জোরপূর্বক শিশু দত্তকের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করবেন গিলার্ড
গত শতকের জোরপূর্বক শিশু দত্তক দেওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করবে অস্ট্রেলিয়া সরকার। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকে আড়াই লাখ শিশুকে মায়ের কোল ছাড়া করা হয়। এসব শিশুর বেশির ভাগই ছিল অবিবাহিত মায়ের সন্তান।
অ্যাটর্নি জেনারেল নিকোলা রোঙ্ন গতকাল বুধবার জানান, আগামী ২১ মার্চ পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের এ-সংক্রান্ত একটি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় রক্ষণশীল খ্রিস্টানদের আধিপত্য ছিল। বিভিন্ন ধর্মীয়গোষ্ঠী অবিবাহিত মায়েদের তাঁদের শিশুসন্তানদের দত্তক দিতে বাধ্য করে। সিনেটের কমিটি ১৮ মাসের তদন্ত শেষে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির সদস্যরা কয়েক ডজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন। কয়েক শ লিখিত অভিযোগও পান তাঁরা।
অনেক ভুক্তভোগী মা অভিযোগ করেন, দত্তকের ব্যাপারে সম্মতি নেওয়ার আগে তাঁদের ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়। কেউ কেউ বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক চাপের সামনে সন্তান দত্তক দেওয়া ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। এমনও হয়েছে, সন্তান জন্মের আগেই দত্তক দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিতে হয়েছে কোনো কোনো মাকে। অনেকে পরে খোঁজাখুঁজি করে তাঁদের সন্তানদের ফিরে পান। অনেকেই পাননি। অনেক ক্ষেত্রে দত্তক নেওয়া মা-বাবার নাম লেখা হয় ওই শিশুদের জন্মসনদে।
অ্যাটর্নি জেনারেল রোঙ্ন বলেন, 'জোরপূর্বক দত্তক দেওয়ার ঘটনায় কেবল ভুক্তভোগী মায়েরাই চরম দুঃখ ও ক্ষতির শিকার হননি, তাঁদের সন্তান ও সন্তানের বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও দুর্ভোগে পড়েন।' সূত্র : এবিসি নিউজ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় রক্ষণশীল খ্রিস্টানদের আধিপত্য ছিল। বিভিন্ন ধর্মীয়গোষ্ঠী অবিবাহিত মায়েদের তাঁদের শিশুসন্তানদের দত্তক দিতে বাধ্য করে। সিনেটের কমিটি ১৮ মাসের তদন্ত শেষে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির সদস্যরা কয়েক ডজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন। কয়েক শ লিখিত অভিযোগও পান তাঁরা।
অনেক ভুক্তভোগী মা অভিযোগ করেন, দত্তকের ব্যাপারে সম্মতি নেওয়ার আগে তাঁদের ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়। কেউ কেউ বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক চাপের সামনে সন্তান দত্তক দেওয়া ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। এমনও হয়েছে, সন্তান জন্মের আগেই দত্তক দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিতে হয়েছে কোনো কোনো মাকে। অনেকে পরে খোঁজাখুঁজি করে তাঁদের সন্তানদের ফিরে পান। অনেকেই পাননি। অনেক ক্ষেত্রে দত্তক নেওয়া মা-বাবার নাম লেখা হয় ওই শিশুদের জন্মসনদে।
অ্যাটর্নি জেনারেল রোঙ্ন বলেন, 'জোরপূর্বক দত্তক দেওয়ার ঘটনায় কেবল ভুক্তভোগী মায়েরাই চরম দুঃখ ও ক্ষতির শিকার হননি, তাঁদের সন্তান ও সন্তানের বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও দুর্ভোগে পড়েন।' সূত্র : এবিসি নিউজ।
No comments