মেশালের গাজা সফর নিয়ে ইসরায়েলে বিতর্ক, ক্ষোভ
গাজার কাতিবা স্কয়ারে হাজারো মানুষের ঢল। মঞ্চে উপবিষ্ট গাজা শাসনকারী হামাসের পলিটব্যুরো-প্রধান খালেদ মেশাল। তাঁর পাশে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াসহ অন্য নেতারা। সমবেত জনতার হাতে হামাসের সবুজ পতাকা, মাথায় টুপি।
মাইক থেকে ছড়িয়ে পড়ছে জাতীয়তাবাদী প্রেরণায় উদ্দীপ্ত বক্তব্য ও গান।
গাজায় গত শনিবার নজিরবিহীন এ দৃশ্য দেখেছে পুরো বিশ্ব। ফিলিস্তিনের ঘোরশত্রু ইসরায়েলও দেখেছে তা। আগামী মাসে ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচন। এই সময়ে গাজায় মেশালের এই সফরকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক, ক্ষোভ।
দশকের পর দশক ধরে নির্বাসিত থাকা হামাস নেতা মেশাল শুক্রবার গাজায় পৌঁছান। হামাসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক গণসমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, তাঁরা ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ‘এক ইঞ্চি’ মাটিও ছাড় দেবেন না। তাঁর এই ঘোষণা ইসরায়েলে ব্যাপক ক্রোধের সঞ্চার করেছে।
ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী গাইডিওন সার, যিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির সদস্য; তিনি দেশের সেনাবাহিনীর বেতারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘(পশ্চিম তীরের) জুডিয়া ও সামারিয়া থেকে নতুন করে প্রত্যাহারে যেসব দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা সবাই সেখানে হামাসকে ক্ষমতার শীর্ষে তুলতে চায়।’ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সরকারই কেবল ইরান ও তার দোসর হামাসকে মোকাবিলা করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে জিউশ হোম পার্টির প্রধান উগ্র জাতীয়তাবাদের সমর্থক নাফতালি বেনেট দেশটির সরকারি বেতারকে বলেন, মেশালকে গাজা সফর থেকে বিরত রাখতে তাঁর দল সরকারকে চাপ দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝি না, কেন আমরা তাঁকে গাজায় প্রবেশ করতে দিলাম।’ বেনেটের দল ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহুর জোটের শরিক।
ইসরায়েলের নতুন দল হা টিনুয়ার (দ্য মুভমেন্ট) প্রধান টিজিপি লিভনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, হামাস শনিবার ইসরায়েলি সরকারের পতন উদ্যাপন করেছে। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হা টিনুয়া দলের হয়ে এবারের নির্বাচনে লড়বেন। তিনি বলেন, ‘এই (নেতানিয়াহু) সরকারের আমলে যত দিন যাচ্ছে, ততই হামাস শক্তিশালী হচ্ছে। দুর্বল হচ্ছে ইসরায়েল।’ এএফপি।
গাজায় গত শনিবার নজিরবিহীন এ দৃশ্য দেখেছে পুরো বিশ্ব। ফিলিস্তিনের ঘোরশত্রু ইসরায়েলও দেখেছে তা। আগামী মাসে ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচন। এই সময়ে গাজায় মেশালের এই সফরকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক, ক্ষোভ।
দশকের পর দশক ধরে নির্বাসিত থাকা হামাস নেতা মেশাল শুক্রবার গাজায় পৌঁছান। হামাসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক গণসমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, তাঁরা ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ‘এক ইঞ্চি’ মাটিও ছাড় দেবেন না। তাঁর এই ঘোষণা ইসরায়েলে ব্যাপক ক্রোধের সঞ্চার করেছে।
ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী গাইডিওন সার, যিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির সদস্য; তিনি দেশের সেনাবাহিনীর বেতারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘(পশ্চিম তীরের) জুডিয়া ও সামারিয়া থেকে নতুন করে প্রত্যাহারে যেসব দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা সবাই সেখানে হামাসকে ক্ষমতার শীর্ষে তুলতে চায়।’ বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সরকারই কেবল ইরান ও তার দোসর হামাসকে মোকাবিলা করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে জিউশ হোম পার্টির প্রধান উগ্র জাতীয়তাবাদের সমর্থক নাফতালি বেনেট দেশটির সরকারি বেতারকে বলেন, মেশালকে গাজা সফর থেকে বিরত রাখতে তাঁর দল সরকারকে চাপ দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝি না, কেন আমরা তাঁকে গাজায় প্রবেশ করতে দিলাম।’ বেনেটের দল ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহুর জোটের শরিক।
ইসরায়েলের নতুন দল হা টিনুয়ার (দ্য মুভমেন্ট) প্রধান টিজিপি লিভনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, হামাস শনিবার ইসরায়েলি সরকারের পতন উদ্যাপন করেছে। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হা টিনুয়া দলের হয়ে এবারের নির্বাচনে লড়বেন। তিনি বলেন, ‘এই (নেতানিয়াহু) সরকারের আমলে যত দিন যাচ্ছে, ততই হামাস শক্তিশালী হচ্ছে। দুর্বল হচ্ছে ইসরায়েল।’ এএফপি।
No comments