সাকিবকে কাছে পেয়ে... by প্রণব বল
এ-কান ও-কান, ছড়িয়ে পড়ল খবরটি। ‘সাকিব আসছে, সাকিব আসছে, সঙ্গে তাঁর প্রিয় বন্ধু সানজিদা।’ বড় আপুর মুখে কথাটি শুনে কেজি শ্রেণীর ছাত্র সিয়ামও গোঁ ধরল মায়ের সঙ্গে, ‘আমিও যাব, সাকিবকে দেখব।’
হ্যাঁ, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দেখার জন্য গত সোমবার ভিড় জমেছিল ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। বর্তমান শিক্ষার্থীরা তো বটেই, প্রাক্তনেরাও এসেছিল সাকিবকে একনজর দেখতে।
বড় বোনের সঙ্গে সাকিবকে দেখার আশায় ছুটে এসেছিল ঈমাম উদ্দিন। মুসলিম হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী সাকিব-দর্শনে রথ দেখা কলা বেচার মতো একটি অটোগ্রাফও চায়। তখনো প্রতীক্ষা চলছে, সাকিবের জন্য। সাংবাদিক পরিচয় জানতেই প্রশ্ন করে বসল ‘অটোগ্রাফ কি নেওয়া যাবে না?’
সাকিব আসবে, তাই সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা। কখন আসবে কখন আসবে? এদিকে কারও কারও পরীক্ষাও চলছে। কারও পরীক্ষা শুরু হবে দেড়টা থেকে। মন কি আর পরীক্ষায় বসছে? যেমন দশম শ্রেণীর নীল ময়ূরী চৌধুরী জানিয়ে দিল, ‘পরীক্ষা দেব কি না ভাবছি। মডেল টেস্ট তো। আগে সাকিব আসুক। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’ কেউ হাতে ডায়েরি নিয়ে, কেউ ক্যামেরা, কেউ বা হ্যান্ডিক্যাম নিয়ে হাজির হয়েছে। সাকিবের সঙ্গে একটা ছবি তোলার পরিকল্পনাও নিল কেউ কেউ। অটোগ্রাফের জন্য লাবিবাতো একটি ক্রিকেট ব্যাটই নিয়ে হাজির। এদিকে শিক্ষকেরাও দাঁড়িয়ে আছেন স্কুলের বারান্দায়। উদ্দেশ্য সাকিব-দর্শন। শিক্ষার্থীরা সাকিবকে বরণ করার জন্য তাদের ব্যান্ড পার্টি আর ফুল নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে মূল ফটকে। একদল দাঁড়িয়ে আছে একেবারে মঞ্চের সামনে। স্কুল ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ব্যানার—‘সাকিব আসছে, তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড সানজিদাকে নিয়ে।’
এভাবে আর কতক্ষণ! তবে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে না কারও। বেলা তখন একটা, স্বেচ্ছাসেবকদের হঠাৎ তৎপরতা বেড়ে গেল। তাঁদের তৎপরতা বলে দিচ্ছে সাকিব এসেছে। দুই পাশে পুষ্পবৃষ্টি আর ব্যান্ড বাদন—এর মধ্য দিয়ে সাকিব ডা. খাস্তগীর স্কুলে প্রবেশ করেন। সঙ্গে এই স্কুলেরই শিক্ষার্থী সানজিদা।
সানজিদার কথা একটু বলতেই হয়। বুস্ট, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সারা দেশের ১৪ শিক্ষার্থীকে সাকিবের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে মনোনীত করেছে। তার মধ্যে সানজিদা একজন। চট্টগ্রামের আরও এক শিক্ষার্থী তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েছে। সে হলো নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল বুধবার সাকিব সেই স্কুলেও গিয়েছে।
খাস্তগীরে মঞ্চে উঠে সাকিব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাত নাড়ল। ক্লিক করে উঠল সকল মুঠোফোনের ক্যামেরা। কেউ কেউ ক্যামেরাও নিয়ে এসেছে সাকিবকে বন্দী করার জন্য।
বুস্টের প্রচারণার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আসা সাকিব বললেন, ‘আপনারা সুস্থ থাকবেন। খেলা দেখবেন। দেশ ও আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এরপর প্রচারণার অংশ হিসেবে দড়ি লাফানো, ক্যাচ ধরা ইত্যাদি প্রতিযোগিতা, সাকিবের সামনেই। এভাবে একটি ঘণ্টা কেটে গেল। একটু কাছে যাওয়া, অটোগ্রাফ নেওয়া কিংবা ছবি তোলার কত ইচ্ছা। কারও পূরণ হয়েছে কারও বা হয়নি। তাতে ক্ষতি কি? সাকিবকে সামনে থেকে দেখা, এ-ও কম কিসে! এই ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে কেউ পরীক্ষার বেঞ্চে, কেউ বা বাড়ির পথে পা বাড়াল।
বড় বোনের সঙ্গে সাকিবকে দেখার আশায় ছুটে এসেছিল ঈমাম উদ্দিন। মুসলিম হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী সাকিব-দর্শনে রথ দেখা কলা বেচার মতো একটি অটোগ্রাফও চায়। তখনো প্রতীক্ষা চলছে, সাকিবের জন্য। সাংবাদিক পরিচয় জানতেই প্রশ্ন করে বসল ‘অটোগ্রাফ কি নেওয়া যাবে না?’
সাকিব আসবে, তাই সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা। কখন আসবে কখন আসবে? এদিকে কারও কারও পরীক্ষাও চলছে। কারও পরীক্ষা শুরু হবে দেড়টা থেকে। মন কি আর পরীক্ষায় বসছে? যেমন দশম শ্রেণীর নীল ময়ূরী চৌধুরী জানিয়ে দিল, ‘পরীক্ষা দেব কি না ভাবছি। মডেল টেস্ট তো। আগে সাকিব আসুক। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’ কেউ হাতে ডায়েরি নিয়ে, কেউ ক্যামেরা, কেউ বা হ্যান্ডিক্যাম নিয়ে হাজির হয়েছে। সাকিবের সঙ্গে একটা ছবি তোলার পরিকল্পনাও নিল কেউ কেউ। অটোগ্রাফের জন্য লাবিবাতো একটি ক্রিকেট ব্যাটই নিয়ে হাজির। এদিকে শিক্ষকেরাও দাঁড়িয়ে আছেন স্কুলের বারান্দায়। উদ্দেশ্য সাকিব-দর্শন। শিক্ষার্থীরা সাকিবকে বরণ করার জন্য তাদের ব্যান্ড পার্টি আর ফুল নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে মূল ফটকে। একদল দাঁড়িয়ে আছে একেবারে মঞ্চের সামনে। স্কুল ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে ব্যানার—‘সাকিব আসছে, তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড সানজিদাকে নিয়ে।’
এভাবে আর কতক্ষণ! তবে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে না কারও। বেলা তখন একটা, স্বেচ্ছাসেবকদের হঠাৎ তৎপরতা বেড়ে গেল। তাঁদের তৎপরতা বলে দিচ্ছে সাকিব এসেছে। দুই পাশে পুষ্পবৃষ্টি আর ব্যান্ড বাদন—এর মধ্য দিয়ে সাকিব ডা. খাস্তগীর স্কুলে প্রবেশ করেন। সঙ্গে এই স্কুলেরই শিক্ষার্থী সানজিদা।
সানজিদার কথা একটু বলতেই হয়। বুস্ট, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সারা দেশের ১৪ শিক্ষার্থীকে সাকিবের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে মনোনীত করেছে। তার মধ্যে সানজিদা একজন। চট্টগ্রামের আরও এক শিক্ষার্থী তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েছে। সে হলো নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল বুধবার সাকিব সেই স্কুলেও গিয়েছে।
খাস্তগীরে মঞ্চে উঠে সাকিব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাত নাড়ল। ক্লিক করে উঠল সকল মুঠোফোনের ক্যামেরা। কেউ কেউ ক্যামেরাও নিয়ে এসেছে সাকিবকে বন্দী করার জন্য।
বুস্টের প্রচারণার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আসা সাকিব বললেন, ‘আপনারা সুস্থ থাকবেন। খেলা দেখবেন। দেশ ও আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এরপর প্রচারণার অংশ হিসেবে দড়ি লাফানো, ক্যাচ ধরা ইত্যাদি প্রতিযোগিতা, সাকিবের সামনেই। এভাবে একটি ঘণ্টা কেটে গেল। একটু কাছে যাওয়া, অটোগ্রাফ নেওয়া কিংবা ছবি তোলার কত ইচ্ছা। কারও পূরণ হয়েছে কারও বা হয়নি। তাতে ক্ষতি কি? সাকিবকে সামনে থেকে দেখা, এ-ও কম কিসে! এই ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে কেউ পরীক্ষার বেঞ্চে, কেউ বা বাড়ির পথে পা বাড়াল।
No comments