বগুড়া- দরিদ্র কৃষককে পথে বসিয়ে নেতার হিমাগার সম্প্রসারণ by মিলন রহমান ও আনোয়ার পারভেজ
বগুড়া শহরের সাবগ্রাম মৌজায় এক প্রান্তিক কৃষকের একমাত্র সম্বল সাড়ে ৫০ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার হিমাগার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ওই জায়গার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা হলেও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা।
প্রশাসনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণ করতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এলাহী বক্স অনীহা প্রকাশ করলেও তাঁর স্বাক্ষর ও ছবি জাল করে ক্ষতিপূরণের চেকের জন্য আবেদন করা হয়েছে। জমি হাতিয়ে নেওয়ার পর একটি মহল এখন ক্ষতিপূরণের চেকও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে এলাহী বক্স অভিযোগ করেছেন।
বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-সার্বিক) মো. আনওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি প্রয়োজনে যেকোনো জমি নিয়মকানুন মেনে অধিগ্রহণ করা যায়, তবে কারও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. গোলাম কবীর বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন হিমাগার সম্প্রসারণের জন্য কেন ওই কৃষকের জমিটুকু অধিগ্রহণ করা হয়েছিল সেটা তৎকালীন প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে, তবে ক্ষতিপূরণের চেক যাতে অন্য কেউ হাতিয়ে নিতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের বাউটানা গ্রাম যমুনার ভাঙনের মুখে পড়লে এলাহী বক্স পৈতৃক ভিটা ছেড়ে ১৯৬৪ সালে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম ইউনিয়নের কুরশা গ্রামে আশ্রয় নেন। এখানে ৫১ শতক জায়গা কেনেন তিনি। ২০০০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নর্দান হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁর হিমাগার সম্প্রসারণে ওই জমি অধিগ্রহণের আবেদন করেন। ওই বছরের ১৯ জুলাই জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।
বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গেলে ২০০৪ সালে আদালত এলাহী বক্সের পক্ষে রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের জুনে হাইকোর্ট আবুল কালামের পক্ষে রায় দেন। আদালত থেকে রায়ের অনুলিপি আসার আগেই জেলা প্রশাসন ওই জায়গাটি তাঁকে বুঝিয়ে দেয়।
২০১০ সালের ২০ জুন প্রথম আলোয় এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসন থেকে ২২ জুন দখল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এলাহী বক্স সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে তা নামঞ্জুর হয়। এরপর আবুল কালাম আজাদকে জায়গাটি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। জেলা প্রশাসন জমির মালিককে টাকা বুঝিয়ে দিতে চেক তৈরি করেন। কিন্তু জমির মালিক তা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুম দখল শাখার একটি সূত্র জানায়, এলাহী বক্স ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার জন্য কোনো আবেদন না করলেও তাঁর ছবি দিয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছে। আবুল কালাম আজাদের একজন প্রতিনিধি ওই টাকার জন্য জেলা প্রশাসনে এসে তাগাদা দিচ্ছেন।
এলাহী বক্স অভিযোগ করেন, আবুল কালাম জমিটি দখলে নেওয়ার পরপরই তা একটি বেসরকারি ব্যাংকে বন্ধক রেখে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। জমির মূল্য বুঝে না দিয়েই অধিগ্রহণ করা জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১২ বছর ধরে অফিস-আদালতে ঘুরতে ঘুরতে আমি ক্লান্ত। মাস্তানের হুমকিতে ঘর থেকে বের হতে পারিনি, মামলার দিনে আদালতে হাজির হতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-সার্বিক) মো. আনওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি প্রয়োজনে যেকোনো জমি নিয়মকানুন মেনে অধিগ্রহণ করা যায়, তবে কারও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. গোলাম কবীর বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন হিমাগার সম্প্রসারণের জন্য কেন ওই কৃষকের জমিটুকু অধিগ্রহণ করা হয়েছিল সেটা তৎকালীন প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে, তবে ক্ষতিপূরণের চেক যাতে অন্য কেউ হাতিয়ে নিতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের বাউটানা গ্রাম যমুনার ভাঙনের মুখে পড়লে এলাহী বক্স পৈতৃক ভিটা ছেড়ে ১৯৬৪ সালে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম ইউনিয়নের কুরশা গ্রামে আশ্রয় নেন। এখানে ৫১ শতক জায়গা কেনেন তিনি। ২০০০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নর্দান হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁর হিমাগার সম্প্রসারণে ওই জমি অধিগ্রহণের আবেদন করেন। ওই বছরের ১৯ জুলাই জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।
বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গেলে ২০০৪ সালে আদালত এলাহী বক্সের পক্ষে রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের জুনে হাইকোর্ট আবুল কালামের পক্ষে রায় দেন। আদালত থেকে রায়ের অনুলিপি আসার আগেই জেলা প্রশাসন ওই জায়গাটি তাঁকে বুঝিয়ে দেয়।
২০১০ সালের ২০ জুন প্রথম আলোয় এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসন থেকে ২২ জুন দখল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এলাহী বক্স সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে তা নামঞ্জুর হয়। এরপর আবুল কালাম আজাদকে জায়গাটি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। জেলা প্রশাসন জমির মালিককে টাকা বুঝিয়ে দিতে চেক তৈরি করেন। কিন্তু জমির মালিক তা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুম দখল শাখার একটি সূত্র জানায়, এলাহী বক্স ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার জন্য কোনো আবেদন না করলেও তাঁর ছবি দিয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছে। আবুল কালাম আজাদের একজন প্রতিনিধি ওই টাকার জন্য জেলা প্রশাসনে এসে তাগাদা দিচ্ছেন।
এলাহী বক্স অভিযোগ করেন, আবুল কালাম জমিটি দখলে নেওয়ার পরপরই তা একটি বেসরকারি ব্যাংকে বন্ধক রেখে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। জমির মূল্য বুঝে না দিয়েই অধিগ্রহণ করা জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১২ বছর ধরে অফিস-আদালতে ঘুরতে ঘুরতে আমি ক্লান্ত। মাস্তানের হুমকিতে ঘর থেকে বের হতে পারিনি, মামলার দিনে আদালতে হাজির হতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
No comments