তাঁর কর্মসাধনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে- খান সারওয়ার মুরশিদের প্রয়াণ
খান সারওয়ার মুরশিদ ছিলেন শিক্ষাব্রতী, লেখক, জ্ঞান তপস্বী এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সহযাত্রী। শিক্ষক হিসেবে তিনি যেমন অজস্র শিক্ষার্থীর মধ্যে আলো ছড়িয়েছেন, তেমনি পাকিস্তানি শাসকদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে এ দেশে রবীন্দ্রচর্চার প্রসারেও রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা।
তাঁর সম্পাদিত নিউ ভেলুজ পত্রিকা এ দেশে ইংরেজি সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। বাংলা সাহিত্য পঠন-পাঠন ও চর্চায়ও যে তিনি পিছিয়ে ছিলেন না, মননশীল প্রবন্ধ গ্রন্থ কালের কথাই তার প্রমাণ। তিনি লিখেছেন কম কিন্তু তাঁর প্রতিটি লেখায় রয়েছে গভীর চিন্তা ও দেশ-ভাবনার ছাপ।
৮৮ বছরের জীবনে খান সারওয়ার মুরশিদ ছুটে চলেছেন অদম্য পথিকের মতো। আলস্য বা ক্লান্তি কখনোই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁর কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ, প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের বিদেশি মিশন পর্যন্ত। পাকিস্তান আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের অন্যতম রূপকার ছিলেন। আবার ষাটের দশকে বাঙালির মুক্তিসনদ বলে পরিচিত ছয় দফা আন্দোলনেও সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন এই শিক্ষাবিদ। স্বাধীনতা-উত্তরকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে তিনি একে একটি আধুনিক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। প্রখ্যাত ফরাসি দার্শনিক আঁদ্রে মালরোকে এনে তিনি সত্যিকারভাবেই দেশকে সম্মানিত করেছিলেন। কেননা, এই মহান দার্শনিক একাত্তরে বাংলাদেশের পক্ষে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে সুদূর প্যারিস থেকে বাংলাদেশে আসতে না পারলেও তাঁর সেই ঘোষণা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছিল।
খান সারওয়ার মুরশিদ আজ আমাদের মাঝে নেই। তাঁর মৃত্যু নিঃসন্দেহে এই দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু তিনি লেখায়, চিন্তায় ও কর্মসাধনার প্রতিটি স্তরে যে প্রতিভা ও জ্ঞান অন্বেষণের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিত্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। এই মহান জ্ঞান সাধকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।
৮৮ বছরের জীবনে খান সারওয়ার মুরশিদ ছুটে চলেছেন অদম্য পথিকের মতো। আলস্য বা ক্লান্তি কখনোই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁর কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ, প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের বিদেশি মিশন পর্যন্ত। পাকিস্তান আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের অন্যতম রূপকার ছিলেন। আবার ষাটের দশকে বাঙালির মুক্তিসনদ বলে পরিচিত ছয় দফা আন্দোলনেও সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন এই শিক্ষাবিদ। স্বাধীনতা-উত্তরকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে তিনি একে একটি আধুনিক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। প্রখ্যাত ফরাসি দার্শনিক আঁদ্রে মালরোকে এনে তিনি সত্যিকারভাবেই দেশকে সম্মানিত করেছিলেন। কেননা, এই মহান দার্শনিক একাত্তরে বাংলাদেশের পক্ষে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে সুদূর প্যারিস থেকে বাংলাদেশে আসতে না পারলেও তাঁর সেই ঘোষণা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছিল।
খান সারওয়ার মুরশিদ আজ আমাদের মাঝে নেই। তাঁর মৃত্যু নিঃসন্দেহে এই দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু তিনি লেখায়, চিন্তায় ও কর্মসাধনার প্রতিটি স্তরে যে প্রতিভা ও জ্ঞান অন্বেষণের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিত্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। এই মহান জ্ঞান সাধকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।
No comments