তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিন- বিদেশে টাকা পাচার
দেশের টাকা অবৈধ পথে বিদেশে পাচার হয়, এটা সবাই জানে। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে যে কত টাকা বিদেশে পাচার হয়, তা জানতে হয় ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন থেকে।
গত সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে টাকা পাচারের যে পরিসংখ্যান বেরিয়েছে, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। শুধু ২০১০ সালেই পাচার হয়েছে ২৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০০৯-১০ সালে পাচার করা ডলার দিয়ে অনায়াসে একটা পদ্মা সেতু বানানো যায়। কিন্তু এরা দেশের কথা চিন্তা না করে বিদেশে টাকা অবৈধভাবে পাচার করে শুধু নিজেদের ব্যক্তিগত আখের গোছাতে ব্যস্ত।
বাংলাদেশের দুরবস্থার একটি কারণ এসব অসাধু লোকের অবৈধ টাকা পাচার। যে টাকা তাঁরা মূলত লুটপাট, বেআইনি আর্থিক লেনদেন, হল-মার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, অতিমুনাফা থেকে শুরু করে যাবতীয় অনৈতিক কাজের মাধ্যমে অর্জন করে থাকে। শুধু অর্থনৈতিক কারণেই নয়, দেশে লুটপাট ও অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বন্ধের জন্যও এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।
বেশি পাচার হয়েছিল ২০০৬ সালে। সে সময়ের কিছু টাকা কোকোর মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছিল, যার কিছু অংশ সরকার ফিরিয়ে এনেছে বলে দাবি করছে। তাহলে ২০১০ সালে যে আবার বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেল, তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয় না কেন? পাচার রোধে রাজনৈতিক বিবেচনাকে প্রাধান্য দিলে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে না।
২০০৯-১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির টাকা কোথায় গেল? নিশ্চয়ই পাচার হয়েছে, যে কারণে ২০১০ সালে টাকা পাচারের পরিমাণ এত বেড়ে গেছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতাদের বিরুদ্ধে কেন আজও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? সরকার তদন্ত করল, অনেক চেনা মুখ চিহ্নিত হলো, অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এটা ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণ পাচারের অনুকূল একটি সবুজসংকেত দিচ্ছে।
অবিলম্বে টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। ওয়াশিংটনে বসে জিএফআই যদি পাচারের থলি বের করতে পারে, আমরা কেন সেই থলির মালিককে ধরতে পারব না? এটা সম্ভব, খুবই সম্ভব। শুধু দরকার সদিচ্ছা, সরকারের কাছে এই সদিচ্ছাটুকুই কামনা করছি।
এটা পরিতাপের বিষয় যে ইউরোপ-আমেরিকা টাকা-ধোলাই (মানি লন্ডারিং) রোধে বড় বড় কথা বলে, অথচ তাদের দেশেই টাকা পাচার উৎসাহিত করা হয়। সেখানে বিনিয়োগ করলে স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থা করা হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার স্বার্থেই উন্নত দেশগুলোকে এসব অনৈতিক অর্থ পাচার বন্ধে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে দেশে আমদানি-রপ্তানিতে বাড়তি ও অসত্য মূল্য দেখিয়ে কেউ যেন বিদেশে টাকা পাচার করতে না পারে, সে জন্য আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। অসাধু কিছু কর্মকর্তাকে অনৈতিক পথে প্রভাবিত করা হয়তো সম্ভব, কিন্তু কম্পিউটারকে ফাঁকি দেওয়া সহজ নয়। এখন সরকারের মনোযোগ দিতে হবে আমদানি-রপ্তানি ও বিদেশে টাকা পাঠানোর টাকা-আনা-পাই কম্পিউটারের হিসাবের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা। তাহলে হয়তো টাকা পাচার কঠিন হবে।
বাংলাদেশের দুরবস্থার একটি কারণ এসব অসাধু লোকের অবৈধ টাকা পাচার। যে টাকা তাঁরা মূলত লুটপাট, বেআইনি আর্থিক লেনদেন, হল-মার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, অতিমুনাফা থেকে শুরু করে যাবতীয় অনৈতিক কাজের মাধ্যমে অর্জন করে থাকে। শুধু অর্থনৈতিক কারণেই নয়, দেশে লুটপাট ও অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বন্ধের জন্যও এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।
বেশি পাচার হয়েছিল ২০০৬ সালে। সে সময়ের কিছু টাকা কোকোর মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছিল, যার কিছু অংশ সরকার ফিরিয়ে এনেছে বলে দাবি করছে। তাহলে ২০১০ সালে যে আবার বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেল, তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয় না কেন? পাচার রোধে রাজনৈতিক বিবেচনাকে প্রাধান্য দিলে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে না।
২০০৯-১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির টাকা কোথায় গেল? নিশ্চয়ই পাচার হয়েছে, যে কারণে ২০১০ সালে টাকা পাচারের পরিমাণ এত বেড়ে গেছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতাদের বিরুদ্ধে কেন আজও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? সরকার তদন্ত করল, অনেক চেনা মুখ চিহ্নিত হলো, অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এটা ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণ পাচারের অনুকূল একটি সবুজসংকেত দিচ্ছে।
অবিলম্বে টাকা পাচারের বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। ওয়াশিংটনে বসে জিএফআই যদি পাচারের থলি বের করতে পারে, আমরা কেন সেই থলির মালিককে ধরতে পারব না? এটা সম্ভব, খুবই সম্ভব। শুধু দরকার সদিচ্ছা, সরকারের কাছে এই সদিচ্ছাটুকুই কামনা করছি।
এটা পরিতাপের বিষয় যে ইউরোপ-আমেরিকা টাকা-ধোলাই (মানি লন্ডারিং) রোধে বড় বড় কথা বলে, অথচ তাদের দেশেই টাকা পাচার উৎসাহিত করা হয়। সেখানে বিনিয়োগ করলে স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থা করা হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার স্বার্থেই উন্নত দেশগুলোকে এসব অনৈতিক অর্থ পাচার বন্ধে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে দেশে আমদানি-রপ্তানিতে বাড়তি ও অসত্য মূল্য দেখিয়ে কেউ যেন বিদেশে টাকা পাচার করতে না পারে, সে জন্য আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। অসাধু কিছু কর্মকর্তাকে অনৈতিক পথে প্রভাবিত করা হয়তো সম্ভব, কিন্তু কম্পিউটারকে ফাঁকি দেওয়া সহজ নয়। এখন সরকারের মনোযোগ দিতে হবে আমদানি-রপ্তানি ও বিদেশে টাকা পাঠানোর টাকা-আনা-পাই কম্পিউটারের হিসাবের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা। তাহলে হয়তো টাকা পাচার কঠিন হবে।
No comments