দিল্লির ঘটনায় আইটেম গার্ল সোফিঃ ‘পুরুষদের প্যান্টে তালা লাগানো উচিৎ’
রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে সরব এখন সমগ্র ভারত। চরম নিন্দনীয় আর বিভৎস এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী থেকে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি সব পক্ষই এখন সোচ্চার।
ধর্ষণকারী ৬ জনের মধ্যে বাস ড্রাইভারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এ ঘটনায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ যেন থামছেই না। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন জনবহুল শহরে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় দিল্লির এ ঘটনা দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। কেউ বলছে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে। কেউ বলছে ওই মৃত্যুর পদ্ধতিকে দৃষ্টান্তমূলক এবং অধিক যন্ত্রণাদায়ক করতে। কারও মতে ধর্ষকদের শুলে চড়িয়ে দিতে, কেউ বলছে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত জেলদণ্ড দিতে, কেউ বলছে প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে, আবার কারো মত হচ্ছে ধর্ষকদের নপুংসক করে দিতে।
অন্যদের সঙ্গে মুম্বাই ফিল্মের আইটেম গার্ল সোফি চৌধুরীও এ ব্যাপারে তার মত জানিয়েছেন। তিনি ধর্ষকদের নপুংসক করে দেওয়া ছাড়াও এখন থেকে পুরুষদের পরিধেয় প্যান্টে তালা-চাবি ব্যবস্থা চালু করার দাবিও করেছেন। অন্য সময়ে হলে একজন বিনোদনকর্মী নারীর এ ধরনের কথা হয়তো অনেকে হাল্কাভাবে নিতেন। কিন্তু দিল্লির ওই জঘন্য ঘটনা যা ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যত্রও বিবেকবান মানুষকে আহত করেছে— তার সূত্রে সোফির এ বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া।
হিন্দি অনলাইন পত্রিকা নবভারত টাইম্স-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সোফি দেশের শাসকশ্রেণীসহ পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মেয়েদেরকে সাবধানে সংযমী হয়ে চলাফেরা করতে বলা হয়। দিল্লির এ ঘটনায় ওইসব পরামর্শ দেনেওয়ালারা এখন কী বলবেন? কারণ এ ঘটনার শিকার মেয়েটি একা ছিল না। তার সঙ্গে তার বন্ধুও ছিল। সময়ও অনেক রাত হয়নি তখন। আর সবচেয়ে বড় কথা এ ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বাসে। একজন মেয়ের পক্ষে এরচেয়ে সাবধান আর কীভাবে হতে পারে? তাহলে কি তাদেরকে ঘরের মধ্যে পিঞ্জিরা বন্দি হয়ে থাকতে হবে? তবে এভাবে থাকলেও কি কোনো গ্যারান্টি আছে যে মেযেরা নিরাপদ থাকবে?
সোফি বলেন, কেউ কেউ বলেন মেয়েরা উত্তেজক ক্ষুদ্র আকারের পোশাক পরে পুরুষদেরকে ধর্ষণে ইন্ধন দেয়। কিন্তু যেসব নারী আপাদমস্তক পর্দায় থঅকেন বা শিশুরা যখন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে— এর জবাবে তারা কী বলবেন?
তিনি আরো বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, যে দেশে মা দুর্গা, লক্ষী আর কালীর পূজা করা হয় সেই ভারতে পুরষদের মনে নারীদের জন্য কোনো সম্মানই নেই। বলা হয়ে থাকে, সব ভালো কাজের সূচনা হয় ঘর থেকে। কিন্তু এখানে জন্ম থেকেই ছেলে আর মেয়েতে ভেদাভেদ চর্চা শুরু হয়, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এর ফলাফল তো খারাপ হবেই। এখন কি সে সময় আসেনি যে মেয়েরা কোন পোশাক পড়বে আর কোনটা পড়বে না, তা না শিখিয়ে পুরুষদের আচরণ বিষয়ে শিক্ষা দেয়া উচিৎ। কিংবা পুরুষদের প্যান্টে তালা লাগনোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। যদি দিল্লির ওই ঘটনার শিকার নিরপরাধ মেয়েটি বেঁচেও যায়, তাহলে কি সারাজীবন সে সেই ক্ষত নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারবে যেটা তার আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে! ধর্ষণের মত অপরাধকে আমাদের খুনের মতই সিরিয়াসলি নিতে হবে। বাস্তব অর্থে ধর্ষণ তো একধরনের হত্যা’ই। এটা একটি মেয়ের শুধু শরীর’ই নয়, আত্মাকেও শেষ করে দেয়। আইনকে এখন বদলাতেই হবে। ধর্ষকদের শুলে চড়িযে দেওয়া উচিৎ কিংবা এরচেয়েও বড় সাজা হতে পারে তার পুরুষত্বের চিহ্নই মিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। তাকে নপুংসক করে দেওয়া উচিৎ। যদি এদেশের পুরুষরা নারীদের ইজ্জত করতে না শিখে তাদের মনে এ সংক্রান্ত আতংকই তৈরি করা হোক। দেশবাসী, এবার তো জাগবে তোমরা— যা-ই ঘটছে তা খুব লজ্জাজনক। আপনাদের ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’ তার মঞ্জিল থেকে অনেক দূরে এখনো।
অন্যদের সঙ্গে মুম্বাই ফিল্মের আইটেম গার্ল সোফি চৌধুরীও এ ব্যাপারে তার মত জানিয়েছেন। তিনি ধর্ষকদের নপুংসক করে দেওয়া ছাড়াও এখন থেকে পুরুষদের পরিধেয় প্যান্টে তালা-চাবি ব্যবস্থা চালু করার দাবিও করেছেন। অন্য সময়ে হলে একজন বিনোদনকর্মী নারীর এ ধরনের কথা হয়তো অনেকে হাল্কাভাবে নিতেন। কিন্তু দিল্লির ওই জঘন্য ঘটনা যা ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যত্রও বিবেকবান মানুষকে আহত করেছে— তার সূত্রে সোফির এ বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া।
হিন্দি অনলাইন পত্রিকা নবভারত টাইম্স-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সোফি দেশের শাসকশ্রেণীসহ পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মেয়েদেরকে সাবধানে সংযমী হয়ে চলাফেরা করতে বলা হয়। দিল্লির এ ঘটনায় ওইসব পরামর্শ দেনেওয়ালারা এখন কী বলবেন? কারণ এ ঘটনার শিকার মেয়েটি একা ছিল না। তার সঙ্গে তার বন্ধুও ছিল। সময়ও অনেক রাত হয়নি তখন। আর সবচেয়ে বড় কথা এ ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বাসে। একজন মেয়ের পক্ষে এরচেয়ে সাবধান আর কীভাবে হতে পারে? তাহলে কি তাদেরকে ঘরের মধ্যে পিঞ্জিরা বন্দি হয়ে থাকতে হবে? তবে এভাবে থাকলেও কি কোনো গ্যারান্টি আছে যে মেযেরা নিরাপদ থাকবে?
সোফি বলেন, কেউ কেউ বলেন মেয়েরা উত্তেজক ক্ষুদ্র আকারের পোশাক পরে পুরুষদেরকে ধর্ষণে ইন্ধন দেয়। কিন্তু যেসব নারী আপাদমস্তক পর্দায় থঅকেন বা শিশুরা যখন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে— এর জবাবে তারা কী বলবেন?
তিনি আরো বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, যে দেশে মা দুর্গা, লক্ষী আর কালীর পূজা করা হয় সেই ভারতে পুরষদের মনে নারীদের জন্য কোনো সম্মানই নেই। বলা হয়ে থাকে, সব ভালো কাজের সূচনা হয় ঘর থেকে। কিন্তু এখানে জন্ম থেকেই ছেলে আর মেয়েতে ভেদাভেদ চর্চা শুরু হয়, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এর ফলাফল তো খারাপ হবেই। এখন কি সে সময় আসেনি যে মেয়েরা কোন পোশাক পড়বে আর কোনটা পড়বে না, তা না শিখিয়ে পুরুষদের আচরণ বিষয়ে শিক্ষা দেয়া উচিৎ। কিংবা পুরুষদের প্যান্টে তালা লাগনোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। যদি দিল্লির ওই ঘটনার শিকার নিরপরাধ মেয়েটি বেঁচেও যায়, তাহলে কি সারাজীবন সে সেই ক্ষত নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারবে যেটা তার আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে! ধর্ষণের মত অপরাধকে আমাদের খুনের মতই সিরিয়াসলি নিতে হবে। বাস্তব অর্থে ধর্ষণ তো একধরনের হত্যা’ই। এটা একটি মেয়ের শুধু শরীর’ই নয়, আত্মাকেও শেষ করে দেয়। আইনকে এখন বদলাতেই হবে। ধর্ষকদের শুলে চড়িযে দেওয়া উচিৎ কিংবা এরচেয়েও বড় সাজা হতে পারে তার পুরুষত্বের চিহ্নই মিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। তাকে নপুংসক করে দেওয়া উচিৎ। যদি এদেশের পুরুষরা নারীদের ইজ্জত করতে না শিখে তাদের মনে এ সংক্রান্ত আতংকই তৈরি করা হোক। দেশবাসী, এবার তো জাগবে তোমরা— যা-ই ঘটছে তা খুব লজ্জাজনক। আপনাদের ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’ তার মঞ্জিল থেকে অনেক দূরে এখনো।
No comments