কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতার মূল্য ৭৭ লাখ!- অভিনব ‘শিক্ষাসফর’
দিল্লির সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন। প্রায় ২০ তলা সমান উঁচু এই মিনার বানাতে অভিজ্ঞতা নিতে ভারতের বাইরে যেতে হয়নি সে সময়ের প্রকৌশলী বা আমাত্যদের।
অথচ এই একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি বহুতল ভবন নির্মাণের অভিজ্ঞতা সংগ্রহে বিদেশে যাচ্ছেন আট কর্মকর্তা। তাঁদের এই অভিজ্ঞতা সংগ্রহের খরচ ধরা হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। কারও কারও অভিজ্ঞতার মূল্য এমনই বিপুল!
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে সিডিএ স্কয়ারে ২০, ২২ ও ২৫ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প চালু করেছে সিডিএ। এর জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে কর্মকর্তাদের ‘শিক্ষাসফরের’। যাচ্ছেন আট কর্মকর্তা, যাঁদের মধ্যে মাত্র একজন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আটজনের চারজন দুই মন্ত্রণালয়ের, আর চারজন সিডিএর প্রকৌশলী। এই চার প্রকৌশলীর তিনজনই আবার দুদকের মামলার আসামি। চাকরির বিধি অনুসারে এই তিনজনের এখন সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) থাকার কথা। কিন্তু অলিখিত নিয়মই লিখিত নিয়মের থেকে বেশি শক্তিশালী। সেই অদৃশ্য ‘নিয়মে’ শাস্তির বদলে এই তিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালি ভ্রমণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যাঁরা তাঁদের নির্বাচক তাঁরা ভাবার প্রয়োজনই বোধ করেননি যে এই আটজনের সাতজনেরই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই। তাহলে তাঁদের অর্জিত অভিজ্ঞতা কী কাজে লাগবে?
বাংলাদেশে এখন ২০ থেকে ২৫ তলা ভবনের সংখ্যা অঢেল। খোদ চট্টগ্রাম নগরেই এ ধরনের বেশ কয়েকটি ভবন সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে। ‘ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া’ যা দেখা সম্ভব, তা দেখতে মুলুক ঘুরতে যাওয়ার অর্থ আসলে ‘দুর্নীতি’। প্রাথমিক খরচ হিসেবে এ ঘুষে ব্যয় হবে ৭৭ লাখ টাকা। এ টাকা যে সরাসরি কর্মকর্তাদের প্রমোদের কাজে ব্যয় হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ করার কারণ নেই। জনগণের করের টাকায় এ রকম ভ্রমণ কেবল স্বেচ্ছাচারিতাই নয়, দুর্নীতির শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এভাবে বিদেশ ভ্রমণ বা প্রশিক্ষণের নামে ব্যক্তিগত ভোগবিলাসের জন্য সরকারি অর্থ খরচ করা মোটামুটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অভিজ্ঞতা অর্জনে শিক্ষাসফর ইত্যাদি মেকি কারণ দেখিয়ে বিদেশ সফর করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে ফাঁকি দেন। তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে সিডিএ স্কয়ারে ২০, ২২ ও ২৫ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প চালু করেছে সিডিএ। এর জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে কর্মকর্তাদের ‘শিক্ষাসফরের’। যাচ্ছেন আট কর্মকর্তা, যাঁদের মধ্যে মাত্র একজন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আটজনের চারজন দুই মন্ত্রণালয়ের, আর চারজন সিডিএর প্রকৌশলী। এই চার প্রকৌশলীর তিনজনই আবার দুদকের মামলার আসামি। চাকরির বিধি অনুসারে এই তিনজনের এখন সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) থাকার কথা। কিন্তু অলিখিত নিয়মই লিখিত নিয়মের থেকে বেশি শক্তিশালী। সেই অদৃশ্য ‘নিয়মে’ শাস্তির বদলে এই তিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালি ভ্রমণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যাঁরা তাঁদের নির্বাচক তাঁরা ভাবার প্রয়োজনই বোধ করেননি যে এই আটজনের সাতজনেরই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই। তাহলে তাঁদের অর্জিত অভিজ্ঞতা কী কাজে লাগবে?
বাংলাদেশে এখন ২০ থেকে ২৫ তলা ভবনের সংখ্যা অঢেল। খোদ চট্টগ্রাম নগরেই এ ধরনের বেশ কয়েকটি ভবন সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে। ‘ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া’ যা দেখা সম্ভব, তা দেখতে মুলুক ঘুরতে যাওয়ার অর্থ আসলে ‘দুর্নীতি’। প্রাথমিক খরচ হিসেবে এ ঘুষে ব্যয় হবে ৭৭ লাখ টাকা। এ টাকা যে সরাসরি কর্মকর্তাদের প্রমোদের কাজে ব্যয় হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ করার কারণ নেই। জনগণের করের টাকায় এ রকম ভ্রমণ কেবল স্বেচ্ছাচারিতাই নয়, দুর্নীতির শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এভাবে বিদেশ ভ্রমণ বা প্রশিক্ষণের নামে ব্যক্তিগত ভোগবিলাসের জন্য সরকারি অর্থ খরচ করা মোটামুটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অভিজ্ঞতা অর্জনে শিক্ষাসফর ইত্যাদি মেকি কারণ দেখিয়ে বিদেশ সফর করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে ফাঁকি দেন। তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
No comments