বিতর্কিত ব্যক্তিদের হাতে আ.লীগের সদস্য ফরম by মামুনুর রশিদ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম চলে যাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থক, যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি, স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তি ও তাঁদের সন্তানদের হাতে। এতে কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্র, জেলা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত সদস্য ফরম মাস খানেক আগে থেকে বিক্রি শুরু হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে ১০ টাকার বিনিময়ে ফরমগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। ওই সদস্যরাই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হয়ে কমিটি গঠন করছেন। নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁরাই ভোট দিচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরাই ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন করবেন। চলতি মাসেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন।
এদিকে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজ দলের কর্মী-সমর্থক ছাড়াও জামায়াতসহ বিতর্কিত ব্যক্তিদের কাছে সদস্য ফরম বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে অনেক ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মছির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি-সমর্থক আবদুস সালামসহ বিরোধী দলের লোকজনকে ফরম দিয়ে তাঁদের কাউন্সিলর বানানো হয়েছে। এ কারণে গত ১৮ নভেম্বর ওই ওয়ার্ডের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। দ্বীপপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও একই অভিযোগে সম্মেলন দুই দফা পেছানো হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় মাদ্রাসাশিক্ষক শহিদুল ইসলাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম সংগ্রহ করেছেন। ২০০৯ সালে রাজশাহীর ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৩ নম্বর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। মামলায় তাঁকে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফরম নেওয়ার কথা স্বীকার করে শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি এখন আওয়ামী লীগ করেন। নিজেকে রাজাকার নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ১০-১২ বছর।
দ্বীপপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল জলিল শাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তিবাহিনীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে সেলিম রেজা এবার আওয়ামী লীগের ফরম সংগ্রহ করেছেন। ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার উছমান আলী সরদার বলেন, জলিল শাহ শান্তি কমিটির চিহ্নিত সদস্য। যোগাযোগ করা হলে সেলিম রেজা নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন।
গণিপুর ইউনিয়নের একডালা গ্রামের জামায়াতের কর্মী আবদুল করিম ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য ফরম নিয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন। তিনি রাজাকার ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরম কিনে এরই মধ্যে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোজাহার নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তি। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে তাঁর বাবা ও দাদা দেশের বিপক্ষে কাজ করায় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের হত্যা করেন। স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মোজাহার বলেন, ‘বাপ-দাদারা কী করেছেন তা জানি না, তবে আমি আওয়ামী লীগ করি।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু নেতা এ ধরনের কাজ করছে বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
এদিকে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজ দলের কর্মী-সমর্থক ছাড়াও জামায়াতসহ বিতর্কিত ব্যক্তিদের কাছে সদস্য ফরম বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে অনেক ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মছির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি-সমর্থক আবদুস সালামসহ বিরোধী দলের লোকজনকে ফরম দিয়ে তাঁদের কাউন্সিলর বানানো হয়েছে। এ কারণে গত ১৮ নভেম্বর ওই ওয়ার্ডের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। দ্বীপপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও একই অভিযোগে সম্মেলন দুই দফা পেছানো হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় মাদ্রাসাশিক্ষক শহিদুল ইসলাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম সংগ্রহ করেছেন। ২০০৯ সালে রাজশাহীর ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৩ নম্বর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। মামলায় তাঁকে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফরম নেওয়ার কথা স্বীকার করে শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি এখন আওয়ামী লীগ করেন। নিজেকে রাজাকার নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ১০-১২ বছর।
দ্বীপপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল জলিল শাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তিবাহিনীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে সেলিম রেজা এবার আওয়ামী লীগের ফরম সংগ্রহ করেছেন। ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার উছমান আলী সরদার বলেন, জলিল শাহ শান্তি কমিটির চিহ্নিত সদস্য। যোগাযোগ করা হলে সেলিম রেজা নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন।
গণিপুর ইউনিয়নের একডালা গ্রামের জামায়াতের কর্মী আবদুল করিম ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য ফরম নিয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন। তিনি রাজাকার ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরম কিনে এরই মধ্যে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোজাহার নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তি। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে তাঁর বাবা ও দাদা দেশের বিপক্ষে কাজ করায় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের হত্যা করেন। স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মোজাহার বলেন, ‘বাপ-দাদারা কী করেছেন তা জানি না, তবে আমি আওয়ামী লীগ করি।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু নেতা এ ধরনের কাজ করছে বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
No comments