নিরীহ তরুণ হত্যার দায় কে নেবে?- রাজনৈতিক সহিংসতা
গতকাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি হরতালের সহিংসতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের মনে উদ্বেগ ছিল। কিন্তু অবরোধের সময় এক নিরীহ তরুণকে প্রাণ দিতে হবে, এটা কেউ কল্পনাও করেননি।
জজকোর্ট এলাকায় বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অবরোধের সমর্থনে আইনজীবীদের একটি মিছিল সরকার-সমর্থকদের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এই ডামাডোলে হতভাগ্য নিরীহ পথচারী দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এই হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে অবরোধকারীদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষে আরও একজন মারা যান। যারা মানুষ খুন করে, কোনো রাজনৈতিক দল তাদের প্রশ্রয় দিতে পারে না। অন্তত এ বিষয়ে কোনো পক্ষের কোনো অজুহাত মেনে নেওয়া যায় না।
অবরোধ ও হরতালের মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য রাখা হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত কর্মসূচির আগের দিনই ঘোষণা দিয়ে বলেন, কেউ যেন গাড়ি বের না করেন। জনমনে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির জন্য এ ঘোষণাই ছিল যথেষ্ট। অবরোধকারীদের জন্য সেটাই ছিল প্রকৃতপক্ষে সহিংস আচরণে ঝাঁপিয়ে পড়ার একটি সবুজসংকেত। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বাস পোড়ানো শুরু হয়। এটা পরিষ্কার যে ওরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাদের ঘোষিত সময়সূচির বাইরেই সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, সহিংসতার সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁর এ দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করা সহজ নয়। কারণ, হরতাল-অবরোধ ধরনের কর্মসূচি সফল করার জন্য ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলে আসছে, তার ঊর্ধ্বে ১৮ দলীয় জোট নিজেদের স্থাপন করতে পারেনি।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অবরোধ তৎপরতা প্রতিরোধ না করার ঘোষণা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু আবার পাড়ায়-মহল্লায় কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছে। এভাবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উত্তপ্ত করেছে। জজকোর্ট এলাকায় সৃষ্ট রক্তাক্ত সংঘর্ষ ছিল এই তথাকথিত ‘সতর্ক’ থাকার নির্মম পরিণতি। বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলায় এ ধরনের কৌশল ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীলতার গুরুতর বিচ্যুতি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থানা-পুলিশের। তাদের কাজ তারাই করবে। সরকারি দলের সেই ভূমিকা পালন করার কোনো সুযোগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকতে পারে না।
বাধা দিলে হরতাল আহ্বানের কথা ১৮ দলীয় জোট আগেই বলে রেখেছে। আগামীকাল আবার হরতাল ডেকেও ফেলেছে। এই সময়ে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পরীক্ষা। অবরোধ-হরতালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জীবনে বাড়ছে সেশনজটের বোঝা। এটা দেশের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। যাঁরা দেশ পরিচালনা করবেন বা করছেন, তাঁরা কি তরুণদের শিক্ষা-দীক্ষা চান না?
মানুষ চায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার অপরিহার্য, নাকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও চলে, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু এর মীমাংসা কেন রাজপথে হতে হবে? কেন নিরীহ তরুণকে প্রাণ দিতে হবে?
বিষয়টি সংসদে বা বাইরে অন্য কোথাও সবাই বসে ঠিক করাই ভালো। স্থিতিশীল রাজনীতির জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির এসব তৎপরতা এখনই বন্ধ হোক।
অবরোধ ও হরতালের মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য রাখা হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত কর্মসূচির আগের দিনই ঘোষণা দিয়ে বলেন, কেউ যেন গাড়ি বের না করেন। জনমনে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির জন্য এ ঘোষণাই ছিল যথেষ্ট। অবরোধকারীদের জন্য সেটাই ছিল প্রকৃতপক্ষে সহিংস আচরণে ঝাঁপিয়ে পড়ার একটি সবুজসংকেত। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বাস পোড়ানো শুরু হয়। এটা পরিষ্কার যে ওরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাদের ঘোষিত সময়সূচির বাইরেই সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, সহিংসতার সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁর এ দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করা সহজ নয়। কারণ, হরতাল-অবরোধ ধরনের কর্মসূচি সফল করার জন্য ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলে আসছে, তার ঊর্ধ্বে ১৮ দলীয় জোট নিজেদের স্থাপন করতে পারেনি।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অবরোধ তৎপরতা প্রতিরোধ না করার ঘোষণা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু আবার পাড়ায়-মহল্লায় কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছে। এভাবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উত্তপ্ত করেছে। জজকোর্ট এলাকায় সৃষ্ট রক্তাক্ত সংঘর্ষ ছিল এই তথাকথিত ‘সতর্ক’ থাকার নির্মম পরিণতি। বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবিলায় এ ধরনের কৌশল ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীলতার গুরুতর বিচ্যুতি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থানা-পুলিশের। তাদের কাজ তারাই করবে। সরকারি দলের সেই ভূমিকা পালন করার কোনো সুযোগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকতে পারে না।
বাধা দিলে হরতাল আহ্বানের কথা ১৮ দলীয় জোট আগেই বলে রেখেছে। আগামীকাল আবার হরতাল ডেকেও ফেলেছে। এই সময়ে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পরীক্ষা। অবরোধ-হরতালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জীবনে বাড়ছে সেশনজটের বোঝা। এটা দেশের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। যাঁরা দেশ পরিচালনা করবেন বা করছেন, তাঁরা কি তরুণদের শিক্ষা-দীক্ষা চান না?
মানুষ চায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার অপরিহার্য, নাকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও চলে, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু এর মীমাংসা কেন রাজপথে হতে হবে? কেন নিরীহ তরুণকে প্রাণ দিতে হবে?
বিষয়টি সংসদে বা বাইরে অন্য কোথাও সবাই বসে ঠিক করাই ভালো। স্থিতিশীল রাজনীতির জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির এসব তৎপরতা এখনই বন্ধ হোক।
No comments