ভর্তিতে চাপ বাড়ছে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ছে না by মোশতাক আহমেদ
ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণীর ভর্তিতে দিনে দিনে চাপ বাড়ছে। তবে ভালো প্রতিষ্ঠান বাড়ছে না। ঘুরেফিরে হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠানেই তীব্র প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এসব ভালো প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই আবার বেসরকারি।
সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকলেও কয়েকটি বাদে মোটা দাগে সরকারি বিদ্যালয়গুলো ভালো করছে না। এ কারণে সরকারি বিদ্যালয়গুলো ভর্তিতে শিক্ষার্থী টানতে পারছে না।
সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে এখন নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে প্রথম শ্রেণীর ভর্তিতে। স্কুল পর্যায়ে রাজধানীর নামকরা প্রতিষ্ঠান হলো: রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলসহ কিছু বিদ্যালয়। তবে সব কটিতে প্রথম শ্রেণী নেই। গত কয়েক বছরের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভর্তির জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ পড়ছে বেশি।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে তিন দিনব্যাপী লটারি গতকাল শেষ হয়েছে। এর অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, এবার তাঁদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর ৬০০ আসনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। অর্থাৎ একটি আসন পাওয়ার জন্য প্রতিযোগতািয় নামে ৩৩ জন শিশু।
অধ্যক্ষ বলেন, মতিঝিলে তাঁদের বিদ্যালয়ের পাশেই তিনটি সরকারি বিদ্যালয় আছে, তাদের জায়গাও বেশি। সেগুলো যদি ভালো ফল করত, তাহলে অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানদের সেখানে ভর্তি করাতেন। এভাবে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করা গেলে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ কমত।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর লটারিতেও তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর এক হাজার ৪৮৪টি আসনের বিপরীতে লটারিতে অংশ নিয়েছে নয় হাজার ২৯০ শিশু। গতকাল শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী লটারি। যেসব শিশু লটারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, তাদের অভিভাবকদের আনন্দ ছিল সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই।
মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত কোটা বাদে সাধারণ আসনের লটারি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে দুই হাজার ২৮০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ছিল আট হাজারের কিছু ওপরে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তির এই চাপ কমাতে হলে বিদ্যমান বিদ্যালয়গুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক ভালো প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে। কারণ, নতুন প্রতিষ্ঠান করতে যেমন বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন, তেমনি তা সময়সাপেক্ষ।
সরকারি বিদ্যালয়গুলোর চিত্র: ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন ২৪টি সরকারি বিদ্যালয় (সংযুক্ত প্রাথমিকসহ) রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টিতে প্রথম শ্রেণী আছে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির লটারি হবে ২৭ ডিসেম্বর। অন্য শ্রেণীগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়ে এখন ফলাফলের অপেক্ষায়।
মাউশির কর্মকর্তারাই বলছেন, এই ২৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠান ভালো মানের। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে ১৩টিতে প্রথম শ্রেণী রয়েছে, সেগুলোতে এবার প্রথম শ্রেণীতে ফরম বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ১২৪টি। প্রথম শ্রেণীতে আসন আছে এক হাজার ৪৭৫টি। প্রথম শ্রেণীতে বেশি ফরম বিক্রি হয়েছে গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে, চার হাজার ৭২১টি আর আসন আছে ২৪০টি। মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে বিক্রি হয় পাঁচ হাজার ৩৭৫টি; আসন আছে ১২০টি। ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণীর ৬০টি আসনের বিপরীতে ফরম বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৭০১টি। বাকি বিদ্যালয়গুলো শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়েও ভালো করতে পারছে না।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের অভাব আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জন্য আমরা বিদ্যমান সব কটি বিদ্যালয়কে মানসম্মত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ঢাকা শহরে ১১টি নতুন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া শহরতলিতে কিছু নতুন প্রতিষ্ঠান করারও পরিকল্পনা আছে।’
বর্তমানে ঢাকা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭৫৭টি। এর মধ্যে কেবল ঢাকা মহানগরেই আছে ২৯৬টি। শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই বিদ্যালয়গুলো উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে ভর্তির চাপ অনেকাংশেই কমে যেত।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, গুণগত মানোন্নয়ন ও উন্নত পাঠদান রীতি অনুসরণের মাধ্যমে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ঢাকার পাঁচটি বিদ্যালয় ও জেলা পর্যায়ে একটি করে বিদ্যালয়কে ‘আদর্শ’ মানে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে: আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিল; গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দুজন করে কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের চিত্র: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজধানীতে নতুন করে সরকারি ১১টি বিদ্যালয় ও ছয়টি মহাবিদ্যালয়ে স্থাপনের কাজ চলছে। এর মধ্যে হাজারীবাগে একটি স্কুল ও একটি মহাবিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অগ্রগতি ভালো। দুয়ারিপাড়ায় স্কুলের নির্মাণ অগ্রগতি ভালো হলেও মামলার কারণে কলেজের কাজ ঝুলে আছে। বাকিগুলোর মধ্যে দক্ষিণ খানের একটি স্কুল ও একটি কলেজ, ডেমরা হাজী এম এ গফুর উচ্চবিদ্যালয়ের পাইলিংয়ের কাজ হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে কোনোটির দরপত্র হয়েছে, কোনোটির মাটি ভরাটের কাজ চলছে, আবার কোনোটির জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।
জানতে চাইলে এই প্রকল্পের পরিচালক মানিক চন্দ্র দে বলেন, ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে কয়েকটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে এখন নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে প্রথম শ্রেণীর ভর্তিতে। স্কুল পর্যায়ে রাজধানীর নামকরা প্রতিষ্ঠান হলো: রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলসহ কিছু বিদ্যালয়। তবে সব কটিতে প্রথম শ্রেণী নেই। গত কয়েক বছরের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভর্তির জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ পড়ছে বেশি।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে তিন দিনব্যাপী লটারি গতকাল শেষ হয়েছে। এর অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, এবার তাঁদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর ৬০০ আসনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। অর্থাৎ একটি আসন পাওয়ার জন্য প্রতিযোগতািয় নামে ৩৩ জন শিশু।
অধ্যক্ষ বলেন, মতিঝিলে তাঁদের বিদ্যালয়ের পাশেই তিনটি সরকারি বিদ্যালয় আছে, তাদের জায়গাও বেশি। সেগুলো যদি ভালো ফল করত, তাহলে অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানদের সেখানে ভর্তি করাতেন। এভাবে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করা গেলে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ কমত।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর লটারিতেও তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর এক হাজার ৪৮৪টি আসনের বিপরীতে লটারিতে অংশ নিয়েছে নয় হাজার ২৯০ শিশু। গতকাল শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী লটারি। যেসব শিশু লটারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, তাদের অভিভাবকদের আনন্দ ছিল সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই।
মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত কোটা বাদে সাধারণ আসনের লটারি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে দুই হাজার ২৮০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ছিল আট হাজারের কিছু ওপরে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তির এই চাপ কমাতে হলে বিদ্যমান বিদ্যালয়গুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক ভালো প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে। কারণ, নতুন প্রতিষ্ঠান করতে যেমন বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন, তেমনি তা সময়সাপেক্ষ।
সরকারি বিদ্যালয়গুলোর চিত্র: ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন ২৪টি সরকারি বিদ্যালয় (সংযুক্ত প্রাথমিকসহ) রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টিতে প্রথম শ্রেণী আছে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির লটারি হবে ২৭ ডিসেম্বর। অন্য শ্রেণীগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়ে এখন ফলাফলের অপেক্ষায়।
মাউশির কর্মকর্তারাই বলছেন, এই ২৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠান ভালো মানের। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে ১৩টিতে প্রথম শ্রেণী রয়েছে, সেগুলোতে এবার প্রথম শ্রেণীতে ফরম বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ১২৪টি। প্রথম শ্রেণীতে আসন আছে এক হাজার ৪৭৫টি। প্রথম শ্রেণীতে বেশি ফরম বিক্রি হয়েছে গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে, চার হাজার ৭২১টি আর আসন আছে ২৪০টি। মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে বিক্রি হয় পাঁচ হাজার ৩৭৫টি; আসন আছে ১২০টি। ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণীর ৬০টি আসনের বিপরীতে ফরম বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৭০১টি। বাকি বিদ্যালয়গুলো শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়েও ভালো করতে পারছে না।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক নোমান উর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের অভাব আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জন্য আমরা বিদ্যমান সব কটি বিদ্যালয়কে মানসম্মত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ঢাকা শহরে ১১টি নতুন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া শহরতলিতে কিছু নতুন প্রতিষ্ঠান করারও পরিকল্পনা আছে।’
বর্তমানে ঢাকা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭৫৭টি। এর মধ্যে কেবল ঢাকা মহানগরেই আছে ২৯৬টি। শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই বিদ্যালয়গুলো উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে ভর্তির চাপ অনেকাংশেই কমে যেত।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, গুণগত মানোন্নয়ন ও উন্নত পাঠদান রীতি অনুসরণের মাধ্যমে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ঢাকার পাঁচটি বিদ্যালয় ও জেলা পর্যায়ে একটি করে বিদ্যালয়কে ‘আদর্শ’ মানে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে: আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিল; গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দুজন করে কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের চিত্র: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজধানীতে নতুন করে সরকারি ১১টি বিদ্যালয় ও ছয়টি মহাবিদ্যালয়ে স্থাপনের কাজ চলছে। এর মধ্যে হাজারীবাগে একটি স্কুল ও একটি মহাবিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অগ্রগতি ভালো। দুয়ারিপাড়ায় স্কুলের নির্মাণ অগ্রগতি ভালো হলেও মামলার কারণে কলেজের কাজ ঝুলে আছে। বাকিগুলোর মধ্যে দক্ষিণ খানের একটি স্কুল ও একটি কলেজ, ডেমরা হাজী এম এ গফুর উচ্চবিদ্যালয়ের পাইলিংয়ের কাজ হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে কোনোটির দরপত্র হয়েছে, কোনোটির মাটি ভরাটের কাজ চলছে, আবার কোনোটির জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।
জানতে চাইলে এই প্রকল্পের পরিচালক মানিক চন্দ্র দে বলেন, ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে কয়েকটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
No comments