পাঠকের মন্তব্য- আমরা যেকোনো উপায়ে পদ্মা সেতু চাই
অনলাইনে প্রথম আলো (pৎothom-alo.com) পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন।
তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে গত শনিবার সকালেই এক ই-মেইল বার্তায় এ কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের এ বক্তব্য সম্পর্কে মহিউদ্দীন মসউদ লিখেছেন: দুদকের এখন অন্তত ইঁদুর-বিড়াল খেলা বন্ধ করে বাস্তবতায় ফিরে আসা উচিত। ফয়সালা যত তাড়াতাড়ি হবে ক্ষমতাসীনদের জন্য তা তত শুভসংবাদ থাকবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাংক শুধু অর্থ বিনিয়োগই করে না, রাজনীতিতেও বিনিয়োগ করে।
পাভেল আহমেদ: পদ্মা সেতু আমাদের ফরিদপুরবাসীর প্রাণের দাবি। সুবিধাভোগী কিছু রাঘববোয়ালের জন্য পদ্মা সেতু না হলে পদ্মার এই পারের মানুষ কখনো তা মেনে নেবে না। আমরা যেকোনো উপায়ে পদ্মা সেতু চাই।
গিয়াস: গোল্ডস্টেইনের দেওয়া বক্তব্যে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে দুদকে বড় ধরনের গলদ রয়েছে। এখন আর কোনো কথা নয়, দ্রুত দুদক পুনর্গঠন করতে হবে। সরকার এটা করবে না। এ জন্য সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছ থেকে দাবি তুলে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। শুধু পদ্মা সেতুর জন্য নয়, সব ধরনের দুর্নীতি দমনের জন্য এটা এখন অত্যন্ত জরুরি।
বিষমুক্ত সবজিতে রাষ্ট্রীয় পদক
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দেলোয়ারা খাতুন ও তাঁর স্বামীর এই সাফল্যের কাহিনি তুলে এনেছেন খলিল রহমান। এ সম্পর্কে আলামিন লিখেছেন: দেশের প্রকৃত সেনানী, সালাম তোমাদের। তোমাদের কারণেই আমাদের দেশটা এখনো টিকে আছে। তোমরা অন্যের মুখের আহার জোগাও কিন্তু তোমাদের আহার থাকে না! আমি আশা করব, সব কৃষক তাঁর ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন।
সফিকুল ইসলাম: রাসায়নিক, কীটনাশক, হাইব্রিড আর ফরমালিনের রাজ্যে আমরা অতিষ্ঠ। দেলোয়ারা খাতুনের বিষমুক্ত সবজি চাষের খবরটি বেশ আশান্বিত করার ও ভালো লাগার মতো। এ রকম সংগ্রামী ও মহতী উদ্যোক্তাদের রাষ্ট্রীয় পদকে সীমাবদ্ধ না রেখে সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলে আরও অনেক মানুষ এ কাজে আগ্রহী হবে। আর আমরা বিষযুক্ত সবজির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। দেলোয়ারা খাতুনের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
১৮ ডিসেম্বর বাম দলের হরতাল
গত শুক্রবার প্রথম আলোয় এ তথ্য প্রকাশের পর বাবুল হাবিব তাঁর প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন: এই হরতাল কতটুকু সফল হয়, তার মাধ্যমে রাজনীতির বাজারে সিপিবি ও বাসদের মূল্য নির্ধারিত হবে। হরতাল যদি সফলতার ধারায় থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে বড় দুটি দলের যেকোনো একটির সঙ্গে কিছুটা গুরুত্ব নিয়ে দর-কষাকষি করতে পারবে তারা। এই হরতাল সম্পর্কে আওয়ামী লীগ কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
সাইদুর রহমান: মনে হচ্ছে, জনগণের হাজারো সংকটের মধ্যে কোনটি নিয়ে এগোনো যায়, আন্দোলন করা যায়, সেটা বুঝতে না পেরে নিজেদের উপস্থিতি ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য এই হরতাল ডাকা হয়েছে। জনগণের ইস্যু নিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ তাদের চিনত। বড় দলের নেতারা ঢাকঢোল পিটিয়ে জনস্বার্থ, দেশপ্রেম, গণতন্ত্র রক্ষা, নির্বাচন, সংবিধান ইত্যাদি শব্দ পুনঃপুন ব্যবহার করেন, যা তাঁদের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য, তা-ই করে যাচ্ছেন। আর সমাজতান্ত্রিক দল, কমিউনিস্ট পার্টি কি করবে না করবে, কোথা থেকে শুরু করবে—কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। কাজের নামে সবারই কেবল লোক দেখানো।
৯ ডিসেম্বর গাড়ি বের করবেন না
বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির দিন (৯ ডিসেম্বর, রোববার) গাড়ি, এমনকি রিকশা না বের করার অনুরোধ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জোবায়ের লিখেছেন: রাস্তার মালিক এ দেশের জনগণ। জনগণের রাস্তা ব্যবহারের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আপনাদের কে দিয়েছে? আপনারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মালিক আর ক্ষমতায় না থাকলে রাস্তার মালিক হয়ে যান।
এম এ হাশেম: দেশের সব গাড়িচালককে (যাঁরা একমাত্র গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান) এক দিনের আয় দিয়ে দিন। নাহলে অনেক গাড়িচালককে এক দিন গাড়ি না চালালে পরিবারের সবাইকে উপোস থাকতে হবে। আপনার আদরের সন্তানটি সারা দিন না খেয়ে থাকলে আপনার কেমন লাগবে, একবার ভাবুন তো? আশা করি, বোঝার চেষ্টা করবেন।
ফারুক আহমেদ মজুমদার: রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামা নিষেধ! আপনার নিজের কাজ তো ঠিকই রাখবেন। তবে আপনারা কেন আমাদের কাজে বাধা দেবেন? দুদক তৈরির পর থেকে সবচেয়ে ভালো কাজ করছে এখন। আপনারা কোকোর টাকা ফিরিয়ে আনাকে ষড়যন্ত্র, আবার আবুল হোসেনেরটাকে দুর্নীতি দেখাতে চাইছেন।
দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
দ্বিতীয় পদ্মা সেতু তৈরির উদ্যোগের বিষয়টি জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে মুস্তাফিজ রহমান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন: প্রথম পদ্মা সেতুর কূলকিনারা না করেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ সরকারের ‘পদ্মা তামাশা’ হিসেবেই মানুষের কাছে বিবেচিত হবে।
আবুল বাশার: একটা করতে পারেন না, দুইটা করবেন! আপনাদের আর সেতু করা লাগবে না। সারা দেশে সড়কের যে অবস্থা বেহাল, আপনি সেগুলো ঠিক করেন।
মো. নুরুদ্দীন জাহাঙ্গীর: পদ্মা সেতু নিয়ে আপনি অন্তত আমাদের আর বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। একটাই হয় না আবার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু! বাংলাদেশের মানুষ জেনে গেছে, এই সরকারের পক্ষে পদ্মা সেতু করা অসম্ভব। কারণ, সরকার নিজেই সেতু নিয়ে দুর্নীতি করেছে।
জামায়াতের দুঃখ প্রকাশ, কার কাছে, কেন?
গত মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা হামলা করেন মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়িতে। এতে চালক আহত হন এবং গাড়িটির ক্ষতি হয়। এ জন্য মার্কিন দূতাবাসের কাছে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু ওই দিন তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকা শহরজুড়ে আরও গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলেও জামায়াত সে সম্পর্কে ছিল নীরব। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোহরাব হাসান তাঁর লেখায়। এ সম্পর্কে মো. গোলাম মাহবুব লিখেছেন: টিভির খবরে দেখলাম জামায়াত-শিবিরের ছেলেরা প্রকাশ্যে বাসে আগুন দিচ্ছেন। মার্কিনদের কাছে জামায়াত ক্ষমা চেয়েছে। জাতির কাছে জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মো. তারেক মাহমুদ: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, জামায়াতের প্রকৃত চরিত্রই এমন। গণহত্যার জন্য তারা অনুতপ্ত নয়, ব্যস্ত বিদেশি প্রভুদের পদলেহনে। বাংলামাতার সম্ভ্রম রক্ষার্থে আসুন, আমরা জামায়াতকে প্রতিহত করি।
আহমেদ চৌধুরী: এরা ভণ্ড, দুষ্কৃতকারী। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থে। দেশের সম্পদ এতগুলো গাড়ি ভেঙে এদের অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই। কিন্তু বিশ্ব মুরব্বির গাড়ির গায়ে আঁচড় লেগেছে, তাতেই দেখুন কী অবস্থা। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। আরও দুর্ভাগ্য, বিএনপি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার প্রতিষ্ঠিত দল বলে দাবি করা সত্ত্বেও জামায়াতের এই হরতালে (যা যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্য করা হয়েছে) সমর্থন দেয়!
নজরুল ইসলাম: ওরা একাত্তরের জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। ওরা বলে একাত্তরে তারা ভুল করেনি। আর এই সামান্য কয়টি গাড়ির জন্য ওরা ক্ষমা চাইবে? এটা কক্ষনো হতে পারে না, প্রয়োজনে তারা শহীদ কিংবা গাজি হয়ে যাবে। ওরা শুধু বিদেশি প্রভুর কাছে কালবিলম্ব না করে মাথাঠোকা শুরু করে দিয়েছে।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন pৎothom-alo.com)
পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে গত শনিবার সকালেই এক ই-মেইল বার্তায় এ কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের এ বক্তব্য সম্পর্কে মহিউদ্দীন মসউদ লিখেছেন: দুদকের এখন অন্তত ইঁদুর-বিড়াল খেলা বন্ধ করে বাস্তবতায় ফিরে আসা উচিত। ফয়সালা যত তাড়াতাড়ি হবে ক্ষমতাসীনদের জন্য তা তত শুভসংবাদ থাকবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাংক শুধু অর্থ বিনিয়োগই করে না, রাজনীতিতেও বিনিয়োগ করে।
পাভেল আহমেদ: পদ্মা সেতু আমাদের ফরিদপুরবাসীর প্রাণের দাবি। সুবিধাভোগী কিছু রাঘববোয়ালের জন্য পদ্মা সেতু না হলে পদ্মার এই পারের মানুষ কখনো তা মেনে নেবে না। আমরা যেকোনো উপায়ে পদ্মা সেতু চাই।
গিয়াস: গোল্ডস্টেইনের দেওয়া বক্তব্যে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে দুদকে বড় ধরনের গলদ রয়েছে। এখন আর কোনো কথা নয়, দ্রুত দুদক পুনর্গঠন করতে হবে। সরকার এটা করবে না। এ জন্য সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছ থেকে দাবি তুলে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। শুধু পদ্মা সেতুর জন্য নয়, সব ধরনের দুর্নীতি দমনের জন্য এটা এখন অত্যন্ত জরুরি।
বিষমুক্ত সবজিতে রাষ্ট্রীয় পদক
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দেলোয়ারা খাতুন ও তাঁর স্বামীর এই সাফল্যের কাহিনি তুলে এনেছেন খলিল রহমান। এ সম্পর্কে আলামিন লিখেছেন: দেশের প্রকৃত সেনানী, সালাম তোমাদের। তোমাদের কারণেই আমাদের দেশটা এখনো টিকে আছে। তোমরা অন্যের মুখের আহার জোগাও কিন্তু তোমাদের আহার থাকে না! আমি আশা করব, সব কৃষক তাঁর ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন।
সফিকুল ইসলাম: রাসায়নিক, কীটনাশক, হাইব্রিড আর ফরমালিনের রাজ্যে আমরা অতিষ্ঠ। দেলোয়ারা খাতুনের বিষমুক্ত সবজি চাষের খবরটি বেশ আশান্বিত করার ও ভালো লাগার মতো। এ রকম সংগ্রামী ও মহতী উদ্যোক্তাদের রাষ্ট্রীয় পদকে সীমাবদ্ধ না রেখে সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলে আরও অনেক মানুষ এ কাজে আগ্রহী হবে। আর আমরা বিষযুক্ত সবজির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। দেলোয়ারা খাতুনের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
১৮ ডিসেম্বর বাম দলের হরতাল
গত শুক্রবার প্রথম আলোয় এ তথ্য প্রকাশের পর বাবুল হাবিব তাঁর প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন: এই হরতাল কতটুকু সফল হয়, তার মাধ্যমে রাজনীতির বাজারে সিপিবি ও বাসদের মূল্য নির্ধারিত হবে। হরতাল যদি সফলতার ধারায় থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে বড় দুটি দলের যেকোনো একটির সঙ্গে কিছুটা গুরুত্ব নিয়ে দর-কষাকষি করতে পারবে তারা। এই হরতাল সম্পর্কে আওয়ামী লীগ কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
সাইদুর রহমান: মনে হচ্ছে, জনগণের হাজারো সংকটের মধ্যে কোনটি নিয়ে এগোনো যায়, আন্দোলন করা যায়, সেটা বুঝতে না পেরে নিজেদের উপস্থিতি ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য এই হরতাল ডাকা হয়েছে। জনগণের ইস্যু নিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ তাদের চিনত। বড় দলের নেতারা ঢাকঢোল পিটিয়ে জনস্বার্থ, দেশপ্রেম, গণতন্ত্র রক্ষা, নির্বাচন, সংবিধান ইত্যাদি শব্দ পুনঃপুন ব্যবহার করেন, যা তাঁদের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য, তা-ই করে যাচ্ছেন। আর সমাজতান্ত্রিক দল, কমিউনিস্ট পার্টি কি করবে না করবে, কোথা থেকে শুরু করবে—কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। কাজের নামে সবারই কেবল লোক দেখানো।
৯ ডিসেম্বর গাড়ি বের করবেন না
বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির দিন (৯ ডিসেম্বর, রোববার) গাড়ি, এমনকি রিকশা না বের করার অনুরোধ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জোবায়ের লিখেছেন: রাস্তার মালিক এ দেশের জনগণ। জনগণের রাস্তা ব্যবহারের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আপনাদের কে দিয়েছে? আপনারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মালিক আর ক্ষমতায় না থাকলে রাস্তার মালিক হয়ে যান।
এম এ হাশেম: দেশের সব গাড়িচালককে (যাঁরা একমাত্র গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান) এক দিনের আয় দিয়ে দিন। নাহলে অনেক গাড়িচালককে এক দিন গাড়ি না চালালে পরিবারের সবাইকে উপোস থাকতে হবে। আপনার আদরের সন্তানটি সারা দিন না খেয়ে থাকলে আপনার কেমন লাগবে, একবার ভাবুন তো? আশা করি, বোঝার চেষ্টা করবেন।
ফারুক আহমেদ মজুমদার: রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামা নিষেধ! আপনার নিজের কাজ তো ঠিকই রাখবেন। তবে আপনারা কেন আমাদের কাজে বাধা দেবেন? দুদক তৈরির পর থেকে সবচেয়ে ভালো কাজ করছে এখন। আপনারা কোকোর টাকা ফিরিয়ে আনাকে ষড়যন্ত্র, আবার আবুল হোসেনেরটাকে দুর্নীতি দেখাতে চাইছেন।
দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
দ্বিতীয় পদ্মা সেতু তৈরির উদ্যোগের বিষয়টি জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে মুস্তাফিজ রহমান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন: প্রথম পদ্মা সেতুর কূলকিনারা না করেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ সরকারের ‘পদ্মা তামাশা’ হিসেবেই মানুষের কাছে বিবেচিত হবে।
আবুল বাশার: একটা করতে পারেন না, দুইটা করবেন! আপনাদের আর সেতু করা লাগবে না। সারা দেশে সড়কের যে অবস্থা বেহাল, আপনি সেগুলো ঠিক করেন।
মো. নুরুদ্দীন জাহাঙ্গীর: পদ্মা সেতু নিয়ে আপনি অন্তত আমাদের আর বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। একটাই হয় না আবার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু! বাংলাদেশের মানুষ জেনে গেছে, এই সরকারের পক্ষে পদ্মা সেতু করা অসম্ভব। কারণ, সরকার নিজেই সেতু নিয়ে দুর্নীতি করেছে।
জামায়াতের দুঃখ প্রকাশ, কার কাছে, কেন?
গত মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা হামলা করেন মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়িতে। এতে চালক আহত হন এবং গাড়িটির ক্ষতি হয়। এ জন্য মার্কিন দূতাবাসের কাছে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু ওই দিন তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকা শহরজুড়ে আরও গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলেও জামায়াত সে সম্পর্কে ছিল নীরব। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোহরাব হাসান তাঁর লেখায়। এ সম্পর্কে মো. গোলাম মাহবুব লিখেছেন: টিভির খবরে দেখলাম জামায়াত-শিবিরের ছেলেরা প্রকাশ্যে বাসে আগুন দিচ্ছেন। মার্কিনদের কাছে জামায়াত ক্ষমা চেয়েছে। জাতির কাছে জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মো. তারেক মাহমুদ: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, জামায়াতের প্রকৃত চরিত্রই এমন। গণহত্যার জন্য তারা অনুতপ্ত নয়, ব্যস্ত বিদেশি প্রভুদের পদলেহনে। বাংলামাতার সম্ভ্রম রক্ষার্থে আসুন, আমরা জামায়াতকে প্রতিহত করি।
আহমেদ চৌধুরী: এরা ভণ্ড, দুষ্কৃতকারী। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থে। দেশের সম্পদ এতগুলো গাড়ি ভেঙে এদের অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই। কিন্তু বিশ্ব মুরব্বির গাড়ির গায়ে আঁচড় লেগেছে, তাতেই দেখুন কী অবস্থা। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। আরও দুর্ভাগ্য, বিএনপি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার প্রতিষ্ঠিত দল বলে দাবি করা সত্ত্বেও জামায়াতের এই হরতালে (যা যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্য করা হয়েছে) সমর্থন দেয়!
নজরুল ইসলাম: ওরা একাত্তরের জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। ওরা বলে একাত্তরে তারা ভুল করেনি। আর এই সামান্য কয়টি গাড়ির জন্য ওরা ক্ষমা চাইবে? এটা কক্ষনো হতে পারে না, প্রয়োজনে তারা শহীদ কিংবা গাজি হয়ে যাবে। ওরা শুধু বিদেশি প্রভুর কাছে কালবিলম্ব না করে মাথাঠোকা শুরু করে দিয়েছে।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন pৎothom-alo.com)
No comments