারে শিশুর মধ্যে ৪০ শতাংশ মারা যায়।
মেক্সিকোর মায়ার গোষ্ঠীর লোকজন সামাজিক দুরাবস্থা ও শোষণের শিকার হচ্ছে। তবে মায়াদের সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে গুয়েতেমালায় ১৯৬০ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের সময়। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধের সময় মায়াদের ওপর ৬০০ বেশি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার লোক পালিয়ে দক্ষিণ মেক্সিকোয় আশ্রয় নেয়। এত শোষণ-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে মায়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক আন্দোলন কর্মী রিগোবার্তা মেঞ্চু খ্যাতি অর্জন করেছেন। গুয়েতেমালার গণহত্যাবিরোধী অবস্থানের কারণে ১৯৯২ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। মায়াদের সমূলে ধ্বংস করতেই সেনাবাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায় বলে মেঞ্চু মন্তব্য করেন। মায়াদের ওপর শোষণ এখনো বন্ধ হয়নি। জলবিদ্যুৎ, খনি ও খামার করার জন্য মায়াদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।আ
সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ মায়ারা এখন সবার আলোচনার মূল লক্ষ্য। কারণ আগামীকাল শুক্রবার মায়া পঞ্জিকায় চিহ্নিত পাঁচ হাজার ২০০ বছরের সভ্যতার শেষ হয়ে যাচ্ছে। মায়াদের পঞ্জিকায় এরপর আর কোনো তারিখ নেই। আদিবাসীবিষয়ক জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের সদস্য আলভারো পপ বলেন, 'আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষের সব সময় সস্তা শ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখনকার দিনেও সেটিই মানা হয়। তাদের (মায়াদের) একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া তাদের ক্ষেত্রে জননীতি সেভাবে কাজে লাগে না।'
মায়া সভ্যতার পতনের তিন শতক পরও বসতভিটা থেকে তাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দারিদ্র্য ও দাসত্ব আগের মতোই আছে। দক্ষিণ মেক্সিকো, বেলিজ, হন্ডুরাস, এল-সালভাদর ও গুয়েতেমালায় বর্তমানে দুই থেকে তিন কোটি মায়া গোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। গুয়েতেমালার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই প্রায় এ গোষ্ঠীর। তার পরও তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার সীমিত। একসময়কার শক্তিশালী প্রাচীন এ জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যাও চালানো হয়।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী, আদিবাসী এই গোষ্ঠীর ১০ শিশুর ছয়জনই চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এ গোষ্ঠীর মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। প্রতি হাজারে শিশুর মধ্যে ৪০ শতাংশ মারা যায়।
মেক্সিকোর মায়ার গোষ্ঠীর লোকজন সামাজিক দুরাবস্থা ও শোষণের শিকার হচ্ছে। তবে মায়াদের সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে গুয়েতেমালায় ১৯৬০ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের সময়। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গৃহযুদ্ধের সময় মায়াদের ওপর ৬০০ বেশি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার লোক পালিয়ে দক্ষিণ মেক্সিকোয় আশ্রয় নেয়। এত শোষণ-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে মায়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক আন্দোলন কর্মী রিগোবার্তা মেঞ্চু খ্যাতি অর্জন করেছেন। গুয়েতেমালার গণহত্যাবিরোধী অবস্থানের কারণে ১৯৯২ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। মায়াদের সমূলে ধ্বংস করতেই সেনাবাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায় বলে মেঞ্চু মন্তব্য করেন। মায়াদের ওপর শোষণ এখনো বন্ধ হয়নি। জলবিদ্যুৎ, খনি ও খামার করার জন্য মায়াদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।আ
No comments