নারীনীতি-উগ্রতায় পরিত্রাণ নেই by জিল্লুর রহমান
কয়েকদিন আগে মৌচাক-রামপুরা এলাকায় একদল রিকশাচালক লাঠিসোটা দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে যাত্রীদের ভীতসন্ত্রস্ত করেছে। ভাংচুর শুরু হলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির নিরাপত্তার খাতিরে অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেয়, তাতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। নগরবাসীর ভোগান্তির সীমা থাকে না।
এ ধরনের নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ড সমর্থন করা যায় না। শেয়ার মার্কেটের ধস পুঁজি বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। উচ্চমূল্যে শেয়ার ক্রয়ের ফলে তাদের পুঁজি খোয়া গেছে। লাভ হলে কাউকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয় না, তাহলে লোকসান হলে ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করার জন্য গাড়ি ভাংচুর, অগি্নসংযোগ কেন করতে হবে?
কয়েকদিন আগে ধর্মাশ্রয়ী কিছু লোক নারীনীতির বিরুদ্ধে হরতালের নামে অরাজকতা আর ধ্বংসলীলায় মেতেছিল। তারা মাদ্রাসার কিশোর ছাত্রদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে মিছিল করিয়েছে। নারী নীতিমালায় কোরআনবিরোধী কী রয়েছে তা তারা স্পষ্ট করে বলছে না। উত্তরাধিকার আইন কোরআন মোতাবেক রয়েছে; দেশের প্রচলিত আইনে মোহাম্মেডান ল বলা হয়। নারী আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, সন্তান_ তারাও মানুষ। কেন তারা অবহেলিত থাকবে, কেন তারা ক্রীতদাসের মতো থাকবে? কেন তারা পুরুষের করুণার পাত্র হয়ে থাকবে? ফতোয়াবাজদের অসীম উৎসাহ নারীবিষয়ক ফতোয়াবাজি করায়। নারীনীতির বিরুদ্ধে হরতাল-ভাংচুর করে ক্লান্ত হয়ে তারা গৃহে যখন ঢোকেন তখন এই নারীই সেবা-শুশ্রূষা করেন। এই বিপরীত ভাবনা আর হুজুগে নাচার দিন তো আর নেই। ইরানে উচ্চ আদালতে নারী বিচারক, পাকিস্তানের সংসদে নারী স্পিকার। হরতাল পালনকারীদের এই নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের পেছনে জাতীয়তাবাদী দলের মদদ আছে বলে অনেকেই মনে করেন। বাংলাদেশের ভোটের অঙ্ক পোস্টমর্টেম করলে ইসলাম নামধারী দলের ভোট বাদ দিলে বিএনপির জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসা কঠিন। তাই ক্ষমতায় আরোহণের সহায়ক উপাদান হিসেবে এই মৌ-লোভীদের কর্মকাণ্ড অপছন্দ হলেও তাদের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে হচ্ছে। উগ্রতা আর নৈরাজ্যে দেশ গভীর সংকটে পড়লেও বিএনপি এই ধর্মব্যবসায়ীদের নারাজ করতে চায় না। কোনো আলেম-ওলামা-মাশায়েখের মূল্যবান সুপারিশ, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থাকলে অবশ্যই সরকারের সঙ্গে বসে আলোচনা করা যেত। গত হরতালে ইসলাম নামধারী কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি মেনে নেওয়া যায় না। আমিনী গং মেয়েদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন। নারীরা অর্থ আর ক্ষমতা পেলে এই ধর্মব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। নারীরা জাতীয় জীবনে মূল্যবান মতামতও দিতে পারবেন। ভবিষ্যৎ পুঁজি হারানোর চিন্তায় নারীনীতির বিরুদ্ধে তারা মাঠে নেমেছেন। আমিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য শুধু অমার্জনীয় নয়, রীতিমতো অবশ্য দণ্ডনীয় অপরাধ। সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য তারা দিচ্ছেন তা আমলে নেওয়া উচিত। ধর্মব্যবসায়ীদের আস্কারা দিলে পাকিস্তানের মতো এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে দেশ নিপতিত হবে।
এসব কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, দেশটা কিছু লোকের পূর্বপুরুষের তালুকদারি। নিরীহ শ্রমজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী সংসারের প্রয়োজনের তাগিদে ঘরের বাইরে গেলে দলীয় গুণ্ডার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। রাস্তা দখল করে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে জখম করছে। দলের মুখপাত্র গম্ভীর ভাব নিয়ে প্রেস রিলিজ দেন_ হরতাল স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে। জনগণ যেখানে ধিক্কার, গালমন্দ আর ঘৃণা প্রকাশ করছে এই হরতালকারীদের বিরুদ্ধে, সেখানে হরতাল আহ্বানকারীরা ডাহা মিথ্যা বলছে। হরতাল, অসহযোগ আন্দোলন, ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন থেকে পাকিস্তান তাড়াও আন্দোলন পর্যন্ত এ দেশের জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল। স্বাধীন দেশে জনগণ এই হরতাল কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। উগ্র মেজাজের পরিবর্তন না ঘটিয়ে যতই জাতীয় উন্নয়নের চেষ্টা করা হোক না কেন তাতে ফল আসবে না। ভাংচুর, মারামারি, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মের অপব্যবহার, সামান্য কারণে শাসানো_ এসবই আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর জাপান আমাদের চেয়েও খারাপ অবস্থায় পড়েছিল। ক্ষুধা নিবারণের জন্য গাছের পাতা খেয়ে থাকত। তারা ধৈর্য ধরে উন্নতি করেছে। ভয়ংকর সুনামির সময়ও উদ্ধারকাজ খুব সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সুনামি-পরবর্তী সময়ে জাপানিরা অনাহার-অর্ধাহারে থাকলেও তারা কখনও উচ্ছৃঙ্খল হয়নি। ত্রাণ বিতরণের সময় তারা মারামারি, হানাহানি না করে ধৈর্য ধরে সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ গ্রহণ করেছে। জাপানিদের এই চরিত্র আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
এখন সময় এসেছে যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড পরিহার করার। যুগোপযোগী শিক্ষা-জ্ঞান ছাড়া একজন ব্যক্তি দেশের কল্যাণ তো দূরের কথা, ইসলামের হানিকর কাজ ছাড়া আর কী পারবে? আমিনী গং ইসলামকে ব্যবহার করছেন ব্যক্তিস্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে। আমাদের এখনই সময় অন্ধ জগৎ থেকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে বর্বর ধর্মান্ধদের আলোর পথে আনার। ধর্মকে ব্যবহার করে অজ্ঞ, মূর্খ লোকের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া সহজ। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমর এক তুঘলকী শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে হারিয়ে গেছেন। নারীরা ৮ বছর বয়সের পর লেখাপড়া করতে পারবে না, হাসতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না, ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে না_ এসবই মোল্লাদের নির্দেশ। মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে এই মোল্লাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এই দরিদ্র জাতিকে হানাহানি আর ধর্মব্যবসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে উৎপাদন আর কর্মশীলতায় পারদর্শী করতে হবে। অন্যথায় সামগ্র জাতি ভয়াবহ এক পরিণতির দিকে ধাবিত হবে। সরকারের উচিত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে এই ধর্মান্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সম্প্রদায়কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে আলোর পথে আনা। গত হরতালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য যশোরে নিষ্পাপ এক কিশোর মাদ্রাসাছাত্রকে নিহত করা হলো। এই হত্যার দায়িত্ব কে নেবে? এই ভুঁইফোড় রাজনীতিকরা নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, হাঙ্গামা করার ব্রতে নিয়োজিত। জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে এদের বিরুদ্ধে আইন প্রণেতাদের কঠোর আইন প্রণয়ন করে দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতিকে 'ইসলাম ট্রেডিং করপোরেশনের' নৈরাজ্য থেকে মুক্ত করা সরকারের দায়িত্ব।
মেজর (অব.) জিল্লুর রহমান : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
zillu65@hotmail.com
কয়েকদিন আগে ধর্মাশ্রয়ী কিছু লোক নারীনীতির বিরুদ্ধে হরতালের নামে অরাজকতা আর ধ্বংসলীলায় মেতেছিল। তারা মাদ্রাসার কিশোর ছাত্রদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে মিছিল করিয়েছে। নারী নীতিমালায় কোরআনবিরোধী কী রয়েছে তা তারা স্পষ্ট করে বলছে না। উত্তরাধিকার আইন কোরআন মোতাবেক রয়েছে; দেশের প্রচলিত আইনে মোহাম্মেডান ল বলা হয়। নারী আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, সন্তান_ তারাও মানুষ। কেন তারা অবহেলিত থাকবে, কেন তারা ক্রীতদাসের মতো থাকবে? কেন তারা পুরুষের করুণার পাত্র হয়ে থাকবে? ফতোয়াবাজদের অসীম উৎসাহ নারীবিষয়ক ফতোয়াবাজি করায়। নারীনীতির বিরুদ্ধে হরতাল-ভাংচুর করে ক্লান্ত হয়ে তারা গৃহে যখন ঢোকেন তখন এই নারীই সেবা-শুশ্রূষা করেন। এই বিপরীত ভাবনা আর হুজুগে নাচার দিন তো আর নেই। ইরানে উচ্চ আদালতে নারী বিচারক, পাকিস্তানের সংসদে নারী স্পিকার। হরতাল পালনকারীদের এই নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের পেছনে জাতীয়তাবাদী দলের মদদ আছে বলে অনেকেই মনে করেন। বাংলাদেশের ভোটের অঙ্ক পোস্টমর্টেম করলে ইসলাম নামধারী দলের ভোট বাদ দিলে বিএনপির জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসা কঠিন। তাই ক্ষমতায় আরোহণের সহায়ক উপাদান হিসেবে এই মৌ-লোভীদের কর্মকাণ্ড অপছন্দ হলেও তাদের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে হচ্ছে। উগ্রতা আর নৈরাজ্যে দেশ গভীর সংকটে পড়লেও বিএনপি এই ধর্মব্যবসায়ীদের নারাজ করতে চায় না। কোনো আলেম-ওলামা-মাশায়েখের মূল্যবান সুপারিশ, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থাকলে অবশ্যই সরকারের সঙ্গে বসে আলোচনা করা যেত। গত হরতালে ইসলাম নামধারী কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি মেনে নেওয়া যায় না। আমিনী গং মেয়েদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন। নারীরা অর্থ আর ক্ষমতা পেলে এই ধর্মব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। নারীরা জাতীয় জীবনে মূল্যবান মতামতও দিতে পারবেন। ভবিষ্যৎ পুঁজি হারানোর চিন্তায় নারীনীতির বিরুদ্ধে তারা মাঠে নেমেছেন। আমিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য শুধু অমার্জনীয় নয়, রীতিমতো অবশ্য দণ্ডনীয় অপরাধ। সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য তারা দিচ্ছেন তা আমলে নেওয়া উচিত। ধর্মব্যবসায়ীদের আস্কারা দিলে পাকিস্তানের মতো এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে দেশ নিপতিত হবে।
এসব কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, দেশটা কিছু লোকের পূর্বপুরুষের তালুকদারি। নিরীহ শ্রমজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী সংসারের প্রয়োজনের তাগিদে ঘরের বাইরে গেলে দলীয় গুণ্ডার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। রাস্তা দখল করে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে জখম করছে। দলের মুখপাত্র গম্ভীর ভাব নিয়ে প্রেস রিলিজ দেন_ হরতাল স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে। জনগণ যেখানে ধিক্কার, গালমন্দ আর ঘৃণা প্রকাশ করছে এই হরতালকারীদের বিরুদ্ধে, সেখানে হরতাল আহ্বানকারীরা ডাহা মিথ্যা বলছে। হরতাল, অসহযোগ আন্দোলন, ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন থেকে পাকিস্তান তাড়াও আন্দোলন পর্যন্ত এ দেশের জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল। স্বাধীন দেশে জনগণ এই হরতাল কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। উগ্র মেজাজের পরিবর্তন না ঘটিয়ে যতই জাতীয় উন্নয়নের চেষ্টা করা হোক না কেন তাতে ফল আসবে না। ভাংচুর, মারামারি, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মের অপব্যবহার, সামান্য কারণে শাসানো_ এসবই আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর জাপান আমাদের চেয়েও খারাপ অবস্থায় পড়েছিল। ক্ষুধা নিবারণের জন্য গাছের পাতা খেয়ে থাকত। তারা ধৈর্য ধরে উন্নতি করেছে। ভয়ংকর সুনামির সময়ও উদ্ধারকাজ খুব সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সুনামি-পরবর্তী সময়ে জাপানিরা অনাহার-অর্ধাহারে থাকলেও তারা কখনও উচ্ছৃঙ্খল হয়নি। ত্রাণ বিতরণের সময় তারা মারামারি, হানাহানি না করে ধৈর্য ধরে সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ গ্রহণ করেছে। জাপানিদের এই চরিত্র আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
এখন সময় এসেছে যুগোপযোগী জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড পরিহার করার। যুগোপযোগী শিক্ষা-জ্ঞান ছাড়া একজন ব্যক্তি দেশের কল্যাণ তো দূরের কথা, ইসলামের হানিকর কাজ ছাড়া আর কী পারবে? আমিনী গং ইসলামকে ব্যবহার করছেন ব্যক্তিস্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে। আমাদের এখনই সময় অন্ধ জগৎ থেকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে বর্বর ধর্মান্ধদের আলোর পথে আনার। ধর্মকে ব্যবহার করে অজ্ঞ, মূর্খ লোকের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া সহজ। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমর এক তুঘলকী শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে হারিয়ে গেছেন। নারীরা ৮ বছর বয়সের পর লেখাপড়া করতে পারবে না, হাসতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না, ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে না_ এসবই মোল্লাদের নির্দেশ। মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে এই মোল্লাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এই দরিদ্র জাতিকে হানাহানি আর ধর্মব্যবসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে উৎপাদন আর কর্মশীলতায় পারদর্শী করতে হবে। অন্যথায় সামগ্র জাতি ভয়াবহ এক পরিণতির দিকে ধাবিত হবে। সরকারের উচিত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে এই ধর্মান্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সম্প্রদায়কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে আলোর পথে আনা। গত হরতালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য যশোরে নিষ্পাপ এক কিশোর মাদ্রাসাছাত্রকে নিহত করা হলো। এই হত্যার দায়িত্ব কে নেবে? এই ভুঁইফোড় রাজনীতিকরা নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, হাঙ্গামা করার ব্রতে নিয়োজিত। জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে এদের বিরুদ্ধে আইন প্রণেতাদের কঠোর আইন প্রণয়ন করে দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতিকে 'ইসলাম ট্রেডিং করপোরেশনের' নৈরাজ্য থেকে মুক্ত করা সরকারের দায়িত্ব।
মেজর (অব.) জিল্লুর রহমান : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
zillu65@hotmail.com
No comments