তিন দিনে আট স্বাস্থ্যকর্মী নিহত-পাকিস্তানে জাতিসংঘের পোলিও টিকা কার্যক্রম স্থগিত
পাকিস্তানে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ক্রমাগত হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে পোলিও টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল বুধবার পৃথক তিনটি হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার পর কর্মসূচি গুটিয়ে নেয় সংস্থা দুটি।
আগের দিন মঙ্গলবার ও গত সোমবার আলাদা হামলায় পাঁচ নারী স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হওয়ার পর কেবল সংশ্লিষ্ট এলাকা করাচি ও পেশোয়ারে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। গতকালের ঘটনার পর পুরো দেশের কার্যক্রম স্থগিত করল জাতিসংঘ।
গত সোমবার থেকে জাতিসংঘের সহায়তায় তিন দিনের পোলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। পাকিস্তানসহ বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশে এখনো মহামারির আকারে রয়েছে পোলিও। বাকি দুই দেশ হলো_আফগানিস্তান ও নাইজেরিয়া। কর্মসূচির তিন দিনে প্রায় ৫২ লাখ পোলিওর ড্রপ খাওয়ানোর আশা করা হচ্ছিল।
তবে কর্মসূচির প্রথম দিনই সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে এক স্বাস্থ্যকর্মী মারা যান। পরদিন মঙ্গলবার করাচিতে নিহত হন চার নারীকর্মী। এদিন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে আরেকটি হামলার ঘটনায় মারা যান আরেক নারী স্বাস্থ্যকর্মী।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ হামলার ঘটনার নিন্দা জানান। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল তিনটি হামলার ঘটনাই ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। পেশোয়ারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে একজন মারা যান। বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত হন একজন। আহত স্বাস্থ্যকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন প্রদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল। তিনি জানান, চারসাদ্দা এলাকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে একজন নারী স্বাস্থ্যকর্মী তথা গাড়ির চালক নিহত হন। হামলার উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত কোনো হামলারই কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে এর আগে পোলিও টিকাদান কর্মসূচিতে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের অপহরণ ও হত্যার পেছনে তালেবানের হাত ছিল। তাই গত কয়েকদিনের ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশটিতে এমন গুজব আছে, পোলিওর টিকা খাওয়ালে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। গত জুনে ওয়াজিরিস্তানে টিকাদান কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান। স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, এতে ওই অঞ্চলের দুই লাখ ৪০ হাজার শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছে। গত বছর পাকিস্তানে প্রায় ২০০ শিশু পোলিওতে বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গত সোমবার থেকে জাতিসংঘের সহায়তায় তিন দিনের পোলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। পাকিস্তানসহ বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশে এখনো মহামারির আকারে রয়েছে পোলিও। বাকি দুই দেশ হলো_আফগানিস্তান ও নাইজেরিয়া। কর্মসূচির তিন দিনে প্রায় ৫২ লাখ পোলিওর ড্রপ খাওয়ানোর আশা করা হচ্ছিল।
তবে কর্মসূচির প্রথম দিনই সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে এক স্বাস্থ্যকর্মী মারা যান। পরদিন মঙ্গলবার করাচিতে নিহত হন চার নারীকর্মী। এদিন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে আরেকটি হামলার ঘটনায় মারা যান আরেক নারী স্বাস্থ্যকর্মী।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ হামলার ঘটনার নিন্দা জানান। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল তিনটি হামলার ঘটনাই ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। পেশোয়ারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে একজন মারা যান। বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত হন একজন। আহত স্বাস্থ্যকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন প্রদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল। তিনি জানান, চারসাদ্দা এলাকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে একজন নারী স্বাস্থ্যকর্মী তথা গাড়ির চালক নিহত হন। হামলার উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত কোনো হামলারই কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে এর আগে পোলিও টিকাদান কর্মসূচিতে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের অপহরণ ও হত্যার পেছনে তালেবানের হাত ছিল। তাই গত কয়েকদিনের ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশটিতে এমন গুজব আছে, পোলিওর টিকা খাওয়ালে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। গত জুনে ওয়াজিরিস্তানে টিকাদান কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান। স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, এতে ওই অঞ্চলের দুই লাখ ৪০ হাজার শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছে। গত বছর পাকিস্তানে প্রায় ২০০ শিশু পোলিওতে বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments