রবিশস্য আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক
চাষাবাদ খরচ বৃদ্ধি ও ধানের দাম কম হওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকেরা রবিশস্য আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও কম খরচে এই ফসল উৎপাদন করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের অধীন নাচোল উপজেলার বরেন্দ্রা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, এ গ্রামের কৃষকেরা প্রতিবছর কমপক্ষে ৫১০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেন। কিন্তু এবার তাঁরা মাত্র ১৫০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। বাকি ৩৬০ বিঘা জমিতে ছোলা, সরিষা, মসুর ও মটর ডালসহ বিভিন্ন রবিশস্যের আবাদ হচ্ছে।
বরেন্দ্রা গ্রামের কৃষক আবদুল হালিম, আনিসুর রহমান ও আবদুল বারি জানান, এবার এক বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করতে খরচ হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। অথচ আশানুরূপ ফলন হয়নি। আবার ধানের দামও কম। বাজারে প্রতি মণ ধান ৫৩০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বরেন্দ্রা গ্রামের আনিসুর রহমান এবার চার বিঘা জমিতে ছোলা, চার বিঘা জমিতে মটর, দুই বিঘা জমিতে গম ও দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। আবদুল বারি সাড়ে ১৩ বিঘা জমিতে ছোলা এবং হাসান আলী ১০ বিঘা জমিতে ছোলা ও তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। এসব জমিতে গত বছর তাঁরা বোরো আবাদ করেছিলেন। কিন্তু ধান আবাদে লাভ না হওয়ায় তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
শুধু বরেন্দ্রা গ্রাম নয়, বরেন্দ্র অঞ্চলের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক উপজেলার কৃষকেরা বোরোর আবাদ কমিয়ে রবি ফসল আবাদের দিকে ঝুঁকেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে ক্রমেই পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আমরা কম সেচনির্ভর ফসল উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। এ জন্য সম্প্রতি নাচোল উপজেলায় পাঁচটি উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেছি।
এ ছাড়া গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও সদর উপজেলাতেও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বোরো আবাদ কম হবে। গত বছরের এ সময় পর্যন্ত গমের আবাদ হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে। এবার হয়েছে ২০ হাজার ৯৩০ হেক্টরে। গমের আবাদ আরও বাড়বে।
বরেন্দ্রা গ্রামের কৃষক আবদুল হালিম, আনিসুর রহমান ও আবদুল বারি জানান, এবার এক বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করতে খরচ হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। অথচ আশানুরূপ ফলন হয়নি। আবার ধানের দামও কম। বাজারে প্রতি মণ ধান ৫৩০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বরেন্দ্রা গ্রামের আনিসুর রহমান এবার চার বিঘা জমিতে ছোলা, চার বিঘা জমিতে মটর, দুই বিঘা জমিতে গম ও দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। আবদুল বারি সাড়ে ১৩ বিঘা জমিতে ছোলা এবং হাসান আলী ১০ বিঘা জমিতে ছোলা ও তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। এসব জমিতে গত বছর তাঁরা বোরো আবাদ করেছিলেন। কিন্তু ধান আবাদে লাভ না হওয়ায় তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
শুধু বরেন্দ্রা গ্রাম নয়, বরেন্দ্র অঞ্চলের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক উপজেলার কৃষকেরা বোরোর আবাদ কমিয়ে রবি ফসল আবাদের দিকে ঝুঁকেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে ক্রমেই পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আমরা কম সেচনির্ভর ফসল উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। এ জন্য সম্প্রতি নাচোল উপজেলায় পাঁচটি উদ্বুদ্ধকরণ সভা করেছি।
এ ছাড়া গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও সদর উপজেলাতেও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বোরো আবাদ কম হবে। গত বছরের এ সময় পর্যন্ত গমের আবাদ হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে। এবার হয়েছে ২০ হাজার ৯৩০ হেক্টরে। গমের আবাদ আরও বাড়বে।
No comments