পর্যবেক্ষকদের ভাষ্য- জলবায়ু ইস্যুতে পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ
কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ইঙ্গিত দিয়েছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ বিষয়ে একটি নতুন চুক্তির জন্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। যদিও বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার হাত থেকে রক্ষার জন্যই ওই চুক্তির দাবি উঠেছে। পর্যবেক্ষকেরা এ কথা বলেছেন।
দোহা সম্মেলনে দুই সপ্তাহ ধরে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে তীব্র দর-কষাকষি, প্রথম দিন থেকেই অচলাবস্থা এবং সুস্পষ্ট বিভেদের পর শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তি হয়েছে। তবে অনেকে এটাকে দেখছেন প্রয়োজনের তুলনায় দুর্বল চুক্তি হিসেবে।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন পিস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক কুমি নাইডু বলেন, ‘এই আলোচনাগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে যদি আমরা একটি মূল্যায়ন করি, তাহলে বলতে হয়, এখনো আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণই নেই।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এটাকে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ‘সংকট’ হিসেবে। এই সংকট মোকাবিলা বা এর দায় ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়ে যে বিরোধ রয়েছে, তার নিষ্পত্তি হয়নি গত দুই দশকেও। উন্নয়নশীল বিশ্বের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য ধনী দেশগুলোই বেশি দায়ী। তাই এটা কমাতে তাদের উদ্যোগী হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের দরুণ ক্ষতির শিকার হওয়া দেশগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও তাদেরই দিতে হবে।
তবে ধনী দেশগুলোর বক্তব্য, দরিদ্র দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কয়লা পোড়ানোর মাধ্যমে আজ ব্যাপকহারে পরিবেশ দূষণ করছে। এর ওপর করারোপ করতে হবে। ধনী দেশগুলোর নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যে দেশ প্রথম থেকেই কার্বন গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে বিশ্বের একমাত্র বৈধ উপায় কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েনটিস্টের জলবায়ু পর্যবেক্ষ আলডেন মেয়ার বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে নতুন একটি চুক্তির বিষয়ে অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আরও বেশি সমঝোতায় আসতে হবে।
নতুন যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, তাতে বিশ্বের সব দেশের অংশগ্রহণ থাকবে এবং সেটা ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্পাদন করতে হবে। কেননা, সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রা বর্তমানে ভয়ানক পথের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় উপকূলে আঘাত হানা স্যান্ডি এবং ফিলিপাইনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের চেয়েও চরম প্রতিকূল আবহাওয়া প্রত্যক্ষ করতে পারে বিশ্ব।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দোহা সম্মেলনের আশার দিক হচ্ছে, ছোটখাটো পরিসরে হলেও কিছু চুক্তিতে উপনীত হওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি প্যাকেজ প্রস্তাব, যার আওতায় দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থ দেওয়া হবে এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উৎস খোঁজা হবে। তবে কিয়োটো প্রটোকলে সই করেনি, এমন দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ জরুরি ভিত্তিতে কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি এই সম্মেলনে। কার্বন নিঃসরণের দিক দিয়ে এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে বিশ্বের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।
ইউরোপীয় জলবায়ু কমিশনার কোনি হেডেগার্ডের মতে, সামনের দিনগুলোতে অত্যন্ত নিবিড় সংলাপ চালাতে হবে। সবাইকে আরও বেশি উচ্চাভিলাষী হতে হবে এবং আরও দ্রুত হাঁটতে হবে। এএফপি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন পিস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক কুমি নাইডু বলেন, ‘এই আলোচনাগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে যদি আমরা একটি মূল্যায়ন করি, তাহলে বলতে হয়, এখনো আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণই নেই।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এটাকে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ‘সংকট’ হিসেবে। এই সংকট মোকাবিলা বা এর দায় ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়ে যে বিরোধ রয়েছে, তার নিষ্পত্তি হয়নি গত দুই দশকেও। উন্নয়নশীল বিশ্বের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য ধনী দেশগুলোই বেশি দায়ী। তাই এটা কমাতে তাদের উদ্যোগী হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের দরুণ ক্ষতির শিকার হওয়া দেশগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও তাদেরই দিতে হবে।
তবে ধনী দেশগুলোর বক্তব্য, দরিদ্র দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কয়লা পোড়ানোর মাধ্যমে আজ ব্যাপকহারে পরিবেশ দূষণ করছে। এর ওপর করারোপ করতে হবে। ধনী দেশগুলোর নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যে দেশ প্রথম থেকেই কার্বন গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে বিশ্বের একমাত্র বৈধ উপায় কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউনিয়ন অব কনসার্নড সায়েনটিস্টের জলবায়ু পর্যবেক্ষ আলডেন মেয়ার বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে নতুন একটি চুক্তির বিষয়ে অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আরও বেশি সমঝোতায় আসতে হবে।
নতুন যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, তাতে বিশ্বের সব দেশের অংশগ্রহণ থাকবে এবং সেটা ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্পাদন করতে হবে। কেননা, সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রা বর্তমানে ভয়ানক পথের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় উপকূলে আঘাত হানা স্যান্ডি এবং ফিলিপাইনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের চেয়েও চরম প্রতিকূল আবহাওয়া প্রত্যক্ষ করতে পারে বিশ্ব।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দোহা সম্মেলনের আশার দিক হচ্ছে, ছোটখাটো পরিসরে হলেও কিছু চুক্তিতে উপনীত হওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি প্যাকেজ প্রস্তাব, যার আওতায় দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২০ সালের আগ পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থ দেওয়া হবে এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উৎস খোঁজা হবে। তবে কিয়োটো প্রটোকলে সই করেনি, এমন দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ জরুরি ভিত্তিতে কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি এই সম্মেলনে। কার্বন নিঃসরণের দিক দিয়ে এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে বিশ্বের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।
ইউরোপীয় জলবায়ু কমিশনার কোনি হেডেগার্ডের মতে, সামনের দিনগুলোতে অত্যন্ত নিবিড় সংলাপ চালাতে হবে। সবাইকে আরও বেশি উচ্চাভিলাষী হতে হবে এবং আরও দ্রুত হাঁটতে হবে। এএফপি।
No comments