কনটেইনার খুলে পাওয়া গেল ছাই by আসিফ সিদ্দিকী
ইট-বালু ও মাটির পর এবার কনটেইনার খুলে পাওয়া গেল ছাই। নারায়ণগঞ্জের এক আমদানিকারকের অ্যালুমিনিয়াম ওয়েস্ট স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষণায় এসেছে এই কনটেইনার ভর্তি ছাই। গত রবিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের এক পর্যায়ে চালানটি আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা দল (এআইআর)।
তাদের ধারণা, এই চালানের বিপরীতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
তবে ওই আমদানিকারকের পণ্য খালাসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বলেছে, তাদের কোনো দোষ নেই। এটা রপ্তানিকারকের প্রতারণা হতে পারে।
এর আগে পণ্য আমদানির ঘোষণায় বালু-মাটি যেমন এসেছে, ধরা পড়েছে খালি কনটেইনারও। কয়েকজন কাস্টমস গোয়েন্দা বলেছেন, পণ্য আমদানির নামে ভুয়া ঘোষণা দিয়ে মূল্য পরিশোধ বাবদ এভাবে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গোয়েন্দা দলের তৎপরতার কারণেই এখন এ ধরনের প্রচুর চালান ধরা পড়ছে বলে জানান কাস্টমস এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আশরাফ আলী। 'অর্থ পাচারের বিষয়ে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করি' মন্তব্য করে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ছাই ধরা পড়ার এই ঘটনায় অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার ঠিকানায় অবস্থিত এসআর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের নামে চীন থেকে ২৫ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম এবং ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষণা দেওয়া হয়। চালানটির মূল্য ঘোষণা দেওয়া হয় ২৫ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ২০ লাখ টাকা)। গত ১২ ডিসেম্বর চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে যে বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া হয়, তাতে রপ্তানিকারক দেখানো হয় চীনের ডিক (চায়না) ইমপোর্ট অ্যান্ড এঙ্পোর্ট লিমিটেডকে। বিল অব এন্ট্রি কাস্টমসে জমা দেওয়ার আগেই কাস্টমস গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে চালানটি ভুয়া। বিল অব এন্ট্রি জমার পর চালানটি খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারটি খুলে অ্যালুমিনিয়াম ও স্ক্র্যাপের বদলে মেলে শুধুই ছাই।
পণ্য 'কায়িক পরীক্ষার' সময় উপস্থিত থাকা এআইআর শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অ্যালুমিনিয়াম স্ক্র্যাপ ঘোষণা দেওয়া হলেও সেখানে সিলভার কালার গুঁড়া বা সেই ধরনের কিছুই মেলেনি। সবই কালো রঙের ছাই। এর পরও বিষয়টির দালিলিক প্রমাণের জন্য নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত 'আজনা গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজ বিডি লিমিটেড।' পণ্য খালাসের সময় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকতার হোসেন মিলন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখানে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফর কোনো দোষ নেই। রপ্তানিকারক কারসাজি করে এই কাজ করে থাকতে পারে।' অর্থপাচারের বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের শীতলপুরে অবস্থিত এসএল স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজের স্পেন থেকে ছয় কনটেইনারে ১৩৯ টন রি-রোলিং প্লেট আমদানির ঘোষণা দিলেও তাদের খালি কনটেইনারের চালান আটক করে কাস্টমস। অক্টোবরে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ানের একটি কারখানার নামে কোটি টাকার কস্টিক সোডার বদলে আসে বালি-মাটি।
তবে ওই আমদানিকারকের পণ্য খালাসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বলেছে, তাদের কোনো দোষ নেই। এটা রপ্তানিকারকের প্রতারণা হতে পারে।
এর আগে পণ্য আমদানির ঘোষণায় বালু-মাটি যেমন এসেছে, ধরা পড়েছে খালি কনটেইনারও। কয়েকজন কাস্টমস গোয়েন্দা বলেছেন, পণ্য আমদানির নামে ভুয়া ঘোষণা দিয়ে মূল্য পরিশোধ বাবদ এভাবে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গোয়েন্দা দলের তৎপরতার কারণেই এখন এ ধরনের প্রচুর চালান ধরা পড়ছে বলে জানান কাস্টমস এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আশরাফ আলী। 'অর্থ পাচারের বিষয়ে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করি' মন্তব্য করে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ছাই ধরা পড়ার এই ঘটনায় অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার ঠিকানায় অবস্থিত এসআর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের নামে চীন থেকে ২৫ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম এবং ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষণা দেওয়া হয়। চালানটির মূল্য ঘোষণা দেওয়া হয় ২৫ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ২০ লাখ টাকা)। গত ১২ ডিসেম্বর চালানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে যে বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া হয়, তাতে রপ্তানিকারক দেখানো হয় চীনের ডিক (চায়না) ইমপোর্ট অ্যান্ড এঙ্পোর্ট লিমিটেডকে। বিল অব এন্ট্রি কাস্টমসে জমা দেওয়ার আগেই কাস্টমস গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে চালানটি ভুয়া। বিল অব এন্ট্রি জমার পর চালানটি খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারটি খুলে অ্যালুমিনিয়াম ও স্ক্র্যাপের বদলে মেলে শুধুই ছাই।
পণ্য 'কায়িক পরীক্ষার' সময় উপস্থিত থাকা এআইআর শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অ্যালুমিনিয়াম স্ক্র্যাপ ঘোষণা দেওয়া হলেও সেখানে সিলভার কালার গুঁড়া বা সেই ধরনের কিছুই মেলেনি। সবই কালো রঙের ছাই। এর পরও বিষয়টির দালিলিক প্রমাণের জন্য নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত 'আজনা গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজ বিডি লিমিটেড।' পণ্য খালাসের সময় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকতার হোসেন মিলন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখানে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফর কোনো দোষ নেই। রপ্তানিকারক কারসাজি করে এই কাজ করে থাকতে পারে।' অর্থপাচারের বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের শীতলপুরে অবস্থিত এসএল স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজের স্পেন থেকে ছয় কনটেইনারে ১৩৯ টন রি-রোলিং প্লেট আমদানির ঘোষণা দিলেও তাদের খালি কনটেইনারের চালান আটক করে কাস্টমস। অক্টোবরে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ানের একটি কারখানার নামে কোটি টাকার কস্টিক সোডার বদলে আসে বালি-মাটি।
No comments